thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২০ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ছাড়া হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় শকুন

২০১৪ জানুয়ারি ৩১ ২১:১৬:৩২
‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ছাড়া হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় শকুন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষত ভারতে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে শকুনের সংখ্যা। অস্তিত্বের হুমকির মুখে থাকা শকুনকে রক্ষা করতে ‘দ্য সেভিং এশিয়ানস ভালচার ফর্ম এক্সটিঙ্কসন’ (সেভ) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সালের মধ্যে ২৫টি শকুন ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ছাড়া হবে। খবর বিবিসির।

বিষক্রিয়ামুক্ত ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে বন্দী অবস্থায় পালন করা ওই শকুনগুলোকে ছাড়া হবে।

এশিয়ান অঞ্চলে শকুন বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘ডাইক্লোফেনাক’। পশু মারা যাওয়ার পরও তার শরীরে ডাইক্লোফেনাকের কার্যকারিতা থেকে যায়। ওই মৃতদেহ খাওয়ার মাধ্যমে তা শকুনের দেহেও সংক্রমিত হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, শকুনরা এ সব মৃত পশু খাওয়ার কিছুদিন পরই কিডনির জটিলতায় মারা যায় অথবা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

ডাইক্লোফেনাকের ভয়াবহতার বিষয়টি প্রকাশ হলে ২০০৬ সালে ভারত সরকার পশুচিকিৎসক ও কৃষকদের জন্য তা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সেভ দাবি করছে, এখনও দেশটিতে বেআইনিভাবে ডাইক্লোফেনাক পশুদের দেওয়া হচ্ছে।

বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির সদস্য রিনকিতা গুরাভ জানিয়েছেন, বাজার পুরোপুরি ডাইক্লোফেনাকমুক্ত করতে হবে। ফার্মেসিগুলোতে এ ওষুধের সহজলভ্যতাই সমস্যার মূল কারণ বলে জানান তিনি।

এ প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখতে সেভ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করা। যেখানে সংরক্ষিত পাখিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ছয়টি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করা হবে যার কিছু অংশ নেপাল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যেও পড়বে।

রিনকিতা গুরাভ বলেছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডাইক্লোফেনাক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মশালা ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

শকুন মৃত পশুর দেহাবশেষ খেয়ে মাটি আর পানিকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায় বলেও জানান তিনি।

সেভ চিহ্নিত আরেকটি গুরুত্বুপূর্ণ বিষয় হল পাখি সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা। নেপাল, পাকিস্তানের মতো ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে কয়েকটি শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

সেভের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস বাউডেন বলেন, অন্যান্য পাখির তুলনায় শকুনের প্রজনন কিছুটা জটিল। কেননা শকুন বছরে কেবল একটাই ডিম পাড়ে। শকুন রক্ষায় তাই সংরক্ষণ প্রকল্পটি বেশ ব্যয়বহুল বলেও জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এসকে/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

ফিচার এর সর্বশেষ খবর

ফিচার - এর সব খবর