thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় চাইল প্রসিকিউশন

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১২ ১২:৫৩:১৬
ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় চাইল প্রসিকিউশন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মৃত জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় চাইল প্রসিকিউশনপক্ষ।

বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করার আবেদন করেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী।

হায়দার আলী আদালতকে বলেন, ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করে একটি রায় অথবা কমপক্ষে একটি পর্যবেক্ষণ থাকা উচিত। কারণ এটি সাধারণ কোনো দাবি নয়; এটি মানবতা ও ইতিহাসেরও দাবি। কোনো রায় দেয়া না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

অপরদিকে ইউসুফের পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার আদালতকে বলেন, আমাদের দেশের ফৌজদারি কার্যবিধিতে স্পষ্ট কোনো আইন নেই যে, আসামি মারা যাওয়ার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে কি-না?

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে এটি মানবতা ও ইতিহাসের দাবি। এই দাবির কারণে যেন আদালত বিব্রত না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।’

আইনজীবী সাইফুর রহমান বলেন, ‘একজন আসামি মৃত্যুবরণ করার পর তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা’র এই সাধারণ নীতি মানা উচিত।

আদালতে প্রসিকিউটর হায়দার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এর কয়েকটি কেস রেফারেন্স দাখিল করে বলেন, আসামি মৃত্যুবরণ করার পরও তার রায় দেয়া হয়েছে।

তখন আদালত বলে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এর রেফারেন্স কি আমাদের এখানে গ্রহণযোগ্য হবে? কারণ এ ট্রাইব্যুনালের কোনো রায় তো ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এ আপিল করা যায় না। সুতরাং আমাদের দেশে কি এমন কোনো কেস রেফারেন্স আছে, যেখানে এমন কোনো আসামির মৃত্যুর পরও তার বিচার অব্যাহত ছিল বা রায় দেয়া হয়েছে?

এরপর হায়দার আলী বলেন, তাহলে ইউসুফকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় অথবা কোনো পর্যবেক্ষণ দেয়া হোক। কারণ এটি মানবতার দাবি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একেএম ইউসুফ অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তার পরিবারের দাবি, সুচিকিৎসার অভাবে তিনি মারা গেছেন।

আজ এ মামলায় যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।

এর আগে ইউসুফের পক্ষে তার ছেলে একেএম মাহবুবুর রহমান সাফাই সাক্ষ্য দেন।

প্রসিকিউটর মোহাম্মদ জাহিদ ইমাম জানান, আজ ট্রাইব্যুনালে দাখিলকৃত ৫৬ জনের তালিকার বাইরের একজনকে ইউসুফের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। একই সঙ্গে ইউসুফের পক্ষে একজন সাক্ষীই সাক্ষ্য দেবেন বলে তার আইনজীবী জানান। পরে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।

এরপর ইউসুফের পুত্র একেএম মাহবুবুর রহমান সাক্ষ্য দেন।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ইউসুফের পক্ষে দাখিলকৃত ৫৬ জনের তালিকা থেকে তিনজনকে সাফাই সাক্ষী হিসেব সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন ইউসুফের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়।

ইউসুফের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ১ আগস্ট একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। তাকে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ চার ধরনের ১৩টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৫টি হত্যা, ৭টি গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ এবং একটি লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর