thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিপাকে রাবির তদন্ত কমিটি

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৪ ২২:৩১:৪১
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিপাকে রাবির তদন্ত কমিটি

রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশে ছাত্রলীগ-পুলিশের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে তদন্ত কমিটি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ধীরগতিতে চলছে তদন্তকাজ।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ২ ফেব্রুয়ারি হামলা চালায় ছাত্রলীগ-পুলিশ। এতে ৪০ জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় দুই শতাধিক আহত হন। গুলিতে ১০ জন সাংবাদিকও আহত হন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরও চালায়। ঘটনার দিন রাতেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. শামসুল আলম সরকার, সিন্ডিকেট সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং কমিটির সদস্য সচিব করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. এন্তাজুল হককে।

তদন্ত কমিটিতে অতি দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বাধ্য হয়ে কমিটি বিভিন্ন পত্রিকায় শিক্ষার্থীদের কাছে সাক্ষ্য চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে ১৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে মন্তব্য আন্দোলনে সমর্থনদানকারী কয়েকজন শিক্ষকের। তাদের দাবি, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত বুধবার থেকে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। এ কাজ কেবল লোক দেখানো। তদন্তের প্রথম ধাপেই তারা সহিংসতার ‘উস্কানিদাতা’ হিসেবে আট শিক্ষকের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন, যা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও বিস্ময়কর।

কমিটির আহ্বায়ক মো. খালেকুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তের জন্য গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা এরই মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করলেও ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীশূন্য হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। যারা ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে বলতে চান তাদেরকে কমিটির যে কোনো সদস্যের সঙ্গে দেখা করে তাদের মত তুলে ধরতে বলা হয়েছে।’

উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় তদন্তকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে এখনও কিছু আমাকে বলা হয়নি।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবস্থা ঠিক হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানান উপাচার্য।

(দ্য রিপোর্ট/এএএ/একে/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর