৩০ অক্টোবর থেকে পেট্রোলপাম্পে ধর্মঘটের হুমকি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কমিশন বৃদ্ধি এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে ইজারা নেওয়া জমির মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দাবি আদায়ে এবার সরকারকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মানা না হলে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে দেশের সব পেট্রোলপাম্পে লাগাতার ধর্মঘট শুরুর হুমকি দিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে বুধবার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক এ হুঁশিয়ারি দেন।

কমিশন বৃদ্ধিসহ ১২ দফা দাবি আদায়ে এর আগে এর আগে গত ২৮ আগস্ট সারা দেশে পেট্রোলপাম্পে ভোর ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করে ঐক্য পরিষদ। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের ৫ হাজার ৬০০টি পাম্পে নয় ঘণ্টা জ্বালানি তেল বিক্রি, ট্যাংকলরির মাধ্যমে তেল উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ ছিল। এরপরও সরকার দাবি পূরণে সাড়া না দেওয়ায় বুধবার লাগাতার ধর্মঘটের এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিসহ ১২ দাবি পূরণের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আগামী ৩০ অক্টোবর (রবিবার) ভোর ৬টা থেকে দেশের সব পেট্রোলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দাবি দাওয়া পূরণের বিষয়ে আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মন্ত্রণালয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। একাধিকবার ধর্মঘট করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বরং বিভিন্ন সময় আমাদের অপমান করা হয়েছে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আমাদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন। এটি আমাদের ব্যথিত ও হতাশ করেছে।

এ ধরনের ধর্মঘটে জনগণের ভোগান্তি হলেও দাবি আদায়ে এটা করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঐক্য পরিষদের অভিযোগ, তিন মাসের মধ্যে কমিশন বৃদ্ধিসহ নানা দাবি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ছয় বছরেও তা মানা হয়নি। সম্প্রতি ১২ দফা দাবি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে তিনবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

তাদের দাবি, গত কয়েক বছরে পেট্রোলপাম্প পরিচালনায় ব্যয় কয়েকগুণ বাড়লেও কমিশন বাড়ানো হয়নি। ২০১১ সালের হিসেবেই পাম্প মালিকদের কমিশন দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় কমিশন না বাড়লে পাম্প চালানো সম্ভব নয়।

সড়ক-মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের জমি সংযোগ সড়ক হিসেবে ইজারা নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক পেট্রোলপাম্প। কয়েকবছর পরপর সওজের পক্ষ থেকে জমির ইজারা মাসুল বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এমকে/এম/এনআই/অক্টোবর ১৯, ২০১৬)