thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৬ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৭ শাওয়াল 1445

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি

শোকার্ত বুক, হাতে শ্রদ্ধার ফুল

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২১ ০০:১৭:০৭
শোকার্ত বুক, হাতে শ্রদ্ধার ফুল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অনিঃশেষ শোক ও আত্মমর্যাদা বোধ জাগানিয়া একুশে ফেব্রুয়ারি- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এসে দাঁড়িয়েছে আবার। আজ শুক্রবার ভাষার জন্য আত্মদানকারী শহীদের স্মরণ করছে জাতি। শোকার্ত বুকে দাঁড়াচ্ছে শহীদ মিনারের সামনে, হাতে শ্রদ্ধার ফুল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঘটনায় শাণিত হয়ে জাতি আরেকবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণার মন্ত্র উচ্চারণ করছে।

১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন সালাম, জব্বার, রফিক, শফিকসহ আরও কয়েক তরুণ। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৯৮ সালে কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ ছাড়া এ দিন ছুটি থাকে।

আজ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন। এ ছাড়া কূটনৈতিক, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।

আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা হবে শুক্রবার।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এইচএসএম/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

আ-মরি বাংলা ভাষা এর সর্বশেষ খবর

আ-মরি বাংলা ভাষা - এর সব খবর