গল্প
প্রত্যাবর্তন
দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের পর রাহাত তার ওয়ার্ডেন এভিনিউয়ের বাসায় শুয়ে আছেন।শরীর এখনো দুর্বল। ডাক্তার বলে দিয়েছে প্রচুর বিশ্রাম নিতে। শুয়ে বসে, টিভি দেখে আর খবরের কাগজ পড়ে দিন কাটছে। এবারের অ্যাটাকটা আগেরটার চেয়ে ম্যাসিভ। ডাক্তার আটচল্লিশ ঘণ্টার অনিশ্চয়তার সতর্কবার্তা দিয়ে ছিলেন। এখানকার বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবার কল্যাণে পয়সা খরচ হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু গত দুই মাস ধরে কাজে যেতে না পারায় সংসারের ওপর একটা বড় ধরণের চাপ পড়েছে। স্বাভাবিক কাজ কর্মে কতদিনে ফিরে আসবে তা কেউ বলতে পারছে না। মাথার কাছে টেবিল ফ্যান ঘুরছে। চোখে মোটা লেন্সের চশমা। শোয়ার ঘরের দেয়ালে স্ত্রী ফরিদার বিকিনি পরা ছবি ঝোলানো। একরাশ অসহায়ত্ব নিয়ে সে সময় সময় ছবিটার দিকে তাকায় আবার কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। জানালার পর্দাটা নামানো-দূর দিয়ে লেকঅন্টারিওর বিস্তৃত নীল জলরাশির ওপর শাদা শাদা মেঘ উড়ে যাচ্ছে।
ফরিদা সোফায় বসে গলফ বলের মতো দেখতে একটা বোতল থেকে মদের পেয়ালায় স্কচ হুইস্কি ঢালছে। ছোট ছোট শব্দ ব্যবহার করে বিড় বিড় করে কী যেন বলছে।
ফরিদা আজ ক্লাবে না গেলে হয় না? আমার মন ভাল নেই। তুমি পাশে থাকলে ভাল লাগতো। তা ছাড়া ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে।এগুলো কি তোমার চোখে পড়ছে?
উইক-এন্ডে ক্লাবে না গেলে, মদ খেয়ে না নাচতে পারলে আমার ঘুম হয় না, পেটের ভাত হজম হয় না, তা তুমি ভাল করেই জান। আজও আমাকে যেতে হবে।
ফরিদাকে বড় অচেনা লাগে আজকাল রাহাতের। অতীতে ফিরে যায় রাহাত। ঢাকার মানিকনগরে থাকত সে। অভাবের সংসার। দশ বছর বয়সে এক রাতে হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মাকে হারানোর পর এতিম হয়। পরে চাচারা তাকে ঠেলা গাড়ির কাজে লাগিয়ে দেয়। পুরান ঢাকায় ঠেলা গাড়ি চালাতে চালাতে একসময় ভ্যান চালাতে শুরু করল রাহাত। খ্যাপ নেওয়ার জন্য একদিন লক্ষ্মীবাজারের ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বসে আছে। পরনে কালো রঙের দোনলা প্যান্ট। প্যাসেঞ্জার না পেয়ে সামনের মতিমিয়ার চায়ের দোকানে চা সিঙ্গাড়া খেতে যায়। সেখানে চা খেতে আসা এক জার্মান নাগরিকের সাথে তার পরিচয় হয়। নাম উলফ গ্যাং ভলম্যান। ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের একজন কর্মকর্তা। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে একটা প্রজেক্টের কাজে প্রায়ই এদিকে আসে। সেই ভলম্যান একদিন তাকে জার্মানির বার্লিনে নিয়ে এল। একটি টেনিক্যাল স্কুলে ভর্তি করে দিল। দুবছর পর হঠাৎ একদিন ভলম্যান মারা গেলে রাহাত তার কানাডা অভিবাসী বন্ধু রায়হানের পরামর্শে কানাডার টরন্টোতে পাড়ি জমাল। বেশ একটা গতির জীবন নিয়েছে এখন সে। অথচ ছোটবেলায় পাশের গ্রামে তার বড়বোনের বাড়িতে যেতে বললে কী মন খারাপ করতো। ঘরমুখো টান ছিল বলেই হয়তো আজ যাযাবরের জীবন বেছে নিয়েছে।
রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে ফরিদা। বিক্রমপুরের এক অজ পাড়া গাঁয়ের মেয়ে সে। তার বাবা প্রথমে রাহাতের সঙ্গে ফরিদার বিয়েতে রাজি ছিল না। ফরিদার চাচা নাসেরের জেদা-জেদিতেই শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েছে। নাসেরের এক বন্ধুর বড়ভাইয়ের ছেলে রাহাত।
কানাডায় আসার পর ফরিদার আচার আচরণ কেমন যেন? সব সময় বিষণ্ণ ও উদাসীন। সবকিছুতেই যেন আড়ষ্ট, সব সময় মনমরা।ইদানীং টিভি দেখে, শপিংমলে বা মেলায় গিয়েও সে আনন্দ পায় না। রাহাত ভাবে হয়তো এতবড় টরন্টো নগরীতে গাঁয়ের মেয়ে ফরিদার মন বসছে না। ভিনদেশ, অচেনা শহর, অজানাপথঘাট। মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনহীন নতুন পরিবেশে এসে হয়তো তার মন ভেঙে পড়েছে। রাহাতের মনে হল এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে ফরিদাকে এখানকার কালচার শেখাতে হবে, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে।
জুলাই মাসের বিকেল। লংউইকেন্ড। রাহাতের বন্ধু রায়হান ব্রাম্পটন থেকে এসেছে।রায়হান রাহাতের ছোটবেলার বন্ধু।মানিকনগরেরেললাইনের ধারে কাঁচাবাজারের পাশের গলিতেপাশাপাশি বাসায় থাকত। অনেকদিন পর দুইবন্ধু একসাথে হল। মনখুলে অনেক কথা-বার্তা হল।টেবিলে সাজানো কয়েকটি দামি মদ আর বিয়ারের বোতল।
ফরিদা, এদিকে এসো। দেখো কে এসেছে?
ফরিদা এসে হাজির।
ফরিদা এসো, বসো। আমাদের সঙ্গে বসে একটু মদ খাও। রায়হান আমার ছোটবেলার বন্ধু। লজ্জার কিছু নেই।
না এসব ছাইপাশ আমি খাব না। তোমরা খাও। প্লিজ আমাকে মদ খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি কর না।
ভাবি সাহেব, যেখানে যে নিয়ম, যে কালচার তা মানতে হয়। এখানকার সমাজে মিশতে হলে, অ্যাডজাস্ট করে চলতে হলে একটু-আধটু মদটদ খেতে হয়, বারে যেতে হয়, পার্টিতে যেতে হয়। পুরনো লাইফস্টাইল ভুলে যান, দেশের কথা ভুলে যান। তাছাড়া এই নির্দয় শীতের দেশে একটু আধটু মদটদ, বিয়ার-টিয়ার না খেলে বাঁচবেন কী করে? রায়হান পেয়ালায় মদ ঢালতে ঢালতে কথাগুলো বলে।
না ভাই, মদ খাওয়া, পার্টিতে যাওয়া এসব আমি পারব না। কানাডায় থাকলেও আমি একজন খাঁটি বাঙালি মেয়ে হয়েই থাকব, আমার পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়েই থাকব। ভাল না লাগলে দেশে ফিরে যাব, তবু কখনো ওসব খাব না।
এরপর রাহাত তাকে এক রকম জোর করে টেবিলে এনে বসাল। টেবিলে বেশ কয়েক বোতল ইয়েলো লেবেল হুইস্কি, এক প্যাকেট ডানহিল সিগারেট, আর কয়েক প্যাকেট চানাচুর। নিজে দুবোতল ইয়েলো লেবেল হুইস্কি সাবাড় করল। ফরিদার মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। খাবে কি খাবে না। যখনই খেতে চায় তখনই যেন একটি ভয়াবহ অদৃশ্যশক্তি পেছন থেকে টানদিয়ে ধরে। মনের ভিতরের এইদ্বন্দ্বযুদ্ধ-টু ড্রিংক অর নট টু ড্রিংক- তাকে কাহিল করে ফেলে।অবশেষে এক সময় তার রক্ষণশীল মন পরাজিত হয়।
দাও তবে একটু খেয়ে দেখি,দুজনের মুখ চেয়ে ফরিদা বলে।জীবনে প্রথম মদ খেল ফরিদা।তার ভেতরে একটা অপূর্ব আনন্দানুভূতি খেলে গেল।আনন্দে রাহাতের চোখ মুখ উদ্ভাসিত হয়ে গেল। যেন তার অনেকদিনের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হল।
আর একটু খাবে? রাহাত জিজ্ঞেস করল ফরিদাকে। আর এক বোতল বিয়ার?
আর না। আজ আর খাব না। অন্যদিন। রাহাত ফরিদাকে বোতল থেকে মদ কিভাবে পেয়ালায় ঢালতে হয়, তারপর পেয়ালা কিভাবে ধরে মদ খেতে হয় সব তাকে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীর মত শিখিয়ে দিল।
রাহাত ও ফরিদা দুজনই চাকরি করে। ফরিদা এগলিন্টন এভিনিউতে একটা কসমেটিক কোম্পানিতে কাজ করে। রাহাত একটা কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে সুপারভাইজার পদে কাজ করে।দুজনই দুহাতে কাজ করে আর প্রচুর ডলার হাতে আসতে থাকে। উইক-এন্ডেডাউন্টানের নাইটক্লাবে যায়। দুহাতে পয়সা ওড়ায়। প্রথম প্রথম ফরিদা আড়ষ্ট থাকত। ওর আড়ষ্টতা ভাঙ্গায় রাহাত। তাকে জোর করে ঠেলে দেয়, শাদাদের সঙ্গে নাচতে বলে। ফরিদা নাচে। রাহাত নেশাতুর চোখে তা তাকিয়ে দেখে। ফরিদার পরিবর্তন দেখে অবাক হয় সে। দক্ষ নাচুড়ের মতো সে নাচে এখন। এতটুকু জড়তা নেই।
দিন দিন এসবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ফরিদা। এখন রাহাতকে ছাড়াই ক্লাবে,পার্টিতে যায়। রাত করে ঢুলুঢুলু চোখে বাসায় ফেরে। ইদানীং নতুন নতুন বন্ধু নিয়ে বাসায় আসে,রাতে একঘরে থাকে।রাহাত থাকে অন্যঘরে। অসুস্থ রাহাত অসহায় চোখে তা দেখে। কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারে না।অন্য পুরুষের সঙ্গে ফরিদার এরকম অন্তরঙ্গতার দৃশ্য রাহাতের অসহায়ত্বকে বিব্রতকর অবস্থায় নিয়ে যায়, তার ভেতরে রক্তক্ষরণ ঘটে। সে বুঝতে পারে জীবন-যন্ত্রণার এই ফাঁদ থেকে সহজে বের হতে পারবে না।
রাহাত টের পেয়েছে,সংসারের ওপর কাল মেঘের ছায়া ঘনিয়ে এসেছে,ঈশাণ কোনে ঝড় উঠেছে, তুষার ঝড়ের মত তা যে কোন সময় তার এতদিনের গড়া সুখের সংসারকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিবে।
ফরিদা,তুমি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছ। নতুন নতুন বন্ধু নিয়ে আসছো বাসায়। অনেক সহ্য করেছি। আমি তোমার এসব নোংরামি আর সহ্য করব না। তুমি বাসায় বসে খাও,বাইরে খেও না।
বা তুমিতো বেশ ভাল মানুষ হয়ে গেছ। তুমিই তো আমাকে রাস্তা দেখিয়েছো। তবে এখন কেন তোমার এসব সহ্য হয় না? না আমি আমার মত চলবো। আমার ভালমন্দ নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।
হ্যাঁ, শিখিয়ে ছিলাম। কিন্তু তখন তো জানতাম না তুমি সীমা অতিক্রম করে যাবে।
ফরিদা,কেন বুঝছো না?আগে নেশা তোমার নিয়ন্ত্রণে ছিল,আর এখন তুমি নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছ। তাই বলি কী নেশা টেশা কমিয়ে দাও। ভোগ-আনন্দই কি জীবনের সব?ঘর-সংসার,সন্তান-সন্ততি কি এসবের চেয়ে মূল্যবান নয়?তাছাড়া আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি এই বয়সেই মদ চিনে ফেলে,ওদের ভবিষ্যৎ ওযে পিছলে হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
ফরিদা রেগে গিয়ে লাল হয়ে বলল,আমাকে জ্ঞান দিয়ো না। তুমি হলে বস্তির ভাঙা ঘরের ছেলে-নিজের জ্ঞান নিজের কাছে রাখো। তোমার সঙ্গে অনেক হয়েছে। তোমার মত আন রোমান্টিক ছেলের সঙ্গে আর ঘর করা নয়। আমি ববের কাছে চলে যাচ্ছি। সবকিছু কোর্টে সেটেল্ড হবে। বলে হন হন করে দোতলায় উঠে গেল। হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে নিচেনামল, প্রচণ্ড শব্দে বাইরের দরজা বন্ধ করে গটগট করে সে বাসা থেকে বের হলো।বব ওর কলিগ ও বন্ধু। একসাথে কস্মেটিক কোম্পানিতে চাকরি করে। বিপত্নিক, মধ্যবয়সী, দেখতে কৃমির মত শাদা ও বিবর্ণ। চোখদুটো তীক্ষ্ণ, বাজপাখির মত চাহনি। উদার ও ফূর্তিবাজমানুষ । শেপারড এন্ড ম্যাকোয়ান এলাকায় বাসা।
রাহাত বসে রইল সদ্যপাওয়া মানসিক ধাক্কা সামলানোর জন্য। কয়েক সেকেন্ড থতমত ভাব কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল। ফরিদার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি যেতে চাচ্ছ যাও। তবে জেনে রাখ আমার মত শুভাকাঙ্ক্ষী ছেলে আর দুনিয়াতে পাবে না। দেখি তোমার ঐ শাদা চামড়া কয়দিন তোমার খরচা দেয়? আমাকে সব সময় আনরোমান্টিক বলে যেগালিগালাজ ও দোষারোপ করেছ-তার ছিটে ফোঁটাও ওকে করতে পারবে না। তোমাদের এই হানিমুন কয়েকদিনেই হাওয়া হয়ে যাবে। শাদা চামড়ার শখ অচিরেই মিটে যাবে। বুঝবে, ফরিদা একদিন বুঝবে।
রায়হানকে ফোন করে রাহাত সব বলল।বুঝলে রায়হান, ফরিদাকে বিয়ে করে ছয় মাসের মাথায় এদেশে নিয়ে এলাম, বাড়ি-গাড়ি, পিয়ারকার্ড, সিটিজেনশিপ, ছেলে-মেয়ে, সমাজে পরিচিতি সবদিলাম, এখানকার রাস্তাঘাট চেনালাম আর আমাকেই লাথি মারলও! ভাবতে পারো? এগুলো ও নিজে নিজে করতে পারত? রায়হান একনাগাড়ে তার কথা শোনে। তারপর বলে, অসুখ-বিসুখে অসহায় হয়ে পড়া তোর মত একজন মানুষের যখন বড়বেশি একটি সুখকর স্পর্শের প্রয়োজন, তখনই তোর বউ দূরে চলে গেল। এটা বড়ই দুঃখজনক। বেশি ফ্রি করতে গিয়ে তোর বউ হাত ছাড়া হয়ে গেল। আরও আগে থেকেই তোর এদিকে নজর রাখা উচিৎ ছিল।
রায়হানের কথার কোন জবাব দেয় না রাহাত। খুব নিঃশব্দে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল শুধু। দেয়ালে টাঙ্গানো ফরিদার ছবির দিকে পুরু লেন্সের ভেতর দিয়ে ঝাপসা চোখে তাকায়, কয়েক ফোটা অশ্রু গাল বেয়ে নিচে গড়িয়ে পড়ে। নানান ভাবনা রাহাতের মাথায় এসে ভর করে। ফরিদা কেন এতদ্রুত বদলে গেল তা রাহাতের ভাবনা চিন্তার মধ্যে আসে না। যেন ফরিদা নয়,ফরিদার ভেতর থেকে এক অন্য ফরিদার জন্ম হয়েছে। খুবই অসহ্য মনে হচ্ছে রাহাতের। কিন্তু সে ফরিদাকে খুব ভালবাসে। ফরিদা তার প্রাণের বন্ধু। ও আগে এতজেদী আর অস্থির প্রকৃতির ছিল না। তাই পরক্ষণেই ভাবে, ফরিদা আসলে বদলায়নি, মানুষ ফরিদা একই আছে। বদলেছে পরিস্থিতি,বদলেছে স্থান,বদলেছে সময়। সময় তাকে বদলে দিয়েছে। সময় আমাদের প্রতিমুহূর্তে,প্রতিদিনএভাবেই বদলে দিয়ে যায়।
রাহাত তার পুরুলেন্সের চশমাটা চোখের ওপর থেকে নামাল, ক্লান্তচোখের পাতায় আঙুল দিয়ে মৃদুস্পর্শ করল, চোখের কোনা বেয়ে জল পড়তে লাগল। ঝুলে থাকা লম্বা পর্দা সরিয়ে জানালার কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকাল। আকাশে একখণ্ড শাদা মেঘ ধীরে ধীরে উড়ে যাচ্ছে,শান্তসমুদ্রে একখণ্ড হিমাবহের গড়িয়ে চলার মতো। তার বুকের গভীরে ও যেন এরকম একখন্ড হিমাবহ গড়িয়ে পড়ছে। তলানিতে পড়ে থাকা ফরিদার জন্য তার ভালবাসাটুকু ছায়ামূর্তিতে পরিণত হয়ে তাকে তাড়া করছে।
এমনি করে কয়েক মাস কেটে গেছে।রায়হান রাহাতের খোঁজ খবর নেয়। বন্ধুর বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়। বেশ কিছুদিন ধরে ফেডারেল নির্বাচনের প্রচার চলছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির স্টীফেন হারপার ও লিবারেল পার্টির জাস্টীন ট্রুডোর মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। রায়হান রাহাতকে নির্বাচনের পরের দিন উইক-এন্ডে তার বাসায় দাওয়াত দেয়। রাহাত সে দাওয়াত সানন্দে গ্রহণ করে। নির্বাচনের দিন শেষে রাতে যখন রায়হান বিয়ার নিয়ে সোফায় বসে আছে আর টিভিতে ভোটের ফলাফল দেখে উত্তেজনার আগুন পোয়াচ্ছে, ঠিক সেই সময় রাহাত ফোন করল। ‘কী রে রায়হান, তোরতো এবার কোনও পাত্তাই নেই। কী ব্যাপার বলতো! তুই অন্যদলে চলে গেলি নাকি রে? অবশ্য একটু পয়সা হলে সব কানাডিয়ান বাঙালিই দল পাল্টায়।” রায়হান বলল, ‘‘কী যে বলিস রাহাত! যাক ভোটের টক ঝাল গল্প করা বাদ দে। তুই এই উইক-এন্ডে আমার বাসায় আসছিস তো?
না রে, এই উইক-এন্ডে আমার তোর বাড়ি আসা হবে না। ফরিদা গতকাল আমাকে ফোন করেছিল। দেখা করতে চায়। ওকে বেশ অনুতপ্ত মনে হল। ও বলছে আগামীকাল বাসায় আসবে। ছেলে মেয়েদের খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ওর। আমাকে বাসায় থাকতে বলেছে। হাজার হোক নিজের বউ তো- ভাবছি কাল বাসায় থাকব, কোথাও বের হব না। রায়হান দেখল ওর গলার স্বর খুশি- খুশি। রায়হান খুব খুশি খুশি মুখে বলল, দারুণ খবরতো, রাহাত। আগে বলিস নি কেন? রাহাত রায়হানকে বলল, কাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাসায় আসবি কিন্তু! আমার ছেলে মেয়েরা থাকবে, ফরিদা আসবে, অনেক মজা হবে। কি আসবি তো? রায়হান মাথা নেড়ে বলল, নিশ্চয়!
পরদিন বিকেলে রায়হান রাহাতের বাসায় এল।এলাহিকাণ্ড! ফরিদা রান্না-বান্না করছে, ছেলে মেয়েরা খুশিতে হৈ চৈ করছে। রাহাত ঘরের এক কোনায় সোফায় বসে তা দেখছে, মুখটা খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া