দু‘দিন আগে গুপ্তধনের রহস্য উন্মোচন করতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও আদালতের শরণাপন্ন হয় মিরপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই বাড়িটির বর্তমান মালিক দাবিদার মনিরুল আলম মিরপুর থানায় একটি জিডি করেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাসার মাটির নিচে গুপ্তধন (প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার) রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে। এ কারণে বাড়িটির সামনে প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছে।
এছাড়াও কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের বাসিন্দা আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি ১০ জুলাই মিরপুর থানায় আরও একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনি বলেন, মিরপুরের ওই বাড়ির মূল মালিক দিলশাদ খান। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান চলে যান।
দিলশাদ খানের এক আত্মীয় তাকে তথ্য দেন, মিরপুরের ওই বাড়িটির নিচে দুই মণের বেশি স্বর্ণালঙ্কার ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে।
ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ারউজ্জামান বলেন, সকাল ১০টা থেকে এখানে মাটি খননের কাজ চলছে। বাড়ির ভেতরে দুটি রুমে খননের কাজ চলছে। ৮-১০ ফুট খননের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, স্বর্ণালঙ্কার সহ মূল্যবান বস্তু রয়েছে এ মর্মে দুই ব্যক্তির জিডির (সাধারণ ডায়েরি) পরিপ্রক্ষিতে এ খনন কাজ চলছে। খনন কাজ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
