thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি 25, ৩০ মাঘ ১৪৩১,  ১৩ শাবান 1446

বিমানবন্দরে মন্ত্রী-এমপিদের তল্লাশি ছাড়ের সুপারিশ নাকচ

২০১৯ আগস্ট ২৮ ১৮:৫৯:২১
বিমানবন্দরে মন্ত্রী-এমপিদের তল্লাশি ছাড়ের সুপারিশ নাকচ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের বিমানবন্দরে তল্লাশির ক্ষেত্রে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি, সংসদ সদস্যদের কিছুটা ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সরকারি সংস্থাটি বলেছে, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) আইন ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে এ ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

আজ বুধবার সংসদ ভবনে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বিচারপতি, সংসদ সদস্য, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীকে আলাদা পরিবেশে তল্লাশিতে ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচকের সহকারী পরিচালক (অর্থ বিভাগ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং পরিচালক (পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ সাঈদ হোসাইন মুরাদী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করা হয়।

বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ আইসিএও-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হওয়ায় দেশের বিমানবন্দরগুলোতে আইসিএও প্রণীত এনেক্স-১৭ অনুযায়ী প্রিভেন্টিভ সিকিউরিটি মেজার নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিমানবন্দরে ঢোকার আগে সিকিউরিটি স্ক্রিনিং করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আইসিএও-এর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য ন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি প্রোগ্রাম বা এনসিএএসপি প্রণীত হয়েছে। এনসিএএসপি অনুযায়ী নিরাপত্তা তল্লাশি থেকে রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার, জাতিসংঘের মহাসচিবকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। অন্য আর কেউই নিরাপত্তা তল্লাশির আওতামুক্ত নন।

কিন্তু সুনির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশনার অভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তা তল্লাশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায়ই বিব্রত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে ওই আইনের আওতায় জাতির জনকের পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্য, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ/স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তা তল্লাশির বাইরে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ঢাকা শহরের সব পর্যটন কেন্দ্রকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় এক্সক্লুসিভ ইকোট্যুরিজম জোন করার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অনুকূলে জমি বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া সুন্দরবনের পরিফেরিতে পর্যটন জোন স্থাপনের জন্য বুয়েট কর্তৃক পর্যটন সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী ফিরোজ রশীদ, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার।

এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৮ ,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর