thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি 25, ২৯ মাঘ ১৪৩১,  ১২ শাবান 1446

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

২০১৯ অক্টোবর ৩০ ১৯:৫৬:৫৯
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মিরপুরের রূপনগরে বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের বেশিরভাগই পথচারী। এ ঘটনায় আহত ১৪ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা বলছেন, তারা বিকট একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এরপরেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে চারপাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ঝালমুড়িওয়ালা হোসেন। কামরুল মাদবরের বস্তির সামনে বসে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৩টা বা পৌনে ৪টা হবে। ভ্যানে করে বেলুন নিয়ে আসে এক লোক। মাঝে মাঝে সে আসে। আমার ঝালমুড়ির পাশে এসে দাঁড়ায়, আমি তাকে সরিয়ে দেই। বলেছি দূরে দাঁড়াও।’

এরপর সে ১১ নম্বর সড়কের মুখে লোহার গেটের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় কয়েকটা বাচ্চা এসে তাকে ঘিরে ধরে। এর ৫/৬ মিনিট পরেই বিকট শব্দ। সব অন্ধকার হয়ে গেল। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ছাইয়ের মতো ধোঁয়া। তিনি বলেন,‘আমি দৌড়ে উত্তর দিকে যাই। পরিষ্কার হতে প্রায় ৩/৪ মিনিট লাগে। শিশুদের চিৎকার শুনতে পাই। ধোঁয়া শেষ হলে এসে দেখতে পাই, লোহার গেটের সামনে রক্ত। শিশুদের ছিন্নভিন্ন দেহ লাফাচ্ছে। আমি চিৎকার দিয়ে মানুষ ডাকি। এর ১৫/২০ পরেই দেখি পুলিশ আসে। তারপর ফায়ার সার্ভিস। তারা এসে লাশ তুলে নিয়ে গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে।’

ঘটনার সময় বেলুনওয়ালা ভ্যানের কাছ থেকে ছিটকে প্রায় ২০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাশের টিনশেড ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাশিদা বেগম দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই পিঠা বিক্রি করছিলেন। তিনিও ফজর মাদবরের বস্তিতে থাকেন। রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমি ঘরে আসছি, এরমধ্যে ঠাস করে শব্দ। সব ধোঁয়া হয়ে যায়। আমার ছেলে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি অন্ধকারে বের হতে পারছিলাম না। এরপর আমি নেমে দেখি রাস্তায় বাচ্চাদের লাশ পড়ে আছে। কেউ আহত হয়ে পড়ে আছে। আমার ভাগ্নে বউ জান্নাত পড়ে আছে, সে ধড়ফড় করতেছে। তার হাত ছিঁড়ে গেছে। আমি গিয়ে ধরলাম। এরপর আরও লোক আসে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ৩০,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর