thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

কারাগারে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল

২০২১ মার্চ ১২ ১৯:১৭:৩৬
কারাগারে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোম্পানীগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাপরাশিরহাটে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশি কাজে বাঁধা দেওয়ার মামলায় আসামি দেখিয়ে আজ শুক্রবার (১২ মার্চ) তাকে আদালতে তোলা হয়।

পরে দুপুরে ১ নম্বর বিচারিক আমলি আদালতের বিচারক শোয়াইব উদ্দিন খান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সাদা পোশাকের একদল লোক নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে বাদলকে তুলে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা সংস্থা বাদলকে আটকের কথা স্বীকার করেনি। ৭টা ২০ মিনিটে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন হোয়াটস্অ্যাপে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন।

গত ২ মাস ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদেরের সঙ্গে জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের বিরোধের জের ধরে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে চাপরাশিরহাটে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

পরে ৯ মার্চ বিকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়।

সমাবেশ চলাকালে মির্জার অনুসারীরা জেলা আওয়ামী লীগের বরাত দিয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের পরেও কেন তা হচ্ছে, এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে রাত ১০ টায় বাদলের অনুসারীরা বসুরহাট পৌর ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে সিএনজিচালক আলাউদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২মার্চ, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর