thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

পরীমনিসহ ১৫ মামলার প্রতিবেদন দেড় মাসের মধ্যে: সিআইডি

২০২১ আগস্ট ২৪ ১৫:৫২:৩৭
পরীমনিসহ ১৫ মামলার প্রতিবেদন দেড় মাসের মধ্যে: সিআইডি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীর, জিসান, নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসানদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি মামলার তদন্ত করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ব্যারিস্টার অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান।

আজ (মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিআইডির প্রধান বলেন, আমরা ১৫টি মামলার তদন্ত করছি। প্রতিটি মামলার মোটিভ, গতি-প্রকৃতি আলাদা। মামলার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সাক্ষী-আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা, আলামত সংগ্রহ ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা। তবে মাদক মামলার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরেনসিক ও ক্যামিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। সেগুলো আমি করতে দিয়েছি। আসামি ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ আমাদের প্রায় শেষ পর্যায়ে।

তিনি বলেন, ফরেনসিক প্রতিবেদন পেলেই এ ১৫ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা শুরু করতে পারব। আমরা আশা করছি আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল করা শুরু হবে।

১৫ মামলার আসামি পরীমনি বা পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুদ ও সংগ্রহ করার বিষয়ে কী ধরনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি? জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, মাদক মামলার আলামত পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কি না তা জানতে কেমিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জব্দ মাদকের উৎস সম্পর্ক কি জেনেছে সিআইডি? জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন, কেউ বলেছেন বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন, কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেনো, এসব মাদক সংগ্রহে রাখা বা মজুদ রাখা আইনত অপরাধ।

১৫ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের তথ্য উপাত্ত পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, তদন্তের এই পর্যায়ে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য উপাত্ত ইনকোয়ারি পর্যায়ে আছি। মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে দুটি পর্যায়। একটি যাচাই বাছাই, আরেকটি ইনকোয়ারি। প্রায় ২২টি জায়গা থেকে রিপোর্ট পেতে হয়। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদি মনে হয় মানি লন্ডারিং হয়েছে তাহলে আমরা তদন্ত করব।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে সিআইডি তথ্য চেয়েছে কি না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেকের তথ্য চেয়েছি। যাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত কিছু আছে তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য চেয়েছি। আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করছি।

যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তার সঙ্গে ১৬১ ধারায় দেওয়া তথ্যের মধ্যে কী মিল বা কোনো পার্থক্য ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা ১৬৪ করেছে তাদের ১৬১ ধারায় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিল খুঁজেছি। যেটার মিল ছিল না সেটা আলাদা পার্ট করেছি। প্রয়োজনে সেগুলো আমরা আবার তদন্ত করব। তবে অনেক তথ্যের মিল ছিল।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪আগস্ট, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর