thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘খুন ও গুমের’ পাঁচ বছর পর জীবিত উদ্ধার!

২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৩ ০৮:২৮:৪২
‘খুন ও গুমের’ পাঁচ বছর পর জীবিত উদ্ধার!

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খুন ও গুমের অভিযোগে করা মামলার পাঁচ বছর পর নিখোঁজ রকিবুজ্জামান রিপনকে জীবিত উদ্ধার করেছে পিবিআই। আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। রকিবুজ্জামান রিপন মহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের গোভীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে রকিবুজ্জামান রিপনের সঙ্গে গাংনী হাটবোয়ালি গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে শ্যামলী খাতুনের বিয়ে হয়। পারিবারিক অশান্তির কারণে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সে শ্বশুরবাড়ি হাটবোয়ালি গ্রামে বসবাস করত। এরপর ২০১৭ সালে হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে রিপন নিরুদ্দেশ হয়। এর পর রিপনের বাবা মনিরুল ইসলাম ২০১৮ সালে ১০ ডিসেম্বর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৬৪/১০৯ পেনেল কোড ধারায় ছেলের বৌ শ্যামলি খাতুন, বেয়াই আকবর আলী, বিয়ান সুফিরন ও তক্কেল আলীর নামে মামলা করে।

রিপনের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ একবছর আমি আমার সন্তানের কোনো খোঁজ-খবর পাইনি। এরপর আমার বেয়াই আকবর আলী বিদেশে চলে যায়। এতে আমার সন্দেহ হয় আমার ছেলেকে খুন করে গুম করা হয়েছে। আমি কোর্টে মামলা করি। কোর্ট বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর ছবি নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের ৩টা বৌ। তবে সে কেন নিখোঁজ হয়েছিল আমি জানি না।

রিপোনের স্ত্রী শ্যামেলী খাতুন বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারির ৯ তারিখে আমাদের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকে সে আমাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করত। আমাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল আমাকে কিছু না জানিয়ে সে চলে যায়। এরপর থেকে সে আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমার শ্বশুর শাশুড়িকে বিষয়টি আমি জানাই। তখন তারা আমাকে বলে তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিলে তারা আমাকে নিয়ে আসবে। তাদের ছেলে আমার সঙ্গে সংসার করবে। কিন্তু আমার বাবার সে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আমার বাবা একজন দিনমজুর। এর কিছুদিন পর আমাদের বাড়ি পুলিশ যায়। পুলিশ আমাদের জানায় আমাদের নামে আমার স্বামীকে খুন করে গুমের অভিযোগ আছে। এরপরে পুলিশ তদন্তে করে রিপোর্ট দেয় সে আত্মগোপনে আছে। এরপর আদালত পিবিআইকে তদন্ত দেয়। তারা তদন্ত করে। আমি আর আমার মা বহু হয়রানির শিকার হয়েছি। আদালতের কাছে আমার দাবি আমার হয়রানির বিচার ও আমার সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যতের ব্যবস্থা যেন হয়।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর আগে একটা বৌ ছিল আমরা জানতাম না। তাছাড়া সে নেশা করত ও নারীর ওপর আশক্ত ছিল। আমি এগুলোতে বাধা দিলে আমাদের মধ্যে বিরোধ হয়।

কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শহীদ আবু সরোয়ার লিখিত প্রেস বিফিংএ বলেন, ভিকটিম রিপন কৌশলে মো. শরিফুল ইসলাম ছদ্ম নাম ধারণ করে গত ২০২০ সালের ১০ মার্চ গাইবান্ধা জেলার শিমিলা আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করে। এছাড়া সে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড ইলেকট্রিক্যাল পদে চাকরি করছিল। দীঘ ৫ বছর পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিপনকে সুস্থ ও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর