জোচ্চুরি ফাঁস সরকারি ওষুধে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ফেলোশিপ-২০২১ এর আওতায় এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক তৌহিদুর রহমানের নির্দেশনা ও সম্পাদনায় চার পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ হলো আজ।
শরীফুল রুকন: বাংলাদেশের কোনো নিজস্ব ওষুধ নেই, মানে কোনো ওষুধ উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করতে পারিনি আমরা। কোনো ওষুধের পেটেন্ট নেই আমাদের। তাহলে আমাদের ওষুধ শিল্প গড়ে উঠলো কীভাবে? এদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এতো রকম ওষুধ তৈরি করছে কীসের ভিত্তিতে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনীরউদ্দিন আহমদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের নভেম্বরে দোহায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনে ট্রিপস চুক্তি ও ওষুধের সহজলভ্যতার প্রশ্নে এক ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণায় ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশকে পেটেন্টপ্রাপ্ত যেকোনো ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করার অধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।
ট্রিপস চুক্তির আওতায় কোনো কোম্পানি নতুন ওষুধ আবিষ্কার-উদ্ভাবন করে বাজারজাত করলে প্রোডাক্ট পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্যতাবলে সেই কোম্পানিকে সরকার তার দেশে ২০ বছরের জন্য একচেটিয়া ব্যবসা করতে দিতে বাধ্য। ২০ বছর পার হওয়ার আগে সেই ওষুধ অন্য কোনো কোম্পানি উৎপাদন বা বাজারজাত করতে পারবে না। এই সময়কাল পার হলে ওষুধটি জেনেরিক হিসেবে পরিচিত লাভ করবে এবং যেকোনো দেশের যেকোনো কোম্পানি ওষুধটি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে। আর তখন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদন ও বাজারজাত হলে ওষুধটির দামও অনেক কমে আসে।
গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের ৮০ শতাংশই জেনেরিক, বাকি ২০ শতাংশ প্যাটেন্ট ওষুধ।
দোহা ঘোষণার আলোকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কোনো কোম্পানিকে ওষুধের পেটেন্টের জন্য মোটা খরচ করতে হয় না; কাঁচামালও আমদানি করা হয় সস্তা দরের; তাতে আবার মেলে শুল্ক-ভ্যাটে সরকারি ছাড়; তার ওপর আছে সামান্য কাঁচামাল দিয়েই বিপুল সংখ্যক ওষুধ তৈরির সুযোগ; সস্তা শ্রমিক-কর্মচারীর দেশে উৎপাদন খরচও কম; একইভাবে প্যাকেজিং-পরিবহন খরচও তুলনামূলক কম। এতো সব ‘কম’ মিলিয়ে এদেশে তাই ওষুধের দামও হবে অনেক কম- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হয় না অস্বাভাবিক বেশি বিপণন খরচের কারণে; আর এই বিপণন খরচের সিংহভাগটাই যে চলে যায় ডাক্তারের ‘উপহারে’, সেই বিবরণ গতকাল “ওষুধের দামে আগুন ডাক্তারের উপহারে” শিরোনামে প্রকাশিত প্রথম পর্বের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
বিপণনের এই অনৈতিক অংশটুকু ছাড়া ওষুধ প্রস্ততকারী কোম্পানিগুলোর খরচ যে অনেক কম, তার আরেকটি অকাট্য প্রমাণের সন্ধান পাওয়া গেছে তাদেরই আরেক বাণিজ্যে। সেটা হলো- সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ওষুধ সরবরাহ বাণিজ্য। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওষুধের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য বা এমআরপি লিখে দেয় ওষুধ কোম্পানিগুলো, সরকারি হাসপাতালে তার চেয়ে অবিশ্বাস্য কম দামে ওষুধ সরবরাহ দিচ্ছে তারা। এমনকি, গায়ের দামের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ভাগ কম দামেও ওষুধ সরবরাহের নজির মিলেছে অনুসন্ধানে।
এর কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রামভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি এলবিয়ন-এর কর্ণধার রাইসুল উদ্দিন সৈকত বলেছেন, সুনাম বৃদ্ধির জন্য শুধু খরচের টাকা নিয়ে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ বিক্রি করেন তারা। এক্ষেত্রে তারা কোনো লাভ করেন না।
এই ওষুধ কোম্পানি-মালিকের কথাই প্রমাণ দিচ্ছে, হয় ওষুধের এমআরপির সিংহভাগই তারা লাভ করছেন, যাকে লাভ না বলে ‘ডাকাতি’ বলাই সঙ্গত, অথবা যৌক্তিক লাভ রাখার পর বাকিটা খরচ হয়ে যাচ্ছে বিপণনে, যেখানে আবার বেশিরভাগটাই ডাক্তারের উপহারে।
শুধু কোম্পানি মালিকের কথায় নয়, অনুসন্ধানেও মিলেছে কম খরচে ওষুধ প্রস্ততের অকাট্য সব তথ্য-প্রমাণ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালকে প্রতি বছর ওষুধ কেনার জন্য প্রায় ১৬ কোটি ৫ লাখ টাকা দেয় সরকার। এই টাকায় ৭০ ভাগ ওষুধ সরকারি কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড থেকে এবং ৩০ ভাগ ওষুধ বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনার বিধান রয়েছে। বেসরকারি কোম্পানি থেকে কেনা ওষুধগুলোর নাম ও দাম জানতে চাইলে- গত ৩ মার্চ চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এরপর ডা. হুমায়ুনের কাছে গেলে তিনি আবার পাঠান স্টোর অফিসার হেলাল উদ্দিনের কাছে। হেলাল উদ্দিন প্রথমে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। এক পর্যায়ে হেলাল বলেন, ‘কোন কোন ওষুধের দাম চান, সেগুলো বলুন। ওই ওষুধগুলো আমরা কিনে থাকলে তথ্য দেবো। পুরো তালিকা দেয়া যাবে না।’ এরপর ১২টি ওষুধের জেনেরিক নাম দেওয়া হলে হেলাল জানান, কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর তথ্য নেই। অনেক পীড়াপীড়ির পর চলতি অর্থবছরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা নয়টি ওষুধ-ইনজেকশনের দাম লিখে দেন তিনি, কিন্তু কোন কোম্পানি থেকে ওষুধগুলো কেনা হয়েছে, তা আর জানাননি।
এরপর ৭ মার্চ আবার চমেক হাসপাতালে গিয়ে কোম্পানির নাম জানার চেষ্টা করলে আগে লিখে দেয়া সেই ওষুধগুলোর দামের তালিকাটি কেড়ে নেন স্টোর অফিসার হেলাল উদ্দিন। এ সময় হেলাল বলেন, ‘এভাবে লিখে দেয়ার নিয়ম নেই। সেদিন আমি ভুল করে ফেলেছি। আমরা কম দামে ওষুধ কিনি- এ তথ্য বাইরে চলে গেলে কোম্পানিগুলো আমাদেরকে আগামীতে আর কম দামে ওষুধ দেবে না।’ এসব কথা বলে আগে লিখে দেয়া কাগজটি নিয়ে সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. হুমায়ুনের কক্ষে যান হেলাল। বেশ কিছুক্ষণ পর ফিরে আসেন এবং এ প্রতিবেদককে ডা. হুমায়ুনের কক্ষে নিয়ে যান। তখন হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এমআরপি রেটের অনেক কম দিয়ে আমরা ওষুধ কিনে থাকি। যাদের কাছ থেকে কিনি, সব প্রতিষ্ঠানই বড় এবং নামি-দামি। মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবাই তাদের চেনে। কিন্তু কম দামে ওষুধ কেনার তথ্য প্রকাশ করা হলে আগামীতে হয়তো আমরা ওই দামে আর নাও পেতে পারি। তারা ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেবে। এতে গরীব রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ এ কারণে ওষুধের দাম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধও জানান তিনি।
কম দামে ওষুধ কিনতে না পারায় দরিদ্র রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ডা. হুমায়ুন দাবি করলেও বিনামূল্যের ওষুধ চুরি করে ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছে চমেক হাসপাতালেরই কর্মচারীরা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সরকারি ওষুধসহ গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান। এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকে ওষুধ কেনার তথ্য না দিলে জনমনে আরও বিরূপ ধারণা তৈরি হবে জানালে হুমায়ুন কবির ৩ মার্চ এ প্রতিবেদককে দেয়া ৯টি ওষুধ-ইনজেকশনের তালিকাটি ফিরিয়ে দিতে বলেন স্টোর অফিসার হেলালকে। কিন্তু কোম্পানির নাম আর দেননি তারা।
চমেক হাসপাতালের স্টোর অফিসার হেলাল উদ্দিনের লিখে দেয়া তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চমেক হাসপাতালে মন্টেলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের ক্রয়মূল্য প্রতিটি মাত্র ১.৩০ টাকা। এই জেনেরিকের ওষুধটি মোনাস নামে বিক্রি করছে একমি; করোনা চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া মোনাস ১০ মিলিগ্রাম প্রতিটি ট্যাবলেট সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬ টাকা। অর্থ্যাৎ এমআরপি দামের প্রায় সাড়ে ১২ ভাগ কম দামে ওষুধটি কিনেছে চমেক হাসপাতাল। এছাড়া ওষুধটি তিনটি পৃথক নামে বিক্রি করছে বেক্সিমকো, এরিস্টোফার্মা ও এপেক্স; তাদের সবার ওষুধের প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা।
এসিক্লোফেনাক ১০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কেনা হয়েছে প্রতিটি মাত্র ৬৮ পয়সায়। খোলা বাজারে এই ওষুধটি কম দামে দিতে দেখা যাচ্ছে এসকেএফ’কে। তাদের ব্র্যান্ড নাম- টাফক্স ১০০ মিলিগ্রাম, প্রতিটি ট্যাবলেটের এমআরপি দাম ৩ টাকা। অর্থ্যাৎ এমআরপি দামের প্রায় সাড়ে চার ভাগ কম দামে ওষুধটি কিনেছে চমেক হাসপাতাল।
ব্রোমাজেপাম ৩ মিলিগ্রাম- ওষুধটি প্রতি পিস চমেক হাসপাতাল কিনেছে মাত্র ৫৫ পয়সায়। খোলা বাজারে এই ওষুধটি কম দামে দিতে দেখা যাচ্ছে বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন কোম্পানিকে। ওষুধটির বেক্সিমকোর ব্র্যান্ড নাম- নাইটাস। প্রতিটি ট্যাবলেটের এমআরপি দাম ৩ টাকা। অর্থ্যাৎ এমআরপি দামের অনেক কম দিয়ে এই ওষুধটিও কিনেছে চমেক হাসপাতাল।
গ্লিক্লাজাইড ৮০ এমজি ট্যাবলেট প্রতিটি মাত্র ১ টাকা ৪০ পয়সায় কেনা হয়েছে। ওষুধটি ‘গ্লিক্রন’ নামে বাজারে ছেড়েছে রেনেটা; প্রতি পিসের দাম ৭ টাকা। গ্লুকোজিড নামে ছেড়েছে এরিস্টোফার্মা; প্রতি পিসের দাম ৭ টাকা। তবে এই জেনেরিকের ওষুধ আরও কয়েকটি অখ্যাত বা ছোট কোম্পানি ৪ থেকে ৫ টাকায়ও বিক্রি করছে।
ক্লোপিডোগ্রেল ৭৫ এমজি ট্যাবলেট কেনা হয়েছে প্রতিটি এক টাকায়। ওষুধটি ‘ক্লোরেল’ নামে তৈরি করেছে এসিআই; প্রতিটির দাম ১২ টাকা। রেনেটা, পপুলার, একমি, স্কয়ার, ওরিয়নসহ বিভিন্ন কোম্পানি পৃথক ব্র্যান্ড নামে ওষুধটির সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য রেখেছে ১২ টাকা। অর্থ্যাৎ ১২ ভাগ কম দামে ওষুধটি কিনেছে চমেক হাসপাতাল।
অ্যামোক্সিসিলিন+ক্লাভুল্যানিক অ্যাসিড ইনজেকশন চমেক হাসপাতাল কিনেছে ১০৪.২৯ টাকায়। এটি ‘অ্যাভলোক্লাভ’ নামে বাজারে ছেড়েছে এসিআই; এমআরপি ৩০০ টাকা। ফ্লুক্লোক্সাসিলিন ৫০০ মিলিগ্রাম ইনজেকশন ১৯.৫৮ টাকায় কিনলেও ফিলোপেন নামে এটি বাজারে দিয়েছে স্কয়ার; এমআরপি দাম ৪৫.৩ টাকা।
অবিশ্বাস্য কম দামে ওষুধ কিনতে পারার কারণ জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘শুধু চমেক হাসপাতাল নয়, ঢামেক হাসপাতালসহ আরও অনেক হাসপাতালে এমন কম দামে ওষুধ কেনা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ বিক্রির সময় কোম্পানিগুলো তেমন লাভ করতে চায় না। তাছাড়া এখানে ওষুধ সরবরাহ দিলে তাদের মার্কেটিং খরচটা বেঁচে যায়। প্যাকেজিংয়ের খরচটাও কম হয়। অর্থ্যাৎ বাজারে যে ওষুধটা যায়, তার প্যাকেট-প্যাকেজিং আরেকটু উন্নতমানের হয়।’ তিনি বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে টেন্ডারে ওষুধ কেনা হয়। সরাসরি কিনলে আরও কম। টেন্ডারে নিলে আরেকটু বেশি।’ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘সাড়ে তিনশ টাকার ওষুধ একশ টাকায় পাওয়া যায়, আমি নিজে কিনেছি। একবার একটি জাহাজ বৈরুত যাচ্ছিল। ওই জাহাজের জন্য কিনেছিলাম।’
এদিকে গ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলো কী দামে ওষুধ কেনে তা দেখার জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করা হয়। অনেক চেষ্টা করে মাত্র ১২টি ওষুধের নাম ও মূল্যের তথ্য পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে গ্লিক্লাজাইড ৮০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিটি মাত্র ২.৬০ টাকায় এসকেএফ থেকে কিনেছে হাসপাতালটি; বাজারে যার এমআরপি প্রতিটি ৭ টাকা। এখানে আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয়, গ্লিক্লাজাইড ৮০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি চমেক হাসপাতাল কিনেছিল প্রতিটি মাত্র ১ টাকা ৪০ পয়সায়; অর্থ্যাৎ আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে আরও ১ টাকা ২০ পয়সা কমে।
ক্লোপিডোগ্রেল ৭৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিটি মাত্র ৪.৬০ টাকায় এসকেএফ থেকে কিনেছে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে বাজারে এটির এমআরপি ১২ টাকা। তবে এই ট্যাবলেট চমেক হাসপাতাল কিনেছে প্রতিটি এক টাকায়; অর্থ্যাৎ আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে আরও ৩ টাকা ৬০ পয়সা কমে। যতগুলো ওষুধের নাম পাওয়া গেছে, সবগুলোরই কম বেশি একই অবস্থা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের স্টোর অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ওষুধ কেনার বিষয়টিতে প্রভাবশালীরা প্রভাব বিস্তার করে। চাকরি করতে হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তদবির শুনতে হয়। যার কারণে উপজেলার হাসপাতালগুলো বাড়তি দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য হয়। কিন্তু আমাদের চমেক হাসপাতাল, বড় হাসপাতাল, এখানে এসব প্রভাব চলে না। ছোট কোম্পানিগুলো এখানে ওষুধ বিক্রি করতে পারে না। আমাদের সরবরাহকারী সব বড় কোম্পানি।’
একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রিপন দত্ত বলেন, ‘বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিগুলোর হাসপাতালের জন্য মূল্য তালিকা আর মার্কেটের জন্য মূল্য তালিকা- দুইটির ব্যবধান দেখে আমি নিজেও অবাক! কীভাবে সম্ভব? এখানে পলিসি কী তা আসলে ওষুধ কোম্পানিগুলোই ভালো জানে। এসব বিষয় সবাই অবগত।’
সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর কম দামে ওষুধ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘কেন কম দামে দিতে পারে, সেটা তো জানি না।’
আবার সরকারি বরাদ্দের যে ৭০ ভাগ ওষুধ এসেনসিয়াল ড্রাগস থেকে কেনার বিধান রয়েছে, সেখানেও খোঁজ নিয়ে ওষুধের দাম বেসরকারি কোম্পানিগুলেঅর তুলনায় অস্বাভাবিক কম পাওয়া গেছে। যেমন, সেফিক্সাইম ক্যাপসুল ২০০ মিলিগ্রাম প্রতিটির দাম সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস রাখছে ১৯ টাকা। এই ওষুধটি ৩৫ টাকা দামে বিক্রি করছে স্কয়ার, বেক্সিমকো, এসিআই, অপসোনিন, এরিস্টোফার্মা, এসকেএফ, বায়োফার্মাসহ অনেক কোম্পানি। একই ওষুধ রেডিয়েন্ট কোম্পানি আবার বিক্রি করছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকায়। ওমিপ্রাজল ২০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল প্রতিটি ২.৭৫ টাকায় বিক্রি করছে এসেনসিয়াল ড্রাগস। একই ওষুধ স্কয়ার বিক্রি করছে প্রতিটি ৬ টাকায় আর এসকেএফ, এরিস্টোফার্মা, অপসোনিন, হেলথকেয়ার, রেনেটা, ইবনেসিনা ও রেডিয়েন্টসহ অনেক কোম্পানি বিক্রি করছে ৫ টাকায়।
সরকারি হাসপাতালে বা টেন্ডারে কম দামে ওষুধ বিক্রির কারণ জানতে চেয়ে গত ১২ মার্চ সকালে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যলস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, এসকেএফ, পপুলার, অপসোনিন, বিকন, ল্যাবএইড, ইবনে সিনা, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, এসিআই, একমি, এরিস্টোফার্মা, হেলথ কেয়ার, রেনেটা ও বায়োফার্মার প্রধান কার্যালয়ে ইমেইল করেন এ প্রতিবেদক। প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে বার্তাগুলো পাঠানো হলেও এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কেউ সাড়া দেয়নি।
তবে বায়োফার্মার সহকারী ম্যানেজার আলী আকবর বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করলে অন্য কোনো খরচ থাকে না, যার কারণে দাম কম রাখা সম্ভব। কিছু কোম্পানি হয়তো নিম্নমানের ওষুধ সরকারি হাসপাতালে দেয়, যার কারণে দাম কম। আমাদের কোম্পানি সরকারি হাসপাতালে যা দিয়ে থাকে সেটা, আর ফার্মেসির জন্য যা দেয় সেটার মান একই। যেহেতু সরকারি হাসপাতালে ওষুধ দিলে অন্য কোনো খরচ থাকে না, কোম্পানিগুলো সেখানে অল্প দামে ওষুধ দেয়।’
(সৌজন্যে: একুশে পত্রিকা)
(দ্য রিপোর্ট/ টি আই এম/৩১ মার্চ,২০২২)
পাঠকের মতামত:
- সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব ‘সিলগালা খামে’ দিতে হবে
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে ২০ কোম্পানির
- ইউক্রেনে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার বড় ধরনের হামলা
- রমজানের পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘সিঙ্গেল ইস্যুতে’ সীমাবদ্ধ নয়: প্রণয় ভার্মা
- পতিত আ. লীগ সরকার রিজার্ভ তলানিতে রেখে গিয়েছিল: ইউনূস
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- ভারতীয় হেজিমনি পরাজিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে: মাহমুদুর রহমান
- "অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার মহাপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে পতিত স্বৈরাচার"
- ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ পেল ইসলামী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৮৭ কোটি টাকা
- ২-১ গোলের জয়ে বছর শেষ করল বাংলাদেশ
- গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলা চলছেই, নিহত আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- বিএনপিকে যারা থামাতে গেছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে : আমীর খসরু
- "নির্বাচনে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ গুরুতর অন্যায়"
- ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরো ৮ প্রাণ, মৃত্যু ছাড়াল ৪ শ’
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা রশিদ গ্রেপ্তার
- গঠিত হলো বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টকেন্দ্রীয় কমিটি
- রান্নার ঝামেলা দূর করে সময় বাঁচাতে মিনিস্টার মিক্সার গ্রাইন্ডার
- হজের প্রাথমিক নিবন্ধন চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত
- শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
- শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্টের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
- গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ৭ দাবি
- আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
- টাকা পাচার মামলায় ফালুসহ ৩ জনকে অব্যাহতি
- দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাউদ্দিন
- অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
- সরকার চাইলে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সংস্কার চান তারেক রহমান
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হলো
- "দল-পরিবার ক্ষমা চাইলে শেখ মুজিব সম্মান পাবেন, তার আগে নয়"
- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
- উপদেষ্টাদের আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা
- আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ
- রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি
- জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান ড. ইউনূসের
- ডিএসইতে সূচক বাড়লেও সিএসইতে কমেছে
- থাকবে না এফবিআই, মাস্ক-বিবেককে নতুন দপ্তর দিলেন ট্রাম্প
- প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো না বাংলাদেশের
- খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলা বাতিল
- কাকরাইল মসজিদ নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা
- জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ‘তিন শূন্য’ ধারণা তুলে ধরলেন ড. ইউনূস
- "নতুন বছরের প্রথম মাসেই মিলবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক"
- বিপ্লবের ১০০ দিন পর ইনডেমনিটির প্রয়োজন কেন: ড. মঈন
- উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের অনাগ্রহ থাকলে খতিয়ে দেখব: মাহফুজ আলম
- অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক আসবে: আসিফ
- চার মাসে ৫৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল ব্যাংক ঋণ
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন কলেজ শিক্ষার্থী রাশেদ
- ‘কৃষি ধ্বংস করে বড় বড় কোম্পানি কাজ করছে"<
- পুলিশে ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি
- তাবলীগের ‘শূরায়ে নিজাম’পন্থিদের প্রতি সাদপন্থিদের খোলা চিঠি
- বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে : তথ্য উপদেষ্টা
- ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো: আসিফ নজরুল
- জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
- ৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
- নিজের স্বার্থেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু, দাবি ইসরাইলি জেনারেলের
- এবার সিন্ডিকেটের কবলে ভোজ্যতেল, সংকট তৈরি করে বাড়াচ্ছে দাম
- গুরবাজের শতক, ওমরজাইয়ের ছক্কায় সিরিজ আফগানিস্তানের
- শফিক রেহমানও আওয়ামী ছোবল থেকে রক্ষা পাননি: রিজভী
- আজ থেকে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু
- জনকল্যাণে কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে চাই: আসিফ মাহমুদ
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬৪ কর্মকর্তার বদলি-পদায়ন
- ২২ দলের কাছে প্রস্তাব চেয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
- তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান করবে না বিএনপি
- আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার
- চীনের সিআইআইই মেলায় অংশ নিয়েছে ওয়ালটন
- ন্যামস মোটরসের সাথে দুই চীনা কোম্পানির যেসব খাতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত
- সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি: ২ ব্রোকারকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬৪ কর্মকর্তার বদলি-পদায়ন
- নিজের স্বার্থেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু, দাবি ইসরাইলি জেনারেলের
- আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ
- ৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
- এবার সিন্ডিকেটের কবলে ভোজ্যতেল, সংকট তৈরি করে বাড়াচ্ছে দাম
- আজ থেকে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু
- তাবলীগের ‘শূরায়ে নিজাম’পন্থিদের প্রতি সাদপন্থিদের খোলা চিঠি
- আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার
- ‘কৃষি ধ্বংস করে বড় বড় কোম্পানি কাজ করছে"<
- ২২ দলের কাছে প্রস্তাব চেয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
- পুলিশে ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি
- মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সংস্কার চান তারেক রহমান
- জনকল্যাণে কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে চাই: আসিফ মাহমুদ
- বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে : তথ্য উপদেষ্টা
- জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
- চার মাসে ৫৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল ব্যাংক ঋণ
- ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো: আসিফ নজরুল
- তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান করবে না বিএনপি
- আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
- বিপ্লবের ১০০ দিন পর ইনডেমনিটির প্রয়োজন কেন: ড. মঈন
- গঠিত হলো বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টকেন্দ্রীয় কমিটি
- ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন কলেজ শিক্ষার্থী রাশেদ
- কাকরাইল মসজিদ নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা
- গুরবাজের শতক, ওমরজাইয়ের ছক্কায় সিরিজ আফগানিস্তানের