thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

রমনায় বোমা হামলা: ২১ বছরেও হয়নি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

২০২২ এপ্রিল ১৪ ০৭:৫৯:৪২
রমনায় বোমা হামলা: ২১ বছরেও হয়নি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনার বটমূলে বোমা হামলার একুশ বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় হলেও বিস্ফোরক মামলায় তাও হয়নি।

হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালতে আসে। গত জুনে মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায়ও আসে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আর শুনানি হয়নি।

এদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাটি ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই মামলায় নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য আছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা দিয়েছে আসামিপক্ষ। তাই মামলাটি নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হতেই আরও সময় লাগবে।

২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারক) নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। এ আদালতে মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর্যায়ে থাকলে আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির শুনানি এগোয়নি। পরে গত ৫ বছরে মামলাটি হাইকোর্টের আরও কয়েকটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় গেলেও আর শুনানি হয়নি।

এ বছরের ২১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটির। মামলায় ৫৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে এই মামলায়।

প্রসঙ্গত ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

ওই বছরের ১৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় দেন।

রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই বছরের ২৬ জুন ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য ঢাকার আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ছাড়া কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করে।

এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এরপর শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।

মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি সিলেটের একটি মামলায় (ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা) কার্যকর হওয়ায় এই মামলায় তার আর বিচার হচ্ছে না। ফলে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৭ আসামি হলেন-মাওলানা আকবর হোসেন, মাওলানা আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান।তাদের মধ্যে আকবর হোসেন ও আরিফ হাসান সুমন কনডেম সেলে বন্দি। অন্যরা পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া ও হাফেজ মাওলানা আবু তাহের। তারা সবাই কারাবন্দি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ এপ্রিল, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর