thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১,  ৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

২০২৪ আগস্ট ১৭ ২২:১১:৫৯
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) তিন মাস ২৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর ২৮টি বস্তায় টাকাগুলো ভরা হয়।

টাকা গণনা করে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াস্বর্ণ-রুপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।

এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে পাগলা মসজিদের এসব দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ এবং সন্ধ্যার পর টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ আরও অনেকেই।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাকা গণনা কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদরাসার ২৫৭ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়।

এবার তিন মাস ২৬ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়াও দানকৃত গবাদি পশু ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করে টাকাগুলো মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়।

এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মসজিদের দান বাক্স খুলে গণনা করে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ

বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর