অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ

সুজায়েত শামীম সুমন: বাংলাদেশে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক জটিল সময় অতিবাহিত করছে। যেখানে রয়েছে নানামুখী ষড়যন্ত্র, কোথাও কোথাও এক শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীর পরোক্ষ অসহযোগীতা, অস্থিতিশীল অর্থনীতি এবং জনগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা। তারপরও আমরা সৌভাগ্যবান যে স্বেচ্ছাচারি একটি সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত এমন একজন সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্ৰহণ করেছেন।
জুলাইয়ের আন্দোলন এবং গণ অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাজানো প্রশাসনের খুববেশি রদ বদল করা সম্ভব হয়নি। এদের বড় একটি অংশ সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চললেও চরিত্র বদল হয়নি। মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেনি। কেননা পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে ভয়ংকর রকমের লোভী একটি শ্রেণীর উদ্ভব ঘটিয়েছেন; যারা তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে একদিকে যেমন সহযোগিতা করেছিলেন, অপরদিকে জবাবদিহিতার উর্ধ্বে থাকা এই গোষ্ঠী নিজেদের পেশাগত নৈতিকতা জলাঞ্জিল দিয়ে অবৈধ পন্থায় বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক হতে পেরেছেন। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় তাদের ধ্যান, ধারণা ও চিন্তা চেতনায় মজ্জাগত হয়ে গেছে অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জনের বিকারগ্রস্থ মানসিকতা। তাইতো এতবড় গণহত্যার পরও তাদের কাছে এখনো ‘দেবতুল্ল’ পলাতক শেখ হাসিনা।
৫ আগস্টের পর থেকে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু বহুকাল ব্যাপী আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে অনিয়ম, অনৈতিকতা, অনাচার, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, বৈষম্য সহ নার্সিসিজমের যে বিকাশ ঘটেছে; তা থেকে সহসা উত্তরণ ঘটানো যাচ্ছে না। আবার সবকিছুর সংস্কার করার প্রয়োজনে লম্বা সময় ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখা অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্ষেত্রে সঙ্গত নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোন একক নীতিমালা নেই। তবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), শান্তি ও সংঘাত-বিষয়ক ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অফ পিস (USIP) এবং ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়া (IDEA) সংস্থাগুলো বিভিন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন ও পরিচালনা নিয়ে নির্দেশিকা বা গাইডলাইন দিয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জাতিসংঘ সাধারণত অন্তর্বর্তী সরকারগুলোকে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। ইউএন ডকুমেন্ট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কনভেনশন; বিশেষ করে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার (UDHR) ২১ ধারাতে জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের অধিকার নির্ধারণ করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। মূলত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়; যাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয় এবং কোন দীর্ঘস্থায়ী সরকার সংকট তৈরি না হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, সংঘাত এড়ানো এবং দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই থাকে তাদের প্রধান লক্ষ্য। নানা প্রেক্ষাপটে যেমন ধর্ম বা জাতিগত বিভাজন, গণ অভ্যুত্থান, যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সরাসরি তত্বাবধায়ন, পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপ কিংবা ক্রান্তিকাল বিবেচনায় সেনা ও সুশীল সমাজের উদ্যোগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ইতিহাস রয়েছে। এ ধরণের সরকার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের প্রত্যাশা পূরণের প্রতি জোর দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতা ধরে রাখলে রাজনৈতিক সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অর্থনৈতিক প্রভাব ও বিনিয়োগে বাধা, আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও সমর্থনের ক্ষতি, বিদেশি প্রভাব ও হস্তক্ষেপ, জনমনে অসন্তোষ, স্থিতিশীলতার অভাব সহ নানমুখী প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
এ প্রসঙ্গে আলোচনার শুরুতে আমরা উদাহরণ হিসাবে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতার পথে ভারতকে দুই ভাগে বিভক্ত করার ঘটনাটি উল্লেখ করতে পারি। ইতিহাসবিদ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রভাষক রাকেশ অঙ্কিত এর গ্রন্থ "India and the Interregnum: Interim Government, September 1946–August 1947" এবং ভারতীয় ইতিহাসবিদ লেখক বাল রাম নন্দ রচিত Jawaharlal Nehru: Rebel and Statesman বইয়ে উল্লেখিত তথ্য মতে ১৯৪৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ভারতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল; যার প্রধান ছিলেন জওহরলাল নেহরু। এই সরকার ব্রিটিশ ভারতের শেষ প্রশাসন হিসেবে কাজ করে এবং ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। উপ-রাষ্ট্রপতির পদে থেকে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেন জওহরলাল নেহরু। প্রসঙ্গক্রমে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ধর্মভিত্তিক বিভাজনের সুত্র ধরে দাঙ্গা হাঙ্গামায় অস্থির হয়ে থাকা গোটা দেশকে সমাধানের পথে নিতে মাত্র এক বছরের কম সময় নিয়েছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান জওহরলাল নেহরু।
১৯৯৩ সালে ক্যাম্বোডিয়ায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। দুই বছরের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন হুন সেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও দেখা যায় নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। এই সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে Government of National Unity (GNU) নামে অভিহিত করা হয়। তিনি একটি নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বর্ণবাদী শাসন থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়। যদিও এই বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে মোট ২৭ বছর কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছিল।
সাউথ আফ্রিকা হিস্ট্রি অনলাইন, নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত একাধিক জার্নালে দেখা যায় নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা তথা অ্যাপার্টহেইডের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (ANC) সদস্য ছিলেন এবং সংস্থাটির সামরিক শাখার সহ প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠনটি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বর্ণবৈষম্যের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছিল এবং ১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন।
২০১১ সালে মিসরে ১৮ দিনের বিক্ষোভের পর হোসনি মুবারকের পতন ঘটে এবং সামরিক পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় যারা এক বছরের মধ্যে একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা প্রয়োজন লিবিয়া, নেপাল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তত্ববধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা দেখা গেছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানবাধিকারের সুরক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জাতিগত ও রাজনৈতিক সংহতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এ ধরণের সরকার।
অতীতে বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেন পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়কের আদলে সেনা সমর্থিত একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল; যারা রাজনৈতিক সংঘাত কমানোর উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
নিরপেক্ষ ভোটের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের প্রথম গঠিত হয় ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর। প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদকে প্রধান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করা হয়। যদিও এটি তখন সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে ছিল। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটির সময়কাল ছিল ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ২০ মার্চ ১৯৯১। এরপর সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বিএনপি। পরবর্তিতে ১৯৯৬ সালে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এটির সময়কাল ছিল ৩০ মার্চ ১৯৯৬ থেকে ২৩ জুন ১৯৯৬। সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিজয় হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালে ফের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। বিচারপতি লতিফুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছিল ১৫ জুলাই ২০০১ থেকে ১০ অক্টোবর ২০০১। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ফের বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর ২৯ অক্টোবর ২০০৬ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত প্রথমে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ অস্থায়ী দায়িত্বে ছিলেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে ফখরুদ্দীন আহমদ তত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী দীর্ঘ মেয়াদী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল এবং দুই বছর সময় নিয়ে ২০০৮ সালে নির্বাচন আয়োজন করে। ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তারা নিরপেক্ষ এবং গ্ৰহণযোগ্য তত্ববধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনে রাষ্ট্রের সকল শক্তির অপব্যবহার করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে।
এই ইতিহাস নতুন করে উল্লেখ করার কিছু নেই। বরং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া, বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বঞ্চিত করার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা পলাতক শেখ হাসিনা ও তাঁর রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগীদের পলাতক এবং জেল জীবন দেখে টের পাওয়া যাচ্ছে। একই সাথে রাজনীতি এবং রাজনীতির বাইরে থাকা প্রতিটি মানূষের কাছে পুরো বিষয়টি মহা মূল্যবান এক শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় এবং অপকর্ম করলে জনগণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
বাস্তবতা হলো এটাই যে জুলাইয়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার পতনের ঘটনা আকস্মিক কিছু নয়; বরং সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমাগত সংগ্রাম, আত্নত্যাগ এবং সমাজের এক শ্রেণী সাহসী মানুষের প্রতিবাদের ধারাবাহিকতার চুড়ান্ত প্রতিফলন।
প্রকৃত সত্য এটাই যে গণহত্যার মত ভয়াবহ ঘটনার পরও ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলটি নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নেয়া পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া কয়েকটি ফোন কল এবং পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এটির প্রমাণও মিলেছে। দেশের চলমান প্রেক্ষাপট এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে বলা যায়, নির্বাচন বিলম্বিত করা রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনগণের আস্থার ক্ষয় এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক সমালোচনার মতো ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে লিবিয়া এবং সুদানের মতো বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাগুলো ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী অন্তর্বর্তী প্রশাসন অস্থিতিশীলতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করেছিল।
পরিশেষে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে রাষ্ট্র পরিচালনা অত্যন্ত গুরুতর ও দায়িত্বশীল কাজ; যা শুধুমাত্র অভিজ্ঞ নেতারাই সফলভাবে সম্পাদন করতে পারেন। শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকলেই রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় না। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কাজ করতে হলে দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা প্রয়োজন; যাতে জনগণের চাহিদা, সামাজিক পরিস্থিতি এবং কূটনৈতিক বিষয়ের খুটিনাটি বুঝতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা ও অভিজ্ঞতার গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল, সক্রেটিস সহ বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলেছেন, "Experience is the foundation of wisdom." তাদের মতে, একজন শাসককে অবশ্যই পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং তা রাষ্ট্র পরিচালনায় কাজে লাগাতে হবে।
পাঠকের মতামত:

- গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবীর আটক
- এসকিউ ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি
- হ্যান্ডবল ও সাঁতারে ১৯ বছর পর কোচ নিয়োগ
- পিএসএলে উড়ছেন রিশাদ, উড়ছে লাহোরও
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার
- লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াত আমির
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
- ট্রাম্পের এক কর্মকর্তা ঢাকায়, আরেকজন আসছেন বুধবার
- ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বে ষষ্ঠ দূষিত শহর ঢাকা
- ধানমন্ডিতে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়, ভাইরাল ভিডিওর সেই যুবক আটক
- গাজায় নিহত আরও ২৩ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ছাড়াল ৫১ হাজার
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশি জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪২১তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪২০তম পর্ষদ সভা
- বিশ্ব পানি দিবসে ওয়ালটন বাজারে আনল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াটার পিউরিফায়ার
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
- এবার ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সিলেটের কাওসার আহমেদ
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও লুবানা জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মর্তুজা
- গণহত্যা মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার
- গণতান্ত্রিক আকাঙ্খা থেকেই এ অভ্যুত্থান: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে শেষ হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা
- প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বার্তায় হঠাৎ কোকিলের গান, রহস্য জানালেন প্রেস সচিব
- ব্যতিক্রমধর্মী ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ
- "আলোচনা-ঐক্যের মাধ্যমে রোডম্যাপসহ সব সমস্যা সমাধান হবে"
- মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ
- সূচকের পতন, কমেছে শেয়ারদর
- যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি থাকা বিদেশিদের নিবন্ধন করার নির্দেশ
- শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ
- পাঁচ কোটির সম্মেলনে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ৩১০০ কোটি টাকার
- আমরা হিংসা-বিদ্বেষহীন দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
- সারা দেশে সব মসজিদে একই সময় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা
- পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’
- বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
- সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়: রিজভী
- বৈচিত্র্য নিয়ে জাতির জীবনে ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ: তারেক রহমান
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ শেখ হাসিনার বিচার করা
- পয়লা বৈশাখে যান চলাচলে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ আবারও তৈরি হচ্ছে চারুকলায়
- আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ১৭ ঘণ্টা পর এক ইউনিট চালু
- আমাদের হৃদয়ে বাস করছে একেকটা গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজহারী
- সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
- ঢাকার সমাবেশ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
- মার্চ ফর গাজায় কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসায় প্রস্তুত ঢামেক
- নিম্ন আদালত মনিটরিংয়ে হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি
- ঢাকার বুকে গর্জে উঠবে গাজার মুক্তির আওয়াজ, চলছে জোর প্রস্তুতি
- গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে নিহত ২৬
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
- দেশ থেকে আড়াই-তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে: গভর্নর
- গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেড ক্রস
- এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- কারাগারে অভিনেত্রী মেঘনা আলম
- বিএসইসির নিরাপত্তা জোরদার, দায়িত্বে আনসার
- ১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে
- ডিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহ, তদন্তে নেমেছে বিসিবি
- এবার চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
- বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮
- সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া নুরুল আবছার আটক
- রিটার্ন না দিলে ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান
- বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী
- সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি
- স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বেও ড. খলিলুল রহমান
- পহেলা বৈশাখে থাকছে ব্যাপক নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
- ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: উপদেষ্টা
- গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত ৩৫
- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
- চীন বাদে অন্যসব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প
- দীর্ঘ ছুটি শেষে খুললো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
- স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
- সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি
- পহেলা বৈশাখে থাকছে ব্যাপক নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
- সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া নুরুল আবছার আটক
- ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ আবারও তৈরি হচ্ছে চারুকলায়
- এবার চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বেও ড. খলিলুল রহমান
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি
- ঢাকার সমাবেশ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
- কারাগারে অভিনেত্রী মেঘনা আলম
- ১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে
- এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত ৩৫
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
- রিটার্ন না দিলে ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান
- ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: উপদেষ্টা
- বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী
- বিএসইসির নিরাপত্তা জোরদার, দায়িত্বে আনসার
- বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮
- চীন বাদে অন্যসব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প
- ডিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহ, তদন্তে নেমেছে বিসিবি
- গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেড ক্রস
- মার্চ ফর গাজায় কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসায় প্রস্তুত ঢামেক
- ঢাকার বুকে গর্জে উঠবে গাজার মুক্তির আওয়াজ, চলছে জোর প্রস্তুতি
