thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ 25, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১,  ১২ রমজান 1446

বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

২০২৫ মার্চ ১২ ১৩:১৮:৩৫
বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বহির্বিভাগে এ কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই আমরা বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা। কামরাঙ্গীরচর থেকে আসা পপি আক্তার নামে এক রোগী জানান, সকালে চিকিৎসাসেবা নিতে বহির্বিভাগে আসার পর দেখি চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন না। পরে রোগীরা হট্টগোল শুরু করেন। চিকিৎসকরা কি দাবি জানিয়েছেন তা তো আমরা জানি না। আমরা তো এসেছি চিকিৎসা নিতে।

চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি হলো

১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এ ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর