thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে 25, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,  ২৭ জিলকদ  1446

 

ফুটবলীয় ছড়া

২০১৪ জুন ২৪ ১৭:১৬:২৬

বিশ্বকাপ
খালেক বিন জয়েনউদদীন

ফুটবল গুডবল বলে ভাই লোকেরে
কেউ হারে কেউ জেতে কেউ কাঁদে শোকেরে।

শোক পেয়ে তবু দেখে বয়ে যায় বেলারে
কাজ ফেলে দিন-রাত তবু দেখে খেলারে।

কাপ নিয়ে কাড়াকাড়ি কেউ মারে গুতোরে
লাথি খেয়ে চিৎপাট কেউ খোঁজে সুতোরে।

কার দল জিতে নেবে বিশ্বের কাপটা—
এই নিয়ে দলাদলি, খাও পাটিসাপটা।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার খালেক বিন জয়েনউদদীনের জন্ম : ১৯৫৪ সালের ২৪শে জানুয়ারি ]

বিশ্বকাপ
নাসের মাহমুদ

ঘরে ঘরে ছেলে বুড়ো
ভীষণ জ্বরে ডড়াচ্ছে,

জ্বরের তাপে সবাই কাঁপে
ফুটবল জ্বর ছড়াচ্ছে।

বাপ রে বাপ বিশ্বকাপ—
বিশ্ব ঠিকই কাঁপাচ্ছে,

বিশ্বকাপের খবর কাগজ
ছবিসহ ছাপাচ্ছে।

বিশ্বকাপই কেবল পারে
বিশ্ব ধরে ঝাঁকাতে,

লাগছে ঝাঁকি কোন্ সুদূরের
গন্জো-গ্রাম ও ঢাকাতে।

কারা যাবে ফাইনালে আর
কাপ নেবে যে কারা—

ফেবারিটের ফ্লাগ নিয়ে
মানুষ মাতোয়ারা।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার নাসের মাহমুদের জন্ম : ১৯৫৬ সালের ১ জুলাই]

সাম্বানাচের বিশ্বকাপ
ফারুক নওয়াজ

সাম্বার নাচে নাচে শুরু হয়ে গেছে
ভক্তরা নেমে গেছে চুল-দাড়ি চেছে
ফুটবল গুডবল চামড়ার গোলা...
মুডে আছে নেইমার ব্রাজিলের পোলা।
হৈ-হৈ... রৈ-রৈ... বিশ্বটা জুড়ে—
আর্জেন্টিনা থেকে মেসি এলো উড়ে।
রোনালদো পোলা এক পর্তুগালের...
দেখাবে সে সেরা খেলা চৌদ্দ সালের।
হাই হাই হোই হোই কলো-কোলাহল
এতগুলো পোলাপান একখানা বল!
ভাবলেই মাথা ঘোরে ফরকায় পিঠ...
প্রিয় দল গোল খেলে বাড়ে হার্টবিট।
ইরানের রেজা ঘুচা, ফ্রান্সের পল
চমকাবে রাশিয়ার ইগরের দল
কম নয় কালো ছেলে ঘানার জিয়ান...
আড়াআড়ি মারে বল খাড়া রেখে কান।
জাপানের কেইসুকে নোখে বড়ো ধার
লন্ডনী রুনি— তার লম্বাটে ঘাড়।
খেলা চলে দূরদেশ ব্রাজিলের মাঠে ...
সেই খেলা দেখে দেখে সারা রাত কাটে।
ইতালী ও জার্মান, হল্যান্ড, ফ্রান্স...
গোল হলে ভক্তরা সুখে দেয় ডান্স।
ইরান, রাশিয়া, চীন, ক্যামেরুন, ঘানা—
তারাও মাঠের রাজা হার না-মানা।
কোন্ দল দল জয়ী হবে, হেরে যাবে কারা;
ভাবতেই ভক্তেরা হলো দিশেহারা।
বাকী আর ক’টা দিন খেলা শেষ হতে...
বোঝা যাবে চাপবে কে বিজয়ীর রথে।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার ফারুক নওয়াজের জন্ম : ১৯৫৮ সালে নভেম্বরে]

বিশ্বকাপ
আসলাম সানী

বিশ্বকাপ-বিশ্বকাপ
ফুটবল খেলা বিশ্বকাপ
চারদিকে উৎসবের ভাব
বিশ্বকাপ-বিশ্বকাপ
ফুটবলেরই শীর্ষকাপ,

আর্জেন্টিনা রাফ এন্ড টাফ
ব্রাজিলে কয়— রাস্তা মাফ,

লাল সবুজের জার্সী গায়
আসছে রে বাঘ পায়ে-পায়,

চলছে লড়াই খাপে-খাপ
দিচ্ছে দৌড়— মারছে লাফ
কাঁপছে সবাই বাপরে বাপ
বিশ্বকাপ-বিশ্বকাপ
ফুটবলেরই শীর্ষকাপ।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার আসলাম সানীর জন্ম : ১৯৫৮ সালের ৫ জানুয়ারি]




ফুটবল

বিলু কবীর

খেয়ে লাথি গুতো-যে
ছোটাছুটি দ্রুত-যে
---বলটার কী রকম দিশেহারা দৃশ্য;
তারে মারে কত দেশ
তবু হয় নাতো শেষ
---হুল্লোড়ে ফেটে পড়ে হেসে সারাবিশ্ব।
জিতে কাঁদে কেউ যে
হেরেছে যে সেউ যে
---দিলো কেউ যেন তার পাকা ধানে মই রে;
জেতা জাতি পৃথিবীর
বটে হয় কৃতী-বীর
---তার প্রিয় পুরো দেশ করে হৈ হৈ রে।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার বিলু কবীরের জন্ম : ১৯৬১ সালের ৪ঠা এপ্রিল]


ব্রাজুকা আনন্দ
জগলুল হায়দার

ব্রাজিলের ব্রাজুকায় দ্রিমি দ্রিমি ছন্দ
আট হালি দলে শুরু দ্বৈরথ-দ্বন্দ্ব।
নির্ঘুম চোখে চেয়ে গোটা এই বিশ্ব
লাগে যেন সকলেই ফুটবল শিষ্য।
রেফারীর ঠোঁটে বাঁশী যেই বাজে রাত্রে
জেগে জেগে ম্যাচে মাতে শিক্ষক-ছাত্রে।
জাগ্রত বুড়ো-বুড়ি আর কচি বাচ্চা
সব যেন মিছে হলো, ফুটবলই সাচ্চা।
ফুটবল ফুলে দ্যাখো মালা গাথে সব্বাই
এ পাড়ার সাবু সাথে, ও পাড়ার রব ভাই।
এ মালার ফুলে আজ কিযে কল হাস্য
ফুটবলে লিখে চলা আনন্দ ভাষ্য!

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার জগলুল হায়দারের জন্ম : ১৯৬৫ সালের ৮ অক্টোবর (শুক্রবার)]






আমি ফুটবল

মালেক মাহমুদ

অযথাই লাথি খাই দেয় ফেলে ছুঁড়ে
অনাদরে সারামাঠ চলি ঘুরে ঘুরে।
বুকে তুলে নিয়ে সেই জোরে মারে লাথি
হয়ে যাই ভবঘুরে কেউ নয় সাথী।

কর্নারের কিক থেকে হতে চাই গোল
গোলকিপার খুঁজে পায় সুখ পাই কোল।
যার কোলে মাথা রেখে ভাবি নিরাপদ
সেও জোরে লাথি মারে খুঁজি গলি পথ।

এই আমি গোলবল ভেতরেতে বায়ু
যার হাতে জয়— তুড়ি তার হাতে আয়ু।
লাথি খেয়ে ঘুরে মরি আমি ফুটবল
দুই দিকে গোলবার খেলে দুই দল।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার মালেক মাহমুদের জন্ম : ৫ই এপ্রিল ১৯৬৯]


খেলার মাঠটি নাই
মিলন সব্যসাচী

শাপলা আপু, শাপলা আপু যাচ্ছ তুমি কই?
উঠের মতো পিঠটি উঁচু ব্যাগটা ভরা বই!
—চলছি ছুটে স্কুলে আজ, ভর্তি হয়ে কাল
তোমার দেখি মলিনদশা মুখছি কেন লাল?’

চুপটি করে বলটি নিয়ে আবার কোথায় যাও?
—বিশ্বকাপের খেলা শুরু জানো নাকো তা-ও?

খেলব ভেবে সকাল থেকে ঘর ছেড়েছি তাই,
খেলতে এসে হঠাৎ দেখি খেলার মাঠটি নাই।
মাঠের জায়গা করছে দখল পাকা দালান-ঘর
তাইতো আমার ছোট্ট বুকে ব্যথার বালুচর।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার মিলন সব্যসাচীর জন্ম : ১৯৭২ সালের ১ জুন]



আনন্দকাপ

আহমাদ ফেরদৌসে


‘আনন্দকাপ’ আবার এলো
মাতিয়ে দিতে বিশ্বকে,
‘(এবার) বইটি রাখো, খেলতে এসো’
গুরু বলে শিষ্যকে।

শিষ্য ভীষণ অবাক হয়ে
সবাক চোখে তাকায়,
গুরুর চোখে অভয় বাণী
হাসেন ঠোঁটটি বাঁকায়।

গুরু শিষ্য এখন তারা
দু’দলেতে খেলছে,
কখনো তারা গোল দিচ্ছে
কখনো গোল গেলছে!

খেলা কেবল মাঠে নয়
খেলা গড়ায় ঘরে,
পিলপিলিয়ে যুক্তিগুলোও
তাদের মাথায় চড়ে।

গুরুর প্রিয় ব্রাজিল আর—
শিষ্যর প্রিয় জার্মান,
‘আর্জেন্টিনার নামটি বলো’
চিল্লে বলে আরমান।

যুক্তি-তর্ক-গেঞ্জী-ফ্লাগে
‘আনন্দকাপ’ আসে,
আনন্দ আর মিলনমন্ত্রে
সারাবিশ্ব ভাসে।

[সাহিত্যিক ও ছড়াকার আহমাদ ফেরদৌসের জন্ম : ১৫ সেপ্টেম্বর]


চাঁদবল
হিজল জোবায়ের

চাঁদটা কি মা কমলালেবু!
চাঁদটা কি মা ফল!
চাঁদটা কি মা সত্যি করে
বল্‌ তো আমায় বল্‌।

কালকে মাঠে খেলতে গিয়ে
কাজলের এক কিক!
ফুটবলটা হারিয়ে গেল
জানি না কোন দিক,

চাঁদটা কেমন বলের মতন
দেখতে অবিকল
চাঁদ মনে হয় আমাদের ঐ
হারানো ফুটবল!

[কবি ও ছড়াকার হিজল জোবায়েরের জন্ম : ৩ মে]




গোলবল

কাদের বাবু

বলটা গোলগাল
পায়ে পায়ে ছোটে,
কখনো-বা শিরে উঠে
মজা সে লোটে।

একটা বলের পেছনে
ছোটে বাইশ জন,
জালে গিয়ে জড়ালে
গোল তখন।

ফুটবলে, বুট-বলে
গোলটাই মূল,
গোল যদি হয়ে যায়
কী যে হুলুস্থূল।

[শিশু-সাহিত্যিক ও ছড়াকার কাদের বাবুর জন্ম : ২৪ জানুয়ারি]

বি. দ্র. : সম্পাদনা নীতি অনুযায়ী লেখকের বয়োজ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে লেখা বিন্যাস করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর