thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

কক্সবাজারে সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ১০

২০১৩ ডিসেম্বর ১১ ১৬:৩৩:০৩
কক্সবাজারে সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ১০

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ও দোকানপাট ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে শিবিরকর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল ও পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান, হাবিলদারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন প্রধান সড়কের মাঝখানে অবস্থান নেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ওই সব এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার পর পর ওই স্থানে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ সময় ব্যাপক গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। জামায়াত-শিবিরকর্মীরা প্রধান সড়কের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল, ইটপাটকেল এবং গুলিবর্ষণ করছে। পুলিশও ফাঁকা গুলি করছে। এ ঘটনায় আনুমানিক ৬০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

এ ছাড়া কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটায় অবস্থিত ইউসিবি ব্যাংক, এবি ব্যাংকসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবির। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানার এসআই নুরুজ্জামান, পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সকাল থেকে কক্সবাজারের ১০টির বেশি স্পটে তাদের অবস্থান নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ২০টির বেশি যানবাহন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, শিবিরকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে নাশকতার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে।

এ ছাড়া উখিয়া উপজেলার হিজলিয়া ও পালং গার্ডেন এলাকায় গাছ ও কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছে শিবিরকর্মীরা। দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ রয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় জেলাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/নূরু/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর