শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাসের জনক আনোয়ার পাশা

মিরাজ মোহাইমেন
যে আশা অপূর্ণতায় শেষ : অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম। অন্যদের মতো তাঁকেও বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন আগে তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বরাদ্দকৃত বাসভবন থেকে মুখোশ পরা আলবদররা অস্ত্র হাতে এসে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তাঁর লাশটিও ফেরত পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অন্যতম শিক্ষক ছিলেন তিনি।
সে-দিন তিনি পরিবার-পরিজনের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও হাওয়ায় শার্ট, গায়ে চাদর। মুহূর্তটি তখন এক সাগর রক্তের চিহ্ণ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় একটি নতুন সূর্য উদিত হবে হবে করছে। ঊষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সমগ্র জাতির পরম আকাক্ষিত সেই প্রহর।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সেই দিনে সবার মতো আনোয়ার পাশাও সেই প্রহরটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন অধীর আগ্রহে। অথচ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী আলবদরের সদস্যরা তখনও হত্যাযজ্ঞে মেতে ছিল।
১৪ ডিসেম্বরে এক সময় এরা ঢুকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায়। সকাল ন’টার দিকে লাল রঙের একটি গাড়ি আনোয়ার পাশার বাসার সামনে এসে থামে। আর সেই গাড়ি থেকে অস্ত্রসহ নেমে আসে আলবদর বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। এরপর তারা বাসায় ঢুকে প্রথমেই অধ্যাপক আনোয়ার পাশা গায়ের চাদরটি দিয়েই তাঁর চোখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় মিরপুরে (স্বাধীনতার পর যেখানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে সেখানে)। সেখানেই আরও অনেক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে নির্মমভাবে আনোয়ার পাশার জীবনপ্রদীপও দেওয়া হয় নিভিয়ে।
এর আটচল্লিশ ঘণ্টা পর, সূর্যটা দেখা দিল ঠিকই, আর আলো-বাতাস ও বৃক্ষ-ফল শোভিত এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষেরা করতে লাগল বেঁচে থাকার অনন্ত আয়োজন। কিন্তু সেই সূর্যের প্রভায় মায়াময় এ পৃথিবীর রূপ আর হলো না তাঁর দেখা। তবে আমাদের আলোচ্য লেখক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছেন, রচনা করে গেছেন উপন্যাস‘ রাইফেল রোটি আওরাত।’
আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবন: আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবনের শুরু ছাত্রাবস্থাতেই। ১৯৬৫ সালের ৯ জুলাই পাবনায় লেখা ডায়েরিতে লেখেন, “কবিতা আমার জীবনের প্রথম প্রিয়া-আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম। ছেলেবেলায় ইস্কুলে যেতে রাস্তা বড়ো নির্জন এবং দু'পাশে ঘন জঙ্গলে পূর্ণ থাকত। অনেকদিনই ঐ পথে একা ইস্কুলে গেছি এবং যেদিনই একা যেতাম জোরে জোরে আবৃত্তি করতাম। এখনো সে সব দু-একটি মনে আছে- 'পাহাড়ের পরে পাথরের ঘরে/ আমার জন্মস্থান', ঐ কবিতা এখন পেলে হয়ত পড়তেই ইচ্ছে করবে না। কিন্তু সে-দিন কী ভালোই যে লাগত। ক্লাসের নতুন বই কেনা হলে দেখা যেত, মাসখানেক না যেতেই বাংলা পাঠ্য বইয়ের সবক'টি কবিতা কণ্ঠস্থ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে করেছি তা নয়, ব্যাপারটা কেমন যেন আপনা থেকেই হয়ে যেত। কত চরণ তার মনের মধ্যে এখনো জ্বলজ্বল করছে।”
পাশা কলেজে পড়ার সময়ই কবিতা ও গল্প লিখতেন। মুদ্রিত রচনার মধ্যে 'দীপগুলি' শিরোনামে ১৯৫৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের 'একতা' পত্রিকায় যে-কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিই তাঁর প্রথম লেখা বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগ পর্যন্ত প্রথমে 'আনোয়ার', পরে 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামেই লেখা প্রকাশ করেছেন আনোয়ার পাশা। ১৯৬৩ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নদী নিঃশেষিত হলে' প্রকাশের আগে সহপাঠী-বন্ধু কবি শঙ্খ ঘোষ ও অন্যান্য বামপন্থী বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর 'আনোয়ার পাশা' নামেই বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও 'পাশা' নামটি তাঁর পছন্দের ছিল না। কিন্তু বৈমাত্রের দিক থেকে তাঁর এক খালু ছিলেন ইংরেজি-জানা লোক। তাঁর এই কিম্ভূত নামটা অর্থাৎ নামের 'পাশা' অংশটুকু তাঁর সেই আত্মীয়ের। তাঁর খালুর সেই পাশা নামটি আনোয়ারের শেষে যুক্ত হয়েছে। তিনি একাধিকবার চেষ্টা করেছেন তাঁর নাম থেকে 'পাশা' বর্জন করতে। প্রথম হাইমাদরাসা ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার সময় 'পাশা' বাদ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শিক্ষকরা তাতে বাধা দিয়েছিলেন। তাই পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেটগুলোতে 'পাশা'-যুক্ত হয়ে আছে। সাহিত্যক্ষেত্রে 'পাশা' বিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি। সে জন্য শুধু 'আনোয়ার' লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর নামের 'আনোয়ার' শব্দটি তাঁর খুব প্রিয়। 'বাঙলা ও বাঙালী' নামে একটি পত্রিকায় একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে লেখক ছিলেন শুধু আনোয়ার, পাশা বাদ। বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতা'-য় কবিতা পাঠালে তা মনোনীত হয়, কিন্তু শুধু আনোয়ার নামে তিনি আপত্তি করেন। তাঁর ঠিকানার স্থানে 'আনোয়ার পাশা' ছিল, সেখান থেকে 'পাশা' সংগ্রহ করে তিনি ওই নামে কবিতাটি প্রকাশ করেন।
পাশার হাত থেকে রেহাই পাবার শেষ চেষ্টা করেছিলেন ভারত ছেড়ে আসার পর। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের পাবনা কলেজে চাকরি নিয়ে মনে মনে বলেছিলেন, 'পাশা তোমার সঙ্গে এই শেষ; ভারত ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকেও ছাড়লাম।' এবং সত্যি সত্যিই তিনি লিখতেও শুরু করলেন পাশা বর্জন করে। তবে এবার শুধু 'আনোয়ার' নামে শুরু করলেন না। শুরু করলেন 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে একাধিক লেখা পাবনা কলেজ ম্যাগাজিনে ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক 'পূর্বমেঘ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর এ নামও শেষ পর্যন্ত টিকেনি। কারণ তাঁর বামপন্থী বন্ধুরা কেউ 'মুহম্মদ আনোয়ার' নাম পছন্দ করলেন না। তাঁদের মতে 'আনোয়ার পাশা' নামটাই ভালো। ইতোমধ্যে ১৯৬৩ সাল এসে গেছে, তাঁর দু'খানি বইয়ের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এই বই বেরুবে কী নামে ? তাঁর প্রথম বই বের হয় কলকাতা থেকে- 'নদী নিঃশেষিত হলে'। কবিবন্ধু শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে এই বইয়ের কবিতা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানতে পারেন, 'আনোয়ার পাশা' নামটিই তাঁরা বেশি পছন্দ, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নয়। তাঁর প্রকাশকও 'আনোয়ার পাশা' নামটির ব্যবসায়গত সুবিধা লক্ষ্য করলেন। প্রকাশিত হলো আনোয়ার পাশার 'নদী নিঃশেষিত হলে' গ্রন্থ।
ঢাকায় এ সময় 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা'-র ছাপার কাজ চলছিল। কয়েক মাস পর সেই বইটি প্রকাশিত হলে সেখানেও লেখক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন 'আনোয়ার পাশা', অগত্যা 'মুহম্মদ আনোয়ার' চিরতরে জনতার ভিড়ে হারিয়ে গেলেন। আনোয়ারের সঙ্গে পাশার যোগটা স্থায়ী হয়ে গেল।
এর আগে 'ইসলামের ইতিহাস' শিরোনামে একটি মাদরাসাপাঠ্য বই বের হয়েছিল, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। পশ্চিমবঙ্গে মাদরাসায় শিক্ষকতাকালে সম্ভবত এটি লিখেছিলেন। প্রকাশকাল জানা যায়নি, তবে ১৯৫৫-৫৬ সাল হতে পারে। দ্বিতীয় কাব্যসংগ্রহ 'সমুদ্র শঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কবিতা'-র প্রেসকপি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবদ্দশায় বইটি প্রকাশ পায়নি, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৪ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (প্রথম খণ্ড)'। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে ১৯৬১ সালে (বাংলা ১৩৬৮) পুরো এক বছরে এই বইয়ের প্রথম খণ্ড রচনা করেন তিনি। এতে গল্পগুচ্ছের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের গল্পগুলোর আলোচনা ছাড়াও দেশ-কাল এবং প্রকৃতি সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন তিনি। এ বইয়ের সংশোধিত ও সংযোজিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (দ্বিতীয় খণ্ড)' প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৭৮ সালে। ১৯৬৭ সালে তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ 'সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল' প্রকাশ পায়।
তাঁর প্রথম উপন্যাস 'নীড়-সন্ধানী' পাবনায় অবস্থানকালে লেখা। ১৯৬৫-৬৬ সালে এটি মাসিক 'পূবালী' (ঢাকা) পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। দ্বিতীয় উপন্যাস 'নিষুতি রাতের গাথা' প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। এই বইটি 'নীড়-সন্ধানী'-র পরিপূরক খণ্ড। 'নীড়-সন্ধানী'-র মতোই এ বইটিও আত্মজীবনীমূলক ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একজনের দেশত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার গল্প অবলম্বনে রচিত। তৃতীয় উপন্যাস 'রাইফেল রোটি আওরাত' প্রকাশ পায়, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৩ সালের মে মাসে। বাঙালীদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানিদের মনোভাব ও আচরণ এবং অসহায় বাঙালীদের ওপর দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যা এই রচনার বিষয়। পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিষয়ে তাঁর মনোভাবও এই রচনায় অকপটে প্রকাশ পেয়েছে। একাত্তরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসে লেখা উপন্যাস এটি। চারপাশে তখন চলছে যুদ্ধ- কেবলি গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ, আর মৃত্যু- এই রকম একটি পরিস্থিতিতে বসে বাস্তব ঘটনাকে উপজীব্য করে উপন্যাস লিখেছেন তিনি। যদিও উপন্যাসটিতে ছোটখাটো কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। তবু এই উপন্যাসে প্রকাশিত তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ, বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক দলিল। তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ 'নিরুপায় হরিণী' ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর একটি অসমাপ্ত উপন্যাসের নাম 'নেতিগর্ভ/হিমগৃহ' বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। এর বাইরে বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও রচনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদনায় ১৯৬৮ সালে প্রকাশ করেন 'চর্যাগীতিকা', ১৯৬৭ সালে 'বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্য' (শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কিছু অংশ) প্রকাশ পায়। 'কালকেতু উপাখ্যান' (মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলের অংশবিশেষ) ও 'মানসিংহ-ভবানন্দ উপাখ্যান' (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গলের অংশবিশেষ) প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে ও ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় 'ঈশ্বরগুপ্তের কবিতা-সংগ্রহ'। 'আনোয়ার পাশা রচনাবলী (৩য় খণ্ড)' বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ডিসেম্বর ১৯৮১, জুন ১৯৮৩ ও মে ১৯৮৭ সালে। তিন খণ্ডেরই সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আনোয়ার পাশার গল্প-উপন্যাসের চরিত্রেরা যেমন বেঁচে থাকার পক্ষে দৃঢ় প্রত্যয়ী, তেমনি জীবনের প্রতি তাঁরও ছিল অগাধ প্রেম ও আকুতি।
রাইফেল রোটি আওরাত : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস আনোয়ার পাশার ‘রাইফেল রোটি আওরাত’। যুদ্ধের ঘনঘোর তাণ্ডব পেরিয়ে উপন্যাসটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেও তিনি আর পৌঁছতে পারেননি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর ঘাতকেরা তাঁকে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে এ রকম নজির আর কি আছে? আর কাউকে কি নিজের জীবন দিয়ে লিখতে হয়েছে জাতীয় জীবনের করুণ-কঠিন ট্র্যাজিক আখ্যান?
আজ যদি আমরা জানতে চাই ওই ভয়াবহ দুর্যোগে কীভাবে বেঁচে ছিল জাতির আত্মা, কীভাবে রক্তনদী সাঁতরে অজস্র মৃত্যু পেরিয়ে বিজয়ের পাড়ে পৌঁছবার জেদ দানা বেঁধেছিল, তাহলে রাইফেল রোটি আওরাত-এর থেকে বেশি আর কে তা জানাবে? এ কেবল লাঞ্ছিত বাংলার হাহাকার নয়, তার রুখে দাঁড়ানোরও দলিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কটি উপন্যাস আছে আমাদের, লেখা হবে আরও অনেক। কিন্তু রাইফেল রোটি আওরাত অনন্য। আর কেউ একাত্তরের আলো-অন্ধকারের মধ্যে সশরীরে ঢুকে তাকে জানার সুযোগ পাবেন না। আনোয়ার পাশা জেনেছেন ও জানিয়েছেন।
একাত্তরের এপ্রিলে লেখা শুরু, শেষ জুনে। কিন্তু ওই এপ্রিলেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা আসন্ন। তাই মৃত্যুর আগে উপন্যাসের শেষ বাক্যে লেখেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অভয়বাণী: ‘মা ভৈ’। কী বিস্নয়, চিরকালই নায়কেরা ধ্বংসের মুখে জীবিতদের আশার বার্তাই দিয়ে যান। যেমন দিয়েছেন প্রতিভাবান ব্রিটিশ কবি ও দার্শনিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল। স্পেনের গৃহযুদ্ধে তিনি শহীদ হন, যেমন শহীদ হন স্পেনেরই কবি ফেদেরিকা গার্সিয়া লোরকা।
২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশ যে মৃত্যুর বিভীষিকায় ডুবেছিল, তার ভেতরে রক্ত, লাশ আর নরক সমান ভয়াবহতার মধ্যে আনোয়ার পাশা লিখছেন ওই মৃত্যুরই আখ্যান। এটি ২৫ মার্চের পরের তিন দিনের গল্প। এই গল্প ইতিহাস, এই গল্প একাত্তরের রক্তের ডাক। এই কাহিনী শত্রুকবলিত বাংলাদেশের মুক্তির সাহসী প্রতিজ্ঞা। উপন্যাসের নায়ক সুদীপ্ত শাহীনই যেন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিপন্ন, ছিন্নবিচ্ছিন্ন ও ভীত কিন্তু আশাহীন নয়, সেই বাংলাদেশ কথা বলেছে তাঁর কলমে। কখন বলেছে? যখন সেই বাংলাদেশ গণহত্যার শিকার, যখন সেই বাংলাদেশ ধর্ষিত, যখন সেই বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী। তাই রাইফেল রোটি আওরাত লেখাটাও একটা যুদ্ধ। মৃত্যুর গ্রাসের মধ্যে বসে সেই মৃত্যুকে রুখবার বিবরণ এভাবে আর কে কবে লিখেছে? এর শক্তি কেবল শিল্পে নয়, এর সত্যদর্শনে। আর তা এমনই সবল যে হাজার বছর পরও কেউ একাত্তরের বাংলাকে ঠিকই এই উপন্যাসের আলোয় চিনে নিতে পারবে। স্বাদ পাবে বাংলাদেশের জন্মমুহূর্তের যন্ত্রণা মেশানো উদ্বেল আশার।
ঋণ স্বীকার : ফারুক ওয়াসিফ
পাঠকের মতামত:

- মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, অপরিবর্তিত নীতিতে নজর শুধু মূল্যস্ফীতি
- সাত জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- পুঁজিবাজারে সালমান আজীবন নিষিদ্ধ-১০০ কোটি টাকা জরিমানা
- একমত হওয়া বিষয়গুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে: আখতার হোসেন
- হার্টে ব্লক: বিদেশে সার্জারির সিদ্ধান্ত নাকচ করলেন জামায়াত আমির
- হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পরও মানবাধিকার সংকট প্রকট
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’ – স্লোগান দিয়ে শাহবাগ অবরোধ
- আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি
- প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- "কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা"
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
- পাকিস্তানকে উড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে জোড়া সুখবর পেল বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান
- ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি: ইসরাইলি সেনাপ্রধান
- দুদকের পক্ষে এতো দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না : বিচারক
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় তদন্তের দাবি জামায়াতের নায়েবে আমিরের
- নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
- ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কায় মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- শক্তিশালী পাসপোর্টের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে
- সরকার যেতে বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা
- মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
- চোখের জলে শেষবিদায়, চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির
- পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
- সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত
- ৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর মাইলস্টোন ছাড়লেন দুই উপদেষ্টা
- সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না: নাহিদ
- গণতন্ত্রপন্থি সহযোদ্ধাদের শান্ত-সংহত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
- "এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার পক্ষে নয় বিএনপি"
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চারটি রাজনৈতিক দলের নেতারা
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
সাহিত্য এর সর্বশেষ খবর
সাহিত্য - এর সব খবর
