শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাসের জনক আনোয়ার পাশা
মিরাজ মোহাইমেন
যে আশা অপূর্ণতায় শেষ : অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম। অন্যদের মতো তাঁকেও বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন আগে তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বরাদ্দকৃত বাসভবন থেকে মুখোশ পরা আলবদররা অস্ত্র হাতে এসে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তাঁর লাশটিও ফেরত পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অন্যতম শিক্ষক ছিলেন তিনি।
সে-দিন তিনি পরিবার-পরিজনের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও হাওয়ায় শার্ট, গায়ে চাদর। মুহূর্তটি তখন এক সাগর রক্তের চিহ্ণ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় একটি নতুন সূর্য উদিত হবে হবে করছে। ঊষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সমগ্র জাতির পরম আকাক্ষিত সেই প্রহর।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সেই দিনে সবার মতো আনোয়ার পাশাও সেই প্রহরটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন অধীর আগ্রহে। অথচ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী আলবদরের সদস্যরা তখনও হত্যাযজ্ঞে মেতে ছিল।
১৪ ডিসেম্বরে এক সময় এরা ঢুকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায়। সকাল ন’টার দিকে লাল রঙের একটি গাড়ি আনোয়ার পাশার বাসার সামনে এসে থামে। আর সেই গাড়ি থেকে অস্ত্রসহ নেমে আসে আলবদর বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। এরপর তারা বাসায় ঢুকে প্রথমেই অধ্যাপক আনোয়ার পাশা গায়ের চাদরটি দিয়েই তাঁর চোখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় মিরপুরে (স্বাধীনতার পর যেখানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে সেখানে)। সেখানেই আরও অনেক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে নির্মমভাবে আনোয়ার পাশার জীবনপ্রদীপও দেওয়া হয় নিভিয়ে।
এর আটচল্লিশ ঘণ্টা পর, সূর্যটা দেখা দিল ঠিকই, আর আলো-বাতাস ও বৃক্ষ-ফল শোভিত এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষেরা করতে লাগল বেঁচে থাকার অনন্ত আয়োজন। কিন্তু সেই সূর্যের প্রভায় মায়াময় এ পৃথিবীর রূপ আর হলো না তাঁর দেখা। তবে আমাদের আলোচ্য লেখক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছেন, রচনা করে গেছেন উপন্যাস‘ রাইফেল রোটি আওরাত।’
আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবন: আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবনের শুরু ছাত্রাবস্থাতেই। ১৯৬৫ সালের ৯ জুলাই পাবনায় লেখা ডায়েরিতে লেখেন, “কবিতা আমার জীবনের প্রথম প্রিয়া-আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম। ছেলেবেলায় ইস্কুলে যেতে রাস্তা বড়ো নির্জন এবং দু'পাশে ঘন জঙ্গলে পূর্ণ থাকত। অনেকদিনই ঐ পথে একা ইস্কুলে গেছি এবং যেদিনই একা যেতাম জোরে জোরে আবৃত্তি করতাম। এখনো সে সব দু-একটি মনে আছে- 'পাহাড়ের পরে পাথরের ঘরে/ আমার জন্মস্থান', ঐ কবিতা এখন পেলে হয়ত পড়তেই ইচ্ছে করবে না। কিন্তু সে-দিন কী ভালোই যে লাগত। ক্লাসের নতুন বই কেনা হলে দেখা যেত, মাসখানেক না যেতেই বাংলা পাঠ্য বইয়ের সবক'টি কবিতা কণ্ঠস্থ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে করেছি তা নয়, ব্যাপারটা কেমন যেন আপনা থেকেই হয়ে যেত। কত চরণ তার মনের মধ্যে এখনো জ্বলজ্বল করছে।”
পাশা কলেজে পড়ার সময়ই কবিতা ও গল্প লিখতেন। মুদ্রিত রচনার মধ্যে 'দীপগুলি' শিরোনামে ১৯৫৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের 'একতা' পত্রিকায় যে-কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিই তাঁর প্রথম লেখা বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগ পর্যন্ত প্রথমে 'আনোয়ার', পরে 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামেই লেখা প্রকাশ করেছেন আনোয়ার পাশা। ১৯৬৩ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নদী নিঃশেষিত হলে' প্রকাশের আগে সহপাঠী-বন্ধু কবি শঙ্খ ঘোষ ও অন্যান্য বামপন্থী বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর 'আনোয়ার পাশা' নামেই বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও 'পাশা' নামটি তাঁর পছন্দের ছিল না। কিন্তু বৈমাত্রের দিক থেকে তাঁর এক খালু ছিলেন ইংরেজি-জানা লোক। তাঁর এই কিম্ভূত নামটা অর্থাৎ নামের 'পাশা' অংশটুকু তাঁর সেই আত্মীয়ের। তাঁর খালুর সেই পাশা নামটি আনোয়ারের শেষে যুক্ত হয়েছে। তিনি একাধিকবার চেষ্টা করেছেন তাঁর নাম থেকে 'পাশা' বর্জন করতে। প্রথম হাইমাদরাসা ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার সময় 'পাশা' বাদ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শিক্ষকরা তাতে বাধা দিয়েছিলেন। তাই পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেটগুলোতে 'পাশা'-যুক্ত হয়ে আছে। সাহিত্যক্ষেত্রে 'পাশা' বিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি। সে জন্য শুধু 'আনোয়ার' লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর নামের 'আনোয়ার' শব্দটি তাঁর খুব প্রিয়। 'বাঙলা ও বাঙালী' নামে একটি পত্রিকায় একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে লেখক ছিলেন শুধু আনোয়ার, পাশা বাদ। বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতা'-য় কবিতা পাঠালে তা মনোনীত হয়, কিন্তু শুধু আনোয়ার নামে তিনি আপত্তি করেন। তাঁর ঠিকানার স্থানে 'আনোয়ার পাশা' ছিল, সেখান থেকে 'পাশা' সংগ্রহ করে তিনি ওই নামে কবিতাটি প্রকাশ করেন।
পাশার হাত থেকে রেহাই পাবার শেষ চেষ্টা করেছিলেন ভারত ছেড়ে আসার পর। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের পাবনা কলেজে চাকরি নিয়ে মনে মনে বলেছিলেন, 'পাশা তোমার সঙ্গে এই শেষ; ভারত ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকেও ছাড়লাম।' এবং সত্যি সত্যিই তিনি লিখতেও শুরু করলেন পাশা বর্জন করে। তবে এবার শুধু 'আনোয়ার' নামে শুরু করলেন না। শুরু করলেন 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে একাধিক লেখা পাবনা কলেজ ম্যাগাজিনে ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক 'পূর্বমেঘ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর এ নামও শেষ পর্যন্ত টিকেনি। কারণ তাঁর বামপন্থী বন্ধুরা কেউ 'মুহম্মদ আনোয়ার' নাম পছন্দ করলেন না। তাঁদের মতে 'আনোয়ার পাশা' নামটাই ভালো। ইতোমধ্যে ১৯৬৩ সাল এসে গেছে, তাঁর দু'খানি বইয়ের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এই বই বেরুবে কী নামে ? তাঁর প্রথম বই বের হয় কলকাতা থেকে- 'নদী নিঃশেষিত হলে'। কবিবন্ধু শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে এই বইয়ের কবিতা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানতে পারেন, 'আনোয়ার পাশা' নামটিই তাঁরা বেশি পছন্দ, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নয়। তাঁর প্রকাশকও 'আনোয়ার পাশা' নামটির ব্যবসায়গত সুবিধা লক্ষ্য করলেন। প্রকাশিত হলো আনোয়ার পাশার 'নদী নিঃশেষিত হলে' গ্রন্থ।
ঢাকায় এ সময় 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা'-র ছাপার কাজ চলছিল। কয়েক মাস পর সেই বইটি প্রকাশিত হলে সেখানেও লেখক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন 'আনোয়ার পাশা', অগত্যা 'মুহম্মদ আনোয়ার' চিরতরে জনতার ভিড়ে হারিয়ে গেলেন। আনোয়ারের সঙ্গে পাশার যোগটা স্থায়ী হয়ে গেল।
এর আগে 'ইসলামের ইতিহাস' শিরোনামে একটি মাদরাসাপাঠ্য বই বের হয়েছিল, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। পশ্চিমবঙ্গে মাদরাসায় শিক্ষকতাকালে সম্ভবত এটি লিখেছিলেন। প্রকাশকাল জানা যায়নি, তবে ১৯৫৫-৫৬ সাল হতে পারে। দ্বিতীয় কাব্যসংগ্রহ 'সমুদ্র শঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কবিতা'-র প্রেসকপি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবদ্দশায় বইটি প্রকাশ পায়নি, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৪ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (প্রথম খণ্ড)'। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে ১৯৬১ সালে (বাংলা ১৩৬৮) পুরো এক বছরে এই বইয়ের প্রথম খণ্ড রচনা করেন তিনি। এতে গল্পগুচ্ছের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের গল্পগুলোর আলোচনা ছাড়াও দেশ-কাল এবং প্রকৃতি সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন তিনি। এ বইয়ের সংশোধিত ও সংযোজিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (দ্বিতীয় খণ্ড)' প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৭৮ সালে। ১৯৬৭ সালে তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ 'সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল' প্রকাশ পায়।
তাঁর প্রথম উপন্যাস 'নীড়-সন্ধানী' পাবনায় অবস্থানকালে লেখা। ১৯৬৫-৬৬ সালে এটি মাসিক 'পূবালী' (ঢাকা) পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। দ্বিতীয় উপন্যাস 'নিষুতি রাতের গাথা' প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। এই বইটি 'নীড়-সন্ধানী'-র পরিপূরক খণ্ড। 'নীড়-সন্ধানী'-র মতোই এ বইটিও আত্মজীবনীমূলক ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একজনের দেশত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার গল্প অবলম্বনে রচিত। তৃতীয় উপন্যাস 'রাইফেল রোটি আওরাত' প্রকাশ পায়, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৩ সালের মে মাসে। বাঙালীদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানিদের মনোভাব ও আচরণ এবং অসহায় বাঙালীদের ওপর দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যা এই রচনার বিষয়। পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিষয়ে তাঁর মনোভাবও এই রচনায় অকপটে প্রকাশ পেয়েছে। একাত্তরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসে লেখা উপন্যাস এটি। চারপাশে তখন চলছে যুদ্ধ- কেবলি গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ, আর মৃত্যু- এই রকম একটি পরিস্থিতিতে বসে বাস্তব ঘটনাকে উপজীব্য করে উপন্যাস লিখেছেন তিনি। যদিও উপন্যাসটিতে ছোটখাটো কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। তবু এই উপন্যাসে প্রকাশিত তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ, বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক দলিল। তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ 'নিরুপায় হরিণী' ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর একটি অসমাপ্ত উপন্যাসের নাম 'নেতিগর্ভ/হিমগৃহ' বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। এর বাইরে বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও রচনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদনায় ১৯৬৮ সালে প্রকাশ করেন 'চর্যাগীতিকা', ১৯৬৭ সালে 'বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্য' (শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কিছু অংশ) প্রকাশ পায়। 'কালকেতু উপাখ্যান' (মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলের অংশবিশেষ) ও 'মানসিংহ-ভবানন্দ উপাখ্যান' (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গলের অংশবিশেষ) প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে ও ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় 'ঈশ্বরগুপ্তের কবিতা-সংগ্রহ'। 'আনোয়ার পাশা রচনাবলী (৩য় খণ্ড)' বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ডিসেম্বর ১৯৮১, জুন ১৯৮৩ ও মে ১৯৮৭ সালে। তিন খণ্ডেরই সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আনোয়ার পাশার গল্প-উপন্যাসের চরিত্রেরা যেমন বেঁচে থাকার পক্ষে দৃঢ় প্রত্যয়ী, তেমনি জীবনের প্রতি তাঁরও ছিল অগাধ প্রেম ও আকুতি।
রাইফেল রোটি আওরাত : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস আনোয়ার পাশার ‘রাইফেল রোটি আওরাত’। যুদ্ধের ঘনঘোর তাণ্ডব পেরিয়ে উপন্যাসটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেও তিনি আর পৌঁছতে পারেননি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর ঘাতকেরা তাঁকে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে এ রকম নজির আর কি আছে? আর কাউকে কি নিজের জীবন দিয়ে লিখতে হয়েছে জাতীয় জীবনের করুণ-কঠিন ট্র্যাজিক আখ্যান?
আজ যদি আমরা জানতে চাই ওই ভয়াবহ দুর্যোগে কীভাবে বেঁচে ছিল জাতির আত্মা, কীভাবে রক্তনদী সাঁতরে অজস্র মৃত্যু পেরিয়ে বিজয়ের পাড়ে পৌঁছবার জেদ দানা বেঁধেছিল, তাহলে রাইফেল রোটি আওরাত-এর থেকে বেশি আর কে তা জানাবে? এ কেবল লাঞ্ছিত বাংলার হাহাকার নয়, তার রুখে দাঁড়ানোরও দলিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কটি উপন্যাস আছে আমাদের, লেখা হবে আরও অনেক। কিন্তু রাইফেল রোটি আওরাত অনন্য। আর কেউ একাত্তরের আলো-অন্ধকারের মধ্যে সশরীরে ঢুকে তাকে জানার সুযোগ পাবেন না। আনোয়ার পাশা জেনেছেন ও জানিয়েছেন।
একাত্তরের এপ্রিলে লেখা শুরু, শেষ জুনে। কিন্তু ওই এপ্রিলেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা আসন্ন। তাই মৃত্যুর আগে উপন্যাসের শেষ বাক্যে লেখেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অভয়বাণী: ‘মা ভৈ’। কী বিস্নয়, চিরকালই নায়কেরা ধ্বংসের মুখে জীবিতদের আশার বার্তাই দিয়ে যান। যেমন দিয়েছেন প্রতিভাবান ব্রিটিশ কবি ও দার্শনিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল। স্পেনের গৃহযুদ্ধে তিনি শহীদ হন, যেমন শহীদ হন স্পেনেরই কবি ফেদেরিকা গার্সিয়া লোরকা।
২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশ যে মৃত্যুর বিভীষিকায় ডুবেছিল, তার ভেতরে রক্ত, লাশ আর নরক সমান ভয়াবহতার মধ্যে আনোয়ার পাশা লিখছেন ওই মৃত্যুরই আখ্যান। এটি ২৫ মার্চের পরের তিন দিনের গল্প। এই গল্প ইতিহাস, এই গল্প একাত্তরের রক্তের ডাক। এই কাহিনী শত্রুকবলিত বাংলাদেশের মুক্তির সাহসী প্রতিজ্ঞা। উপন্যাসের নায়ক সুদীপ্ত শাহীনই যেন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিপন্ন, ছিন্নবিচ্ছিন্ন ও ভীত কিন্তু আশাহীন নয়, সেই বাংলাদেশ কথা বলেছে তাঁর কলমে। কখন বলেছে? যখন সেই বাংলাদেশ গণহত্যার শিকার, যখন সেই বাংলাদেশ ধর্ষিত, যখন সেই বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী। তাই রাইফেল রোটি আওরাত লেখাটাও একটা যুদ্ধ। মৃত্যুর গ্রাসের মধ্যে বসে সেই মৃত্যুকে রুখবার বিবরণ এভাবে আর কে কবে লিখেছে? এর শক্তি কেবল শিল্পে নয়, এর সত্যদর্শনে। আর তা এমনই সবল যে হাজার বছর পরও কেউ একাত্তরের বাংলাকে ঠিকই এই উপন্যাসের আলোয় চিনে নিতে পারবে। স্বাদ পাবে বাংলাদেশের জন্মমুহূর্তের যন্ত্রণা মেশানো উদ্বেল আশার।
ঋণ স্বীকার : ফারুক ওয়াসিফ
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া