শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাসের জনক আনোয়ার পাশা
মিরাজ মোহাইমেন
যে আশা অপূর্ণতায় শেষ : অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম। অন্যদের মতো তাঁকেও বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন আগে তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বরাদ্দকৃত বাসভবন থেকে মুখোশ পরা আলবদররা অস্ত্র হাতে এসে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তাঁর লাশটিও ফেরত পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অন্যতম শিক্ষক ছিলেন তিনি।
সে-দিন তিনি পরিবার-পরিজনের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও হাওয়ায় শার্ট, গায়ে চাদর। মুহূর্তটি তখন এক সাগর রক্তের চিহ্ণ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় একটি নতুন সূর্য উদিত হবে হবে করছে। ঊষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সমগ্র জাতির পরম আকাক্ষিত সেই প্রহর।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সেই দিনে সবার মতো আনোয়ার পাশাও সেই প্রহরটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন অধীর আগ্রহে। অথচ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী আলবদরের সদস্যরা তখনও হত্যাযজ্ঞে মেতে ছিল।
১৪ ডিসেম্বরে এক সময় এরা ঢুকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায়। সকাল ন’টার দিকে লাল রঙের একটি গাড়ি আনোয়ার পাশার বাসার সামনে এসে থামে। আর সেই গাড়ি থেকে অস্ত্রসহ নেমে আসে আলবদর বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। এরপর তারা বাসায় ঢুকে প্রথমেই অধ্যাপক আনোয়ার পাশা গায়ের চাদরটি দিয়েই তাঁর চোখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় মিরপুরে (স্বাধীনতার পর যেখানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে সেখানে)। সেখানেই আরও অনেক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে নির্মমভাবে আনোয়ার পাশার জীবনপ্রদীপও দেওয়া হয় নিভিয়ে।
এর আটচল্লিশ ঘণ্টা পর, সূর্যটা দেখা দিল ঠিকই, আর আলো-বাতাস ও বৃক্ষ-ফল শোভিত এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষেরা করতে লাগল বেঁচে থাকার অনন্ত আয়োজন। কিন্তু সেই সূর্যের প্রভায় মায়াময় এ পৃথিবীর রূপ আর হলো না তাঁর দেখা। তবে আমাদের আলোচ্য লেখক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছেন, রচনা করে গেছেন উপন্যাস‘ রাইফেল রোটি আওরাত।’
আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবন: আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবনের শুরু ছাত্রাবস্থাতেই। ১৯৬৫ সালের ৯ জুলাই পাবনায় লেখা ডায়েরিতে লেখেন, “কবিতা আমার জীবনের প্রথম প্রিয়া-আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম। ছেলেবেলায় ইস্কুলে যেতে রাস্তা বড়ো নির্জন এবং দু'পাশে ঘন জঙ্গলে পূর্ণ থাকত। অনেকদিনই ঐ পথে একা ইস্কুলে গেছি এবং যেদিনই একা যেতাম জোরে জোরে আবৃত্তি করতাম। এখনো সে সব দু-একটি মনে আছে- 'পাহাড়ের পরে পাথরের ঘরে/ আমার জন্মস্থান', ঐ কবিতা এখন পেলে হয়ত পড়তেই ইচ্ছে করবে না। কিন্তু সে-দিন কী ভালোই যে লাগত। ক্লাসের নতুন বই কেনা হলে দেখা যেত, মাসখানেক না যেতেই বাংলা পাঠ্য বইয়ের সবক'টি কবিতা কণ্ঠস্থ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে করেছি তা নয়, ব্যাপারটা কেমন যেন আপনা থেকেই হয়ে যেত। কত চরণ তার মনের মধ্যে এখনো জ্বলজ্বল করছে।”
পাশা কলেজে পড়ার সময়ই কবিতা ও গল্প লিখতেন। মুদ্রিত রচনার মধ্যে 'দীপগুলি' শিরোনামে ১৯৫৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের 'একতা' পত্রিকায় যে-কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিই তাঁর প্রথম লেখা বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগ পর্যন্ত প্রথমে 'আনোয়ার', পরে 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামেই লেখা প্রকাশ করেছেন আনোয়ার পাশা। ১৯৬৩ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নদী নিঃশেষিত হলে' প্রকাশের আগে সহপাঠী-বন্ধু কবি শঙ্খ ঘোষ ও অন্যান্য বামপন্থী বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর 'আনোয়ার পাশা' নামেই বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও 'পাশা' নামটি তাঁর পছন্দের ছিল না। কিন্তু বৈমাত্রের দিক থেকে তাঁর এক খালু ছিলেন ইংরেজি-জানা লোক। তাঁর এই কিম্ভূত নামটা অর্থাৎ নামের 'পাশা' অংশটুকু তাঁর সেই আত্মীয়ের। তাঁর খালুর সেই পাশা নামটি আনোয়ারের শেষে যুক্ত হয়েছে। তিনি একাধিকবার চেষ্টা করেছেন তাঁর নাম থেকে 'পাশা' বর্জন করতে। প্রথম হাইমাদরাসা ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার সময় 'পাশা' বাদ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শিক্ষকরা তাতে বাধা দিয়েছিলেন। তাই পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেটগুলোতে 'পাশা'-যুক্ত হয়ে আছে। সাহিত্যক্ষেত্রে 'পাশা' বিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি। সে জন্য শুধু 'আনোয়ার' লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর নামের 'আনোয়ার' শব্দটি তাঁর খুব প্রিয়। 'বাঙলা ও বাঙালী' নামে একটি পত্রিকায় একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে লেখক ছিলেন শুধু আনোয়ার, পাশা বাদ। বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতা'-য় কবিতা পাঠালে তা মনোনীত হয়, কিন্তু শুধু আনোয়ার নামে তিনি আপত্তি করেন। তাঁর ঠিকানার স্থানে 'আনোয়ার পাশা' ছিল, সেখান থেকে 'পাশা' সংগ্রহ করে তিনি ওই নামে কবিতাটি প্রকাশ করেন।
পাশার হাত থেকে রেহাই পাবার শেষ চেষ্টা করেছিলেন ভারত ছেড়ে আসার পর। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের পাবনা কলেজে চাকরি নিয়ে মনে মনে বলেছিলেন, 'পাশা তোমার সঙ্গে এই শেষ; ভারত ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকেও ছাড়লাম।' এবং সত্যি সত্যিই তিনি লিখতেও শুরু করলেন পাশা বর্জন করে। তবে এবার শুধু 'আনোয়ার' নামে শুরু করলেন না। শুরু করলেন 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে একাধিক লেখা পাবনা কলেজ ম্যাগাজিনে ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক 'পূর্বমেঘ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর এ নামও শেষ পর্যন্ত টিকেনি। কারণ তাঁর বামপন্থী বন্ধুরা কেউ 'মুহম্মদ আনোয়ার' নাম পছন্দ করলেন না। তাঁদের মতে 'আনোয়ার পাশা' নামটাই ভালো। ইতোমধ্যে ১৯৬৩ সাল এসে গেছে, তাঁর দু'খানি বইয়ের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এই বই বেরুবে কী নামে ? তাঁর প্রথম বই বের হয় কলকাতা থেকে- 'নদী নিঃশেষিত হলে'। কবিবন্ধু শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে এই বইয়ের কবিতা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানতে পারেন, 'আনোয়ার পাশা' নামটিই তাঁরা বেশি পছন্দ, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নয়। তাঁর প্রকাশকও 'আনোয়ার পাশা' নামটির ব্যবসায়গত সুবিধা লক্ষ্য করলেন। প্রকাশিত হলো আনোয়ার পাশার 'নদী নিঃশেষিত হলে' গ্রন্থ।
ঢাকায় এ সময় 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা'-র ছাপার কাজ চলছিল। কয়েক মাস পর সেই বইটি প্রকাশিত হলে সেখানেও লেখক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন 'আনোয়ার পাশা', অগত্যা 'মুহম্মদ আনোয়ার' চিরতরে জনতার ভিড়ে হারিয়ে গেলেন। আনোয়ারের সঙ্গে পাশার যোগটা স্থায়ী হয়ে গেল।
এর আগে 'ইসলামের ইতিহাস' শিরোনামে একটি মাদরাসাপাঠ্য বই বের হয়েছিল, 'মুহম্মদ আনোয়ার' নামে। পশ্চিমবঙ্গে মাদরাসায় শিক্ষকতাকালে সম্ভবত এটি লিখেছিলেন। প্রকাশকাল জানা যায়নি, তবে ১৯৫৫-৫৬ সাল হতে পারে। দ্বিতীয় কাব্যসংগ্রহ 'সমুদ্র শঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কবিতা'-র প্রেসকপি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবদ্দশায় বইটি প্রকাশ পায়নি, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৪ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (প্রথম খণ্ড)'। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে ১৯৬১ সালে (বাংলা ১৩৬৮) পুরো এক বছরে এই বইয়ের প্রথম খণ্ড রচনা করেন তিনি। এতে গল্পগুচ্ছের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের গল্পগুলোর আলোচনা ছাড়াও দেশ-কাল এবং প্রকৃতি সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন তিনি। এ বইয়ের সংশোধিত ও সংযোজিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। 'রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (দ্বিতীয় খণ্ড)' প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৭৮ সালে। ১৯৬৭ সালে তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ 'সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল' প্রকাশ পায়।
তাঁর প্রথম উপন্যাস 'নীড়-সন্ধানী' পাবনায় অবস্থানকালে লেখা। ১৯৬৫-৬৬ সালে এটি মাসিক 'পূবালী' (ঢাকা) পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। দ্বিতীয় উপন্যাস 'নিষুতি রাতের গাথা' প্রকাশ পায় ১৯৬৮ সালে। এই বইটি 'নীড়-সন্ধানী'-র পরিপূরক খণ্ড। 'নীড়-সন্ধানী'-র মতোই এ বইটিও আত্মজীবনীমূলক ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একজনের দেশত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার গল্প অবলম্বনে রচিত। তৃতীয় উপন্যাস 'রাইফেল রোটি আওরাত' প্রকাশ পায়, তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৩ সালের মে মাসে। বাঙালীদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানিদের মনোভাব ও আচরণ এবং অসহায় বাঙালীদের ওপর দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যা এই রচনার বিষয়। পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিষয়ে তাঁর মনোভাবও এই রচনায় অকপটে প্রকাশ পেয়েছে। একাত্তরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসে লেখা উপন্যাস এটি। চারপাশে তখন চলছে যুদ্ধ- কেবলি গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ, আর মৃত্যু- এই রকম একটি পরিস্থিতিতে বসে বাস্তব ঘটনাকে উপজীব্য করে উপন্যাস লিখেছেন তিনি। যদিও উপন্যাসটিতে ছোটখাটো কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। তবু এই উপন্যাসে প্রকাশিত তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ, বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক দলিল। তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ 'নিরুপায় হরিণী' ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর একটি অসমাপ্ত উপন্যাসের নাম 'নেতিগর্ভ/হিমগৃহ' বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। এর বাইরে বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও রচনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদনায় ১৯৬৮ সালে প্রকাশ করেন 'চর্যাগীতিকা', ১৯৬৭ সালে 'বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্য' (শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কিছু অংশ) প্রকাশ পায়। 'কালকেতু উপাখ্যান' (মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলের অংশবিশেষ) ও 'মানসিংহ-ভবানন্দ উপাখ্যান' (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গলের অংশবিশেষ) প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে ও ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় 'ঈশ্বরগুপ্তের কবিতা-সংগ্রহ'। 'আনোয়ার পাশা রচনাবলী (৩য় খণ্ড)' বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ডিসেম্বর ১৯৮১, জুন ১৯৮৩ ও মে ১৯৮৭ সালে। তিন খণ্ডেরই সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আনোয়ার পাশার গল্প-উপন্যাসের চরিত্রেরা যেমন বেঁচে থাকার পক্ষে দৃঢ় প্রত্যয়ী, তেমনি জীবনের প্রতি তাঁরও ছিল অগাধ প্রেম ও আকুতি।
রাইফেল রোটি আওরাত : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস আনোয়ার পাশার ‘রাইফেল রোটি আওরাত’। যুদ্ধের ঘনঘোর তাণ্ডব পেরিয়ে উপন্যাসটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেও তিনি আর পৌঁছতে পারেননি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর ঘাতকেরা তাঁকে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে এ রকম নজির আর কি আছে? আর কাউকে কি নিজের জীবন দিয়ে লিখতে হয়েছে জাতীয় জীবনের করুণ-কঠিন ট্র্যাজিক আখ্যান?
আজ যদি আমরা জানতে চাই ওই ভয়াবহ দুর্যোগে কীভাবে বেঁচে ছিল জাতির আত্মা, কীভাবে রক্তনদী সাঁতরে অজস্র মৃত্যু পেরিয়ে বিজয়ের পাড়ে পৌঁছবার জেদ দানা বেঁধেছিল, তাহলে রাইফেল রোটি আওরাত-এর থেকে বেশি আর কে তা জানাবে? এ কেবল লাঞ্ছিত বাংলার হাহাকার নয়, তার রুখে দাঁড়ানোরও দলিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কটি উপন্যাস আছে আমাদের, লেখা হবে আরও অনেক। কিন্তু রাইফেল রোটি আওরাত অনন্য। আর কেউ একাত্তরের আলো-অন্ধকারের মধ্যে সশরীরে ঢুকে তাকে জানার সুযোগ পাবেন না। আনোয়ার পাশা জেনেছেন ও জানিয়েছেন।
একাত্তরের এপ্রিলে লেখা শুরু, শেষ জুনে। কিন্তু ওই এপ্রিলেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা আসন্ন। তাই মৃত্যুর আগে উপন্যাসের শেষ বাক্যে লেখেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অভয়বাণী: ‘মা ভৈ’। কী বিস্নয়, চিরকালই নায়কেরা ধ্বংসের মুখে জীবিতদের আশার বার্তাই দিয়ে যান। যেমন দিয়েছেন প্রতিভাবান ব্রিটিশ কবি ও দার্শনিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল। স্পেনের গৃহযুদ্ধে তিনি শহীদ হন, যেমন শহীদ হন স্পেনেরই কবি ফেদেরিকা গার্সিয়া লোরকা।
২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশ যে মৃত্যুর বিভীষিকায় ডুবেছিল, তার ভেতরে রক্ত, লাশ আর নরক সমান ভয়াবহতার মধ্যে আনোয়ার পাশা লিখছেন ওই মৃত্যুরই আখ্যান। এটি ২৫ মার্চের পরের তিন দিনের গল্প। এই গল্প ইতিহাস, এই গল্প একাত্তরের রক্তের ডাক। এই কাহিনী শত্রুকবলিত বাংলাদেশের মুক্তির সাহসী প্রতিজ্ঞা। উপন্যাসের নায়ক সুদীপ্ত শাহীনই যেন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিপন্ন, ছিন্নবিচ্ছিন্ন ও ভীত কিন্তু আশাহীন নয়, সেই বাংলাদেশ কথা বলেছে তাঁর কলমে। কখন বলেছে? যখন সেই বাংলাদেশ গণহত্যার শিকার, যখন সেই বাংলাদেশ ধর্ষিত, যখন সেই বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী। তাই রাইফেল রোটি আওরাত লেখাটাও একটা যুদ্ধ। মৃত্যুর গ্রাসের মধ্যে বসে সেই মৃত্যুকে রুখবার বিবরণ এভাবে আর কে কবে লিখেছে? এর শক্তি কেবল শিল্পে নয়, এর সত্যদর্শনে। আর তা এমনই সবল যে হাজার বছর পরও কেউ একাত্তরের বাংলাকে ঠিকই এই উপন্যাসের আলোয় চিনে নিতে পারবে। স্বাদ পাবে বাংলাদেশের জন্মমুহূর্তের যন্ত্রণা মেশানো উদ্বেল আশার।
ঋণ স্বীকার : ফারুক ওয়াসিফ
পাঠকের মতামত:
- কাঁচামালের অভাবে বন্ধ দেশবন্ধু গ্রুপের সুগার রিফাইনারি মিল
- বিশ্বখ্যাত ১ নম্বার ইলেকট্রিক স্কুটার প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড Yadea এখন পঞ্চগড়ে
- ২০ কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজায় মিলল শতাধিক লাশ
- বড় জয়ে ‘সরাসরি’ বিশ্বকাপে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ
- সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ফের রিমান্ডে
- চাঁদাবাজি ও ঘুস বন্ধে ‘গুন্ডা প্রতিরোধ স্কোয়াড’ গঠনের সুপারিশ
- টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে না পারায় মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
- জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
- বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সেই বিমানে তল্লাশি চলছে
- হাসিনার গোপন কারাগারে আটক থাকত শিশুরাও, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ
- তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
- নাঈম নৈপুণ্যে রাজশাহীকে হারাল চিটাগং
- আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা উচিত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- হাসপাতালে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ভোটার করবে ইসি
- ২৪৬ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প
- ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
- মেডিকেলে কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফল স্থগিত
- ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল
- সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত স্বাভাবিক, কৃষি কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা
- বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ‘হিটম্যাপ’ প্রকাশ করল বিডা
- পালমাসকে উড়িয়ে চূড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ
- বেস্ট হোল্ডিংসের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- বিজয়ের সেঞ্চুরি ম্লান করে হাসানের দারুণ বোলিংয়ে খুলনার জয়
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ
- মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা : জাতীয় মেধা তালিকায় শীর্ষে যারা
- ঢাবিতে আবার ‘কোটা না মেধা’ স্লোগান, বিক্ষোভ
- চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান
- শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা
- পুরোনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম
- ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে সম্পর্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা
- রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- কাজী নজরুলের নাতি বাবুল লাইফ সাপোর্টে
- নতুন বাজারে ৬৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
- বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস কারাগারে
- মঙ্গলবার থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গণগ্রেপ্তার শুরু যুক্তরাষ্ট্রে
- ওষুধের ভ্যাট কমাতে সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- "যেকোনো উপায়ে সাধারণ মানুষের ভোট প্রদানের অধিকার থাকতে হবে"
- শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে: শফিকুল আলম
- ফ্যাসিস্ট যেন সংসদে ফিরে আসতে না পারে: বদিউল আলম
- ঋণ খেলাপিদের মনোনয়ন দেবে না বিএনপি, ফখরুলের অঙ্গীকার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ: দুঃখ প্রকাশ করলো বিএসএফ
- "ব্যাংক খাত পেলেও পুঁজিবাজার পায়নি সংস্কার সহায়তা"
- যশোর জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- এআইবি পিএলসির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
- ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনের শুরু
- ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার-২০২৫’ সমাপ্ত
- অবশেষে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইল
- যোগ্যকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
- "দেশে আসেন, কাশিমপুরে ভালো ব্যবস্থা করা হবে"
- "পয়লা বৈশাখে স্থানীয় নামসহ নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ"
- ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে অভিমত জানাতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরা
- শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন: হাসিনার নির্দেশে ক্র্যাকডাউন
- আমদানি করায় কমছে চালের দাম
- "রক্তে যখন শরীর ভেসে যাচ্ছিল, তখন সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ"
- কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা, অপরিবর্তিত থাকবে রাতের
- বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে? বিশ্রাম নিয়ে যা ভাবছেন নাহিদ রানা
- রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তানি আতিথেয়তার লোভ দেখালেন ফখর
- দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
- ফেসবুকে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম
- ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মান নিয়ে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল
- আগের দামেই পেঁয়াজ, কমেছে সবজির
- অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: জয়নুল আবদিন
- ৩ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- নটিংহ্যামের বিপক্ষে লিভারপুলের ড্র
- আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা বুমরাহ
- গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ পর্যায়ে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে চুক্তি
- সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার
- ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
- শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন: হাসিনার নির্দেশে ক্র্যাকডাউন
- "রক্তে যখন শরীর ভেসে যাচ্ছিল, তখন সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ"
- অবশেষে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইল
- ঢাবিতে আবার ‘কোটা না মেধা’ স্লোগান, বিক্ষোভ
- মঙ্গলবার থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গণগ্রেপ্তার শুরু যুক্তরাষ্ট্রে
- আগের দামেই পেঁয়াজ, কমেছে সবজির
- নতুন বাজারে ৬৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ: দুঃখ প্রকাশ করলো বিএসএফ
- মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল
- যোগ্যকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
- ফেসবুকে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম
- কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা, অপরিবর্তিত থাকবে রাতের
- পুরোনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম
- অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: জয়নুল আবদিন
- আমদানি করায় কমছে চালের দাম
- বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ‘হিটম্যাপ’ প্রকাশ করল বিডা
- ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার-২০২৫’ সমাপ্ত
- দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
- ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মান নিয়ে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে
- কাজী নজরুলের নাতি বাবুল লাইফ সাপোর্টে
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঋণ খেলাপিদের মনোনয়ন দেবে না বিএনপি, ফখরুলের অঙ্গীকার
- রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তানি আতিথেয়তার লোভ দেখালেন ফখর
- বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে? বিশ্রাম নিয়ে যা ভাবছেন নাহিদ রানা
- মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা : জাতীয় মেধা তালিকায় শীর্ষে যারা