২০১৩ অক্টোবর ০৫ ১৭:১৭:১৩ গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা, দিরিপোর্ট২৪ডটকম : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী মিল্টন বাজার এলাকা থেকে অপহৃত ঝুট ব্যবসায়ী মাহাবুবের সন্ধান গত নয় মাসেও করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে, একই দিন অপহৃত হওয়া বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের মতিয়ার রহমান ফকিরের চতুর্থ সন্তান ওবায়দুর রহমানকেও উদ্ধার করা যায়নি।

মাহাবুবের বাবা আবুল বাশার অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের ফুকরা মিলটন বাজার এলাকা থেকে মাহাবুবকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। পরে তিনি কাশিয়ানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর রুবেল নামের একটি ছেলে তাকে জানায়, মাহাবুবকে র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে। তিনি র‌্যাবের মহা-পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু র‌্যাব থেকে তাকে জানানো হয়, মাহাবুবকে তারা আটক করেনি। পরে রুবেল জানায়, পাঁচ লাখ টাকা দিলে মাহাবুবকে এনে দেওয়া হবে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের 0২ ফেব্রুয়ারি মাহাবুবের পরিবার রুবেল মিয়া, মান্নান ফকির, বাবুল মোল্লা ও বাবুল শেখ নামের চারজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।

মাহাবুবের বাবা অভিযোগ করেন, গত নয় মাসেও তার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারেও কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।

তিনি বলেন, রুবেলের সাথে মাহাবুবের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

এদিকে, স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

অন্যদিকে, একই দিন বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের মতিয়ার রহমান ফকিরের চতুর্থ সন্তান ওবায়দুর রহমানকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা । এ ঘটনায় তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা করে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে উদ্ধার কিংবা আসামিদের গ্রেফতারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো.বেলায়েত হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪ডটকম/মো. মোর্শেদায়ান নিশান/এমএআর/অক্টোবর ০৫, ২০১৩)