thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে 24, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৩ শাওয়াল 1445

রানওয়েতে বিপদ!

২০১৩ ডিসেম্বর ২৮ ০০:২১:০৭

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : উড়োজাহাজে ভীতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর মধ্যে যদি রানওয়ে বিপদজনক হয় তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্বে এমন কিছু রানওয়ে রয়েছে, যেখানে সাধারণত কোনো পাইলট সেধে তার উড়োজাহাজ ল্যান্ড করাতে চাইবেন না। পাইলট বা যাত্রী যদি রোমাঞ্চপ্রিয় হন তবে সে সব রানওয়েতে ল্যান্ড করতে থ্রিল অনুভব করবেন। ‘এয়ার ফেয়ার ওয়াচ ডগ’ নামের একটি টীমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমনই কিছু এয়ারপোর্টের নাম। সেখান থেকে ৫টি এয়ারপোর্টের রানওয়ে নিয়ে এই প্রতিবেদন।

জিব্রাল্টার এয়ারপোর্ট : জিব্রাল্টারের এই এয়ারপোর্টে ঢুকলে আপনার মনে হবে বোধহয় কোনো রেল ক্রসিংয়ের ভেতর পড়েছেন। গাড়ি চলাচলের রাস্তার মাঝে এই এয়ারপোর্টের রানওয়ে বানানো হয়েছে, যার ফলস্বরুপ কোনো উড়োজাহাজ এখানে ল্যান্ড করার সময় দুইপাশের রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়। সাধারণত রেলগাড়ি আসার সময় রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হলে দুইপাশে জ্যাম বেঁধে যায়- এখানে বিমানের জন্য তা হয়।

মাদেইরা এয়ারপোর্ট : পর্তুগালের বিমানবন্দরটির রানওয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি আকারে খুবই ছোটো এবং পাহাড় – সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত। পাইলটকে অনেকটা সমুদ্র ও পাহাড় শাসন করে ল্যান্ড করতে হয়! কারণ এখানে বাতাস সবসময় অনুকূল অবস্থায় থাকে না এবং পাইলটকে পাহাড় এড়িয়ে খুবই দক্ষতার সাথে অবতরণ করতে হয়। সত্যিকারের থ্রিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এই রানওয়ের জুড়ি নেই।

সি আইস রানওয়ে : এটি বরফের দেশ এন্টার্টিকায় অবস্থিত। বরফঢাকা রানওয়েটি প্রায় সময় বিমানের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। উপরন্তু চারিদিকে মাত্রাতিরিক্ত বরফের কারণে এই রানওয়ে সবসময় বরফমুক্ত রাখা সম্ভব হয় না। কয়েকবছর আগেই এই রানওয়ের বরফ গলতে শুরু করলে সব শিডিউল ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলো কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বরফের মধ্যে ১০ ইঞ্চির বেশি চাকা না ডুবিয়ে রানওয়েতে অবতরণ করার জন্য বলা হয় পাইলটদের। কিন্তু এটা বড় এক চ্যালেঞ্জ।

জুয়ানচো ই. ইরাউসকুইন এয়ারপোর্ট : সাবা আইল্যান্ডের এই রানওয়েটি সম্ভবত কোনো পাইলটকেই স্বাগত জানায় না। কারণ রানওয়েটি এমনভাবে বানানো যে যদি একটু এদিক-ওদিক হলে পুরো উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষপ্রান্তে সমুদ্রে ডুবে যাবে! পর্বতময় ভূ-খণ্ড এই রানওয়েটিকে করে তুলেছে চ্যালেঞ্জিং। তুখোড় অভিজ্ঞ পাইলট ছাড়া এখানে উড়োজাহাজ ল্যান্ড করার সাহস কেউ করে না, যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার কথা জানা যায়নি।

কাম্বো বামডা এয়ারপোর্ট : তিব্বতের এই রানওয়েটি সমুদ্র থেকে ১৪০০ ফুট উপরে এবং ৩.৫ মাইল লম্বা। সমুদ্র থেকে এত উপরে ভ্রমণ সবসময়ই বেশ বিপদজনক এবং এই উচ্চতায় একটি উড়োজাহাজকে নিরাপদে অবতরণ করানো একজন পাইলটের জন্য বেশ কঠিন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচও/ডব্লিউএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

ফিচার এর সর্বশেষ খবর

ফিচার - এর সব খবর