মহানবী (সা.) সম্পর্কে মনীষীদের ভাষ্য
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসলাম ও ইসলামের নবী মুহাম্মদ বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। মুহাম্মদ (সা.)-কে বলা হয় পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে মন্তব্য করেছেন। এখানে বিশ্ববিখ্যাত কতিপয় মনীষীর ভাষা তুলে ধরা হচ্ছে।
জর্জ বার্নাড শ বলেন, মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি, কারণ এর চমৎকার প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর(মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি– চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিষ্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি তাঁর মতো ব্যক্তির নিকট যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সঙ্গে সমাধান করতেন যা বহু প্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ আনয়ন করত। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতোমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে। (Sir George Bernard Shaw in ‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936.)
থমাস কার্লাইল বলেন, এ লোকটিকে (মুহাম্মদ) ঘিরে যে মিথ্যাগুলো (পশ্চিমা অপবাদ) পুঞ্জীভূত হয়ে আছে- যার ভালো অর্থ হতে পারে ধর্মান্ধতা, তা আমাদের নিজেদের জন্যই লজ্জাজনক। (Thomas Carlyle in ‘Heroes and Hero Worship and the Heroic in History,’ 1840)
মহাত্মা গান্ধী বলেন, আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম যিনি আজ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন... যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেইসব দিনগুলোতে মানুষের জীবন-ধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, ভয়হীনতা, ঈশ্বর এবং তাঁর(নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। এসব-ই মুসলমানদের সকল বাঁধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যখন আমি মুহাম্মদের জীবনীর ২য় খণ্ড বন্ধ করলাম তখন আমি খুব দুঃখিত ছিলাম যে এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমার পড়ার আর কিছু বাকি থাকলো না। (Mahatma Gandhi, statement published in ‘Young India,’1924)
উইলিয়াম ড্রাপার বলেন, জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর, ৫৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আরবে একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেন যিনি সকলের চাইতে মানবজাতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন...অনেক সাম্রাজ্যের ধর্মীয় প্রধান হওয়া, মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশের প্রাত্যহিক জীবনের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করা– এ সবই সৃষ্টিকর্তার দূত হিসেবে তাঁর উপাধির যথার্থতা প্রমাণ করে। (Dr. William Draper in ‘History of Intellectual Development of Europe’)
আলফান্সে ডি লা মার্টিন বলেন, উদ্দেশ্যের মহত্ত্ব, লক্ষ্য অর্জনের উপায়সমূহের ক্ষুদ্রতা এবং আশ্চর্যজনক ফলাফল যদি অসাধারণ মানুষের তিনটি বৈশিষ্ট্য হয় তবে কে মুহাম্মদের সঙ্গে ইতিহাসের অন্য কোন মহামানবের তুলনা করতে সাহস করবে? বেশির ভাগ বিখ্যাত ব্যক্তি শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, আইন এবং সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। তাঁরা যদি কিছু প্রতিষ্ঠা করে থাকেন সেটা কিছুতেই জাগতিক ক্ষমতার চাইতে বেশি কিছু নয় যা প্রায়ই তাদের চোখের সামনে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই মানুষটি শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, আইন, সাম্রাজ্য, শাসক, লোকবলই পরিচালনা করেননি সেইসঙ্গে তৎকালীন বিশ্বের লক্ষ-লক্ষ মানুষের জীবনকে আন্দোলিত করেছিলেন; সবচেয়ে বড় কথা হল তিনি দেব-দেবী, ধর্মসমূহ, ধারণাগুলো, বিশ্বাসসমূহ এবং আত্মাগুলোকে আন্দোলিত করেছিলেন।
দার্শনিক, বাগ্মী, বার্তাবাহক, আইনপ্রণেতা, নতুন ধারণার উদ্ভাবনকারী/ধারণাকে বাস্তবে রূপদানকারী, বাস্তব বিশ্বাসের পুনরুদ্ধারকারী… বিশটি জাগতিক এবং একটি আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা-এই হলো মুহাম্মদ। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব পরিমাপের যত মাপকাঠি আছে তার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে আমরা নিজেদের প্রশ্ন করতে পারি- মুহাম্মদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ আছে কি? (Alphonse de LaMartaine in ‘Historie de la Turquie,’ Paris, 1854.)
মাইকেল এইচ হার্ট বলেন, মুহাম্মদকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেকুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিষ্টান ধর্মের ওপর যীশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে বেশি।… আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেকুলার উভয় ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয়যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত করেছে। (Michael H. Hart in ‘The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,’ New York, 1978.)
ডব্লিউ মন্টিগমারী বলেন, নিজ আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল প্রকার কষ্ট সহ্য করা, তাঁকে যারা বিশ্বাস করত এবং নেতা হিসেবে অনুসরণ করত তাদের সুউচ্চ চারিত্রিক গুণাবলী এবং মুহাম্মদের অর্জনের বিশালত্ব- এ সবকিছুই তাঁর সততার সাক্ষ্য দেয়। মনে করুন মুহাম্মদ একজন অসাধু ব্যক্তি যিনি সমাধানের চেয়ে সমস্যাই বেশি সৃষ্টি করেছেন। অধিকন্তু, আর কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বই মুহাম্মদের মতো পাশ্চাত্যে এতবেশি অবমূল্যায়িত হয়নি… শুধুমাত্র যা বর্ণিত হয়েছে তার ভিত্তিতে নয়, আমরা যদি মুহাম্মদকে সামান্য পরিমাণও বুঝতে চাই তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সততা ও ন্যায়পরায়ণতা সহকারে তাঁকে বিচার করতে হবে। আমরা যদি আমাদের অতীত থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ভুলগুলো সংশোধন করতে চাই তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে. চূড়ান্ত প্রমাণ আপাতদৃষ্টিতে যা সত্য বলে প্রতীয়মান হয় তারচেয়ে অনেক কঠিন শর্ত। এবং এই ব্যাপারে প্রমাণ অর্জন সত্যিই দুঃসাধ্য হবে। (W. Montgomery Watt in ‘Muhammad at Mecca,’ Oxford, 1953.)
ডি.জি হগার্ট উল্লেখ করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ অথবা তুচ্ছ, তাঁর দৈনন্দিন প্রতিটি আচার-আচরণ একটি অনুশাসনের সৃষ্টি করেছে যা লক্ষ-কোটি মানুষ বর্তমানকালেও সচেতনতার সঙ্গে মেনে চলে। মানবজাতির কোন অংশ কর্তৃক আদর্শ বলে বিবেচিত আর কোন মানুষকেই মুহাম্মদের মতো এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হয়নি। খ্রিষ্টধর্মের প্রতিষ্ঠাতার আচার-আচরণ তাঁর অনুসারীদের জীবন-যাপনকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। অধিকন্তু, কোন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাই মুসলমানদের নবীর মতো এরকম অনুপম বৈশিষ্ট্য রেখে যাননি। (D. G. Hogarth in ‘Arabia’)
প্রফেসর গীবন উদ্ধৃতি করছেন এভাবে, মুহাম্মদের মহত্ত্বের ধারণা আড়ম্বড়পূর্ণ রাজকীয়তার ধারণাকে অস্বীকার করেছে। স্রষ্টার বার্তাবাহক পারিবারিক গৃহকর্মে নিবেদিত ছিলেন; তিনি আগুন জ্বালাতেন; ঘর ঝাড়ু দিতেন; ভেড়ার দুধ দোয়াতেন; এবং নিজ হাতে নিজের জুতা ও পোষাক মেরামত করতেন। পাপের প্রায়শ্চিত্তের ধারণা ও বৈরাগ্যবাদকে তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁকে কখনও অযথা দম্ভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি, একজন আরবের সাধারণ খাদ্যই ছিল তাঁর আহার্য। (Gibbon in ‘The Decline and Fall of the Roman Empire’ 1823 )
লেন পোল বলেন, তিনি যাদেরকে আশ্রয় দিতেন তাদের জন্য ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত রক্ষাকারী, কথাবার্তায় ছিলেন অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও নম্র। তাঁকে যারা দেখত তারা শ্রদ্ধায় পূর্ণ হতো; যারাই তাঁর কাছে এসেছিল তাঁকে ভালবেসেছিল; যারা তাঁর সম্বন্ধে বর্ণনা দিত তারা বলত, “তাঁর মতো মানুষ আগে বা পরে আমি কখনও দেখিনি।” তিনি ছিলেন অতি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন তিনি কথা বলতেন জোরের সঙ্গে এবং সুচিন্তিতভাবে কথা বলতেন। এবং তিনি যা বলতেন তা কেউ ভুলতে পারত না। (Lane-Poole in ‘Speeches and Table Talk of the Prophet Muhammad’)
এডোয়ার্ড গীবন ও সীমন ওকলে তাঁদের গ্রন্থে বলেন, প্রচার নয় মুহাম্মদের ধর্মের স্থায়িত্বই আমাদের আশ্চর্যান্বিত করে। অকৃত্রিম এবং পূর্ণাঙ্গ সম্মোহনকারী শক্তি যেটা তিনি মক্কা এবং মদিনায় অর্জন করেছিলেন সেটা বারশত বছর পরেও একই আছে কোরআনের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত তাঁর ভারতীয়, আফ্রিকান ও তুর্কী অনুসারীদের মধ্যে। প্রলুব্ধ/আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা তাদের মূল বিশ্বাস ক্ষয়প্রাপ্ত হতে দেয়নি। ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর দূত’-এটাই হলো ইসলামের সহজ এবং অপরিবর্তনীয় বিশ্বাস। বুদ্ধিবৃত্তিক ঈশ্বরের চেতনা কোন দৃশ্যমান মূর্তি দ্বারা হ্রাস পায়নি; নবীর মর্যাদা কখনও মানবীয় গুণাবলীর ব্যাপ্তি অতিক্রম করেনি। তাঁর জীবনধারণ পদ্ধতি শিষ্যদের কৃতজ্ঞতাবোধ ধরে রেখেছে যুক্তি ও ধর্মের সীমার মধ্যে। (Edward Gibbon and Simon Oakley in ‘History of the Saracen Empire,’ London, 1870)
১৯৭৪ সনে বিশ্ববিখ্যাত সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়- নেতাদের অবশ্যই তিন ধরনের কাজ সম্পাদন করতে হয়- অনুসারীদের মঙ্গলের ব্যবস্থা করা, এমন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করা যেটাতে সাধারণ লোকজন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বোধ করে, এবং অনুসারীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাসের যোগান দেয়া। প্রথমটি বিবেচনায় নেতা হলেন লুই পাস্তুর এবং সাল্ক(Salk)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় একদিকে গান্ধী ও কনফুসিয়াস এবং অন্যদিকে আলেকজান্ডার, সীজার ও হিটলার- এরা হলেন নেতা। যীশুখ্রিষ্ট ও গৌতম বুদ্ধ তৃতীয়টি বিবেচনায় নেতা। সম্ভবত মুহাম্মদ হলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা যিনি ওপরোক্ত তিনটি কার্যাবলীই সম্পাদন করেছেন। স্বল্প পরিসরে হলেও মুসাও একই কাজ করেছিলেন। (Jules Masserman in ‘Who Were Histories Great Leaders?’ in TIME Magazine, July 15, 1974)
অ্যানি বিসান্ট তার গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, যে কেউ আরবের মহান নবীর জীবন এবং চরিত্র অধ্যয়ন করেন তার হৃদয়ে মহান নবীর প্রতি শ্রদ্ধার উদ্রেক না হয়ে পারে না, যিনি জেনেছেন তিনি(নবী) কিভাবে শিক্ষা দিতেন এবং বসবাস করতেন; তিনি ছিলেন স্রষ্টার মহান বার্তাবাহকদের অন্যতম। যদিও আমি আপনাদেরকে এখন যা বলব তা অনেকের কাছে সুপরিচিত মনে হতে পারে, তথাপি যখনই আমি মুহাম্মদের জীবনী পুনরায় পাঠ করি প্রতিবারই আরবের মহান শিক্ষকের প্রতি আমার মনে মুগ্ধতা ও শ্রদ্ধার নতুন ভাব জাগ্রত হয়। (Annie Besant in ‘The Life and Teachings of Mohammad,’ Madras, 1932.)
ডব্লিউ সি টেইলর লিখেছেন, দরিদ্র লোকদের প্রতি তাঁর সদয়তা এত বেশি ছিল যে প্রায়ই পরিবার-পরিজনকে উপবাস করতে হতো। তিনি শুধু তাদের অভাব মোচন করেই তৃপ্ত হতেন না, তাদের সঙ্গে কথা-বার্তা বলতেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার জন্য গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করতেন। তিনি ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বিশ্বস্ত সহযোগী। (W.C. Taylor in ‘The History of Muhammadanism and its Sects’)
রেভারেন্ড বোসওয়ার্থ বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান একইসঙ্গে উপাসনাগৃহের প্রধান, তিনি ছিলেন একই সঙ্গে সীজার এবং পোপ; তিনি পোপ ছিলেন কিন্তু পোপের দুরহংকার ছাড়া, তিনি সীজার ছিলেন কিন্তু সীজারের মতো বিরাট সেনাবাহিনী ছাড়া, দেহরক্ষী ছাড়া, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া, স্থায়ী কোন ভাতা ছাড়া। যদি আজ পর্যন্ত কোন মানুষ ন্যায়বিচারপূর্ণ স্বর্গীয় শাসন করে থাকে, তবে সেটা ছিলেন মুহাম্মদ। (Reverend Bosworth Smith in ‘Muhammad and Muhammadanism,’ London, 1874)
ডক্টর গুস্তাভ বলেন, মুহাম্মদ ছিলেন তাঁর অনুসারীদের জন্য জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত। তাঁর চরিত্র ছিল নিষ্কলুষ এবং দৃঢ়। তাঁর গৃহ, পোষাক, খাদ্য- সবই ছিল অতি সাধারণ। তিনি এতই নিরহংকার ছিলেন যে, তাঁর সঙ্গীদের কাছ থেকে বিশেষ কোন সম্মান গ্রহণ করতেন না কিংবা যে কাজ তিনি নিজে করতে পারতেন তাঁর জন্য অযথা ভৃত্যের সাহায্য নিতেন না। সবসময় সবার জন্য তাঁর দ্বার ছিল উন্মুক্ত ছিল। তিনি অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেতেন এবং সবার প্রতি তাঁর অপরিসীম সহানুভূতি ছিল। তাঁর বদান্যতা ও মহানুভবতা ছিল অসীম, সেইসঙ্গে তিনি সবসময় অনুসরীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করতেন। (Dr. Gustav Weil in ‘History of the Islamic Peoples’)
জে ডব্লিউ এইচ স্ট্র্যাব বর্ণনা করেছেন, তাঁর কাজের সীমা এবং স্থায়িত্ব বিবেচনা করলে শুধু মক্কার নবী হিসেবে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি আরও দীপ্তিময়ভাবে জ্বলজ্বল করছেন। …..মানুষের বিখ্যাত হওয়ার মাপকাঠি অনুসারে বিচার করলে তাঁর সঙ্গে অন্য কোন মরণশীলের খ্যাতি তুলনীয় হতে পারে কি? (J.W.H. Stab in ‘Islam and its Founder’)
ওয়াশিংটন আরভিং বলেন, মুহাম্মদের সামরিক বিজয় তাঁর মাঝে কোন গর্ব ও অযথা দম্ভ জাগায়নি। প্রতিকূল দিনগুলোতে তাঁর আচার-ব্যবহার ও পোষাক-আশাক যেরকম সাধারণ ছিল সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার পরও তা তিনি বজায় রেখেছিলেন। রাজকীয় জাঁকজমক দূরে থাক, এমনকি কক্ষে ঢোকার পর তাঁর প্রতি কেউ বিশেষভাবে সম্মান প্রদর্শন করলে তিনি রেগে যেতেন। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের ভালোবাসার পাত্র, কারণ সবাইকেই তিনি আতিথেয়তার সঙ্গে গ্রহণ করতেন এবং মনোযোগ সহকারে তাদের অভিযোগ শুনতেন। ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রে ছিলেন ন্যায়পরায়ণ। বন্ধু-আগন্তুক, ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সবার সঙ্গে সমতার সঙ্গে ব্যবহার করতেন। (Washington Irving in ‘Life of Muhammad,’ New York,1920.)
বিশ্বখ্যাত লেখক আর্থার গেলেন লিউনার্দো লিখেছেন, এটা ছিল মুহাম্মদের মেধা, যে উদ্দীপনা তিনি ইসলামের মাধ্যমে আরবদের মাঝে সঞ্চারিত করেছিলেন তা তাদের সুউচ্চ স্থানে আসন দিয়েছিল। যা তাদের জড়তা ও গোত্রীয় সঙ্কীর্ণতা থেকে মুক্ত করে জাতীয় ঐক্যের সুমহান নিদর্শন গড়তে এবং সাম্রাজ্য গড়তে সাহায্য করেছিল। সেটা ছিল মুহাম্মদের সমীহ উদ্রেককারী একত্ববাদ, সরলতা, মিতাচার এবং অকৃত্রিমতা, যা আদর্শের প্রতি প্রতিষ্ঠাতার বিশ্বস্ততাকেই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়, যা তাদের নৈতিকতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে শাণিত করেছিল। (Arthur Glyn Leonard in ‘Islam, Her Moral and Spiritual Values’)
বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্টে বর্ণিত হয়েছে, ইতিহাসে আর কোন ধর্মই ইসলামের মতো এত দ্রুত বিস্তার লাভ করেনি। পাশ্চাত্যে এ বিশ্বাস অত্যন্ত দৃঢ়মূল যে ইসলামের এই প্রসার তরবারির জোরেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আধুনিক কোন বিজ্ঞজনই এ ধারণাকে গ্রহণ করেননি, এবং কোরআনেও বিবেকের/চিন্তার স্বাধীনতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ, যে অনুপ্রাণিত মানুষটি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরবের একটি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন, যারা ছিল মূর্তিপূজক। জন্মের সময়ই এতিম হয়েছিলেন, তিনি সবসময় অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, এতিম, দাস ও নিপীড়িত যারা তাদের জন্য উৎকন্ঠিত থাকতেন। বিশ বছর বয়সেই তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন, এবং শিগগিরই বিধবা একজন মহিলার বাণিজ্য কাফেলার পরিচালক হন। যখন তিনি ২৫ বছর বয়সে উপনীত হন তাঁর নিয়োগকর্ত্রী তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেন। যদিও তিনি পনর বছরের বড় ছিলেন, তবু মুহাম্মদ তাঁকে বিবাহ করেন এবং যতদিন পর্যন্ত তিনি(খাদিজা) বেঁচে ছিলেন তাঁর প্রতি নিবেদিত ছিলেন।
তাঁর পূর্ববর্তী বেশিরভাগ নবীর মতই মুহাম্মদ তাঁর সীমাবদ্ধতা/অক্ষমতা বিবেচনা করে স্রষ্টার বার্তাবাহক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু স্বর্গীয় দূত আদেশ করলেন ‘পড়’। আমরা যতটুকু জানি মুহাম্মদ লিখতে কিংবা পড়তে জানতেন না, কিন্তু তিনি সেই উদ্দীপনাময় শব্দগুলো উচ্চারণ করতে শুরু করেন যা অচিরেই পৃথিবীর একটা বৃহৎ অংশে আমূল পরিবর্তন সাধন করবে : ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই।’ মুহাম্মদের নিজের মৃত্যুর পর তাঁর ওপর দেবত্ব আরোপের একটি চেষ্টা চলেছিল, কিন্তু যিনি তাঁর পরে প্রশাসনিক উত্তরসূরি হওয়ার কথা ছিল তিনি এই অপধারণাকে সমূলে ধ্বংস করে দেন ধর্মের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি বক্তৃতার মাধ্যমে : ‘যদি তোমাদের মধ্যে এমন কেউ থেকে থাকে যে মুহাম্মদের পূজা করত, তবে সে জেনে রাখুক মুহাম্মদ মারা গেছেন। কিন্তু যারা আল্লাহর উপাসনা করত তাদের জানা উচিত, তিনি চিরঞ্জীব।’ (James Michener in ‘Islam: The Misunderstood Religion,’ Reader’s Digest, May 1955, pp. 68-70.)
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/এনআই/জানুয়ারি ১৪, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র সাদিক খান
- ৫ অ্যাসিস্ট ও এক গোলে মেসির জোড়া রেকর্ড
- ৩৯ বছর বয়সে রোনালদোর হ্যাটট্রিক, আল নাসেরের জয়
- "আত্রাই নদীতে বাংলাদেশের বাঁধ, পানি পাচ্ছেনা দক্ষিন দিনাজপুর"
- প্রবাসে এনআইডি করতে রঙিন ছবি দেয়া বাধ্যতামূলক
- হিট এলার্টের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস
- আজ থেলে স্কুল-কলেজ খোলা
- এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আজ বন্ধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
- পরিধি বাড়িয়ে আগুনে জ্বলছে সুন্দরবন, তদন্ত কমিটি
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিব কিল্লা নির্মাণের আড়াঁলে অনিয়ম, হরিলুট ও স্বেচ্ছাচারিতা
- ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে
- বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে এই পারফরম্যান্সটার বিকল্প নেই: সাইফউদ্দিন
- নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় গ্রেপ্তার ৩
- ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: ২৩ ঘণ্টায় শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
- ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
- ট্রেনের রেয়াত-সুবিধা প্রত্যাহার, আজ থেকে কার্যকর
- আজ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ
- অস্থির মুরগির বাজার, বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম
- "যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে"
- শেয়ার ছাড়বে রুপালী ব্যাংক
- রবি ও এমটিবির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- ৫ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- জিপির ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ বাড়লো
- রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
- মধ্যরাতে কাকে অপরাধী বলে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন তিশা!
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
- ১০ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি
- কালবৈশাখী ঝড়ের খবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
- চার মাসে রেমিট্যান্স ৮৩১ কোটি ডলার, আগের থেকে ২১ শতাংশ বেশি
- জামিনে মুক্ত মামুনুল হক
- জাতিসংঘের বাংলাদেশে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনটি গৃহীত
- গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
- ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি
- ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন মির্জা ফখরুল
- দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির
- "যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি"
- ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- শেষ ম্যাচে উইকেট ছাড়াই থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলেন মুস্তাফিজ
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৫
- চুয়াডাঙ্গায় ৭০ বিঘা পানের বরজে অগ্নিকাণ্ড
- প্রচন্ড মহাসড়কে চীনে ২৪ জন নিহত
- ইসরায়লের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বুয়েট- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা
- "মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে"
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আরও ছয় দেশে
- নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
- এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার
- শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- "চিকিৎসকদের কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না"
- বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবেই: মির্জা ফখরুল
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- ইসলামে ন্যায্য মজুরি শ্রমিকের অধিকার
- সময়ের ঘোড়দৌড় ও একজন সাদা শ্রমিক
- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কেন পহেলা মে শ্রমিক দিবস নয়
- মে দিবস ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি
- পাল্টে যাওয়া শ্রমিক শ্রেণি: ভাবতে হবে নতুন করে
- রোদে পোড়া শ্রমিক জানে না মে দিবস কি
- কেন এতো মহান মে দিবস
- রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
- ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- টানা ছয় দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- মুস্তাফিজের দুই উইকেট, জয় চেন্নাইয়ের
- ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার গাজীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল আলী
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশণা
- লেভানদোভস্কির গোলে বার্সার জয়
- ইসরায়েলের হামাসের রকেট হামলা, গাজায় সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট
- স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ
- হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবো: শিক্ষামন্ত্রী
- নাভানা ফার্মার মুনাফা বেড়েছে
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির
- হজের খরচ আগামী বছর কমে আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি