thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

জেনেভায় সিরীয় শান্তি আলোচনা

২০১৪ জানুয়ারি ২৬ ০০:০২:০১

তিন বছর ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধের অবসানে জাতিসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে তারই আলোকে জেনেভায় শুরু হয়েছে সিরিয়ার সরকার ও যুদ্ধরত বিরোধী পক্ষের আলোচনা। আলোচনার প্রথম দিন শনিবার যুদ্ধরত পক্ষসমূহের মধ্যে সরাসরি কোনো কথা না হলেও সরকার ও বিরোধী দল একই ঘরে আলোচনায় বসেছে। বিবিসির দেওয়া তথ্য মতে, আলোচনার বিষয় নিয়ে বিরোধী দল ও সরকার পক্ষে স্পষ্টতই পার্থক্য রয়েছে। সরকার পক্ষ বলছে, প্রধান বিষয় হওয়া উচিত বিদেশী সহযোগিতায় সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে যে সহিংসতা চলছে তা নিয়ে। অন্যদিকে বিরোধী দল আলোচনার প্রধান বিষয় করতে চায় জেনেভা-১ প্রজ্ঞাপনকে। যে প্রজ্ঞাপনে সিরিয়া সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিরোধী ও অন্যান্য গ্রুপের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এটি সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য জাতিসংঘের দ্বিতীয় দফা উদ্যোগ। চলতি উদ্যোগে আশার বাণী এতটুকুই যে, এটি ‘সিরিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা’ বলে উভয় পক্ষ বুঝতে পেরেছে। তবে এটি জাতিসংঘের দূত লাখদার ব্রাহিমির ব্যক্তিগত উপলব্ধি নাকি সিরিয়ার বিবদমান পক্ষসমূহের সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।

বছর তিনেক আগে তিউনিশিয়ায় যে ‘বিদ্রোহ-বিপ্লব’ শুরু হয়েছিল তা মিসরসহ সারা আরব দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে পাশ্চাত্য তাকে আরব বসন্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। পাশ্চাত্যের প্রভাবাধীন জাতিসংঘ এটাকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করলেও ওই সব দেশের যে পরিণতি ঘটেছে তাতে গণতন্ত্র অথবা আরব বসন্ত কবে আসবে তা ভবিষ্যতই জানে। তবে আপাততঃ তার কোনো নাম নিশানা মিলছে না।

একই সময়ে সিরিয়ায় কথিত আরব বসন্ত শুরু হলেও তা থেকে কোনো ফলাফল পাশ্চাত্যপন্থী বিরোধীপক্ষ পায়নি। সে কারণেই আজ জেনেভায় এই শান্তি আলোচনা। তবে আরবের অন্যান্য দেশের মতো সিরিয়ায়ও যে সহজে শান্তি আসছে না আলোচনার গতি-প্রকৃতি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমরা শুধু যৌবনের কবি কাজী নজরুলের ভাষায় বলতে চাই, ‘যারা জীবনের পসরা বহিয়া মৃত্যুর দ্বারে দ্বারে/করিতেছে ফিরি, ভীম রণভূমে প্রাণ বাজি রেখে হারে/আমি মরু কবি গাহি সেই বেদে বেদুইনদের গান/যুগে যুগে যারা করে অকারণ বিপ্লব অভিযান।’

পাঠকের মতামত:

SMS Alert