thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

বৃহস্পতিবার বৈঠক

সরকারি কেনাকাটায় তৃতীয় পক্ষের নজরদারি যুক্ত হচ্ছে

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৮:০৩:২২
সরকারি কেনাকাটায় তৃতীয় পক্ষের নজরদারি যুক্ত হচ্ছে

জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : যে কোন সরকারি কেনাকাটায় তৃতীয় পক্ষের নজরদারি যুক্ত হচ্ছে। ফলে কেনাকাটায় আসবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তির উপায় খুঁজতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে ‘পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটি’ (পিপিএসসি)। এতে সভাপতিত্ব করবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী ও পিপিএসসি’র সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নাগরিক সম্পৃক্ততা সৃষ্টির উপায় নির্ধারণে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট (পিপিআরপি-২)-এর আওতায় এর আগে সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, টেন্ডারার, গণ-মাধ্যম এবং পাবলিক খাতের সদস্যদের সমন্বয়ে পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটি গঠিত হয়েছে। শুরুতে এ কমিটিতে ২৭ সদস্য থাকলেও বতমানে তা বেড়ে ৪৩ সদস্যে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন পিপিআরপি-২ এর আওতায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স এন্ড ডেলেলপমেন্ট’ (বিআইজিডি) সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে পিপিএসসি’র বৈঠক আয়োজনসহ সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা সৃষ্টির উপায় নির্ধারণে পিপিএসসি-কে সহায়তার জন্য কাজ করছে।

সরকারি ক্রয়ে পিপিএসসি’র কার্যপরিধির বিষয়ে বলা হয়েছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিসসহ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের জন্য পরামর্শ প্রদান করা, সরকারি তহবিলের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার ও জনসেবা প্রদানের জন্য পলিসি সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকরণে ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবান, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আওতায় সিপিটিইউ- এর মহাপরিচালক মো: ফারুক হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘পাবলিক প্রকিউমেন্টের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জনগণের করের অর্থেই সরকারি কেনাকাটা হয়। তাই সরকার চাচ্ছে, সিক্রেট পার্টগুলোর বাইরে অন্য পার্টগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যারা সরকারি ক্রয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, তারা অংশগ্রহণ করুক বা এ বিষয়ে সচেতন থাকুক।

সিপিটিইউ সূত্র জানায়, দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কার্যক্রম। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ক্রয় অনুমোদন কার্যক্রম ইলেকট্রনিক গভর্ণমেন্ট (ই-জিপি) প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ফলে দ্রুত ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে। এর আগে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এ পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে সিসিজিপি-কে এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় সেসব বিষয়ে সরকারের পরামর্শে সিপিটিইউ শিগগিরই একটি কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে একটি দিক নির্দেশনা তৈরি করা হবে।

ই-জিপি কার্যক্রমের সুবিধাগুলো হচ্ছে, পুরো সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের একটি কেন্দ্রীয় ও জাতীয় ইলেক্ট্রনিক প্লাটফরম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও আইন/বিধি’র প্রতিপালন পরিবীক্ষণে একটি ইলেকট্রনিক ক্রয় ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালুর ফলে ক্রয় কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরণের বিদ্যমান জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হচ্ছে। অধিক সংখ্যক দরদাতা অবাধে ক্রয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে বিধায় অধিকতর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে টেন্ডার বাক্সে দরপত্র জমাদানের বিদ্যমান নিয়ম ই-জিপির ক্ষেত্রে অবলুপ্ত হয়েছে। সরকারি ক্রয়ের গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেসরকারি খাতে কম্পিউটার স্বাক্ষর জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের যে অঙ্গীকার করেছে এরই অংশ হিসেবে দেশের সকল সরকারি ক্রয় কার্যক্রম ২০১৬ এর মধ্যে ই-জিপি’র আওতায় নিয়ে আসার জন্য সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এসআর/ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর