thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক

প্রধান বিচারপতির কথাই ঠিক, মানিকের নয়

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৯:২৪:৫৫
প্রধান বিচারপতির কথাই ঠিক, মানিকের নয়

বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখাকে ‘সংবিধান পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপরই শুরু হয় তুমূল বিতর্ক। প্রায় এক মাস ধরে আলোচনার শীর্ষে আছে বিষয়টি। এ পরিপ্রেক্ষিতে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম কথা বলেছে বাংলাদেশের শীর্ষ আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল-হকের সঙ্গে।

‘অবসরের পর বিচারপতিদের রায় লেখার কোনো এখতিয়ার নেই। প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক। তাই হওয়া উচিত। এই বিষয়ে ৫২ বছর আগেই আদালত সিদ্ধান্ত দিয়ে রেখেছেন।’ ১৯৬৪ সালের (ডিএলআর-১৬) ২৮ এপ্রিলের একটি রায়কে উদ্বৃত করে এ মন্তব্য করেছেন খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক।

ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি এ আর কর্নেলিয়াসসহ ফজলে আকবর, এস এ রহমান, কায়কোবাদ ও হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে সুপ্রীম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায় এটি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় তার পুরানা পল্টনের বাসায় একান্তে কথা বলেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে। বিচারাঙ্গনের চলমান বিতর্কের বিষয়ে তার অভিমত, ‘প্রধান বিচারপতি যেটা বলেছেন সেটা কারেক্ট, মানিক যা বলেছে— তা কারেক্ট নয়’।

অনেকে অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিচ্ছেন, যে অবসরের পরও রায় লেখা যায়। বিষয়টিতে দ্বি-মত পোষণ করে অভিজ্ঞ এ আইনজীবী বলেন, ‘কে, কোথায়, কোন দেশের উদাহরণ দিয়েছে? কোন মামলাটির রেফারেন্স দিয়েছে? শুধু মুখে বললেই হবে। পৃথিবীর কোথাও এমন নিয়ম থাকার কথা না। যদি থেকেও থাকে তাহলে সেটা সেই দেশের ব্যাপার।’

‘আমার দেশে এই বিষয়ে আদালতের সুস্পষ্ট রায় আছে। তাই আমরা আমাদের নিয়মটা অনুসরণ করব। পৃথিবীর অন্য কারও দরকার হলে আমাদের অনুসরণ করতে পারবে।’

পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া রফিক-উল-হক মনে করেন, রাজনৈতিক অঙ্গন, সংসদসহ বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা আমাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছে।’

‘পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই বিষয়টিতে বিতর্ক উঠেছিল নিশ্চয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রায়ও আছে। লোকে হয়ত জানে না, এ জন্যই বলতে পারছে না। এই রায় যখন হয়েছে তখন এখনকার অনেকের জন্মও হয়নি।’

শামসুদ্দিনের নিয়োগের বিষয়ে রফিক-উল-হক বলেন, ‘মানিকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট-ই ইলিগ্যাল। সে তো ডুয়েল ন্যাশনালিটি, ডুয়েল ন্যাশনালিটির কেউ তো জাজ হতে পারেন না। ১৯৫১ সালের নাগরিকত্ব আইনের ১৪ নাম্বার ধারা অনুযায়ী যদি কেউ দ্বৈত নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে তিনি বিচারক হওয়ার যোগ্যতা হারান।

যে বিচারপতি হাইকোর্ট ডিভিশনে থাকার সময়ে তৎকালীন স্পিকারসহ সংসদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন সেই তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার মতো লোক কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়? বিষয়টিতে রফিক-উল হক বলেন, রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞেস কর, রাষ্ট্রপতি কি এভাব দ্য ল?’

শামসুদ্দিন মানিকের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থামাতে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে রফিক-উল-হক বলেন, আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে। বিচারপতিরা কি বিচারপতির বিচার করবে?

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এসআর/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর