thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য

উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৭১ বিদ্রোহী প্রার্থী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৪ ২১:০২:২১
উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৭১ বিদ্রোহী প্রার্থী

বাহরাম খান ও শামীম রিজভী, দ্য রিপোর্ট : উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার হুশিয়ারিকে অমান্য করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের ৭১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

(স্থানীয় নেতাদের কাছে পাঠানো শেখ হাসিনার নির্দেশনামূলক চিঠি দেখতে ক্লিক করুন)

প্রথম দফায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন দলের জন্য অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফার তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে অঘোষিতভাবে নির্বাচনে আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এরপরই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় নেতাদের প্রতি দলীয় প্রধানের নির্দেশনায় যাওয়া চিঠিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিপরীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি কিছু জায়গায় কাজে এলেও প্রায় অর্ধেক উপজেলাতেই থাকছে বিদ্রোহী প্রার্থী।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে গঠিত ঢাকা বিভাগের সমন্বয়কারী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করছি। যেহেতু এটি স্থানীয় নির্বাচন তাই সব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা ভাবা ঠিক নয়।’

রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দলীয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ায় আমরা অধিকাংশ জায়গায় সফল হয়েছি। যেসব জায়গায় শেষ পর্যন্ত অনেকে প্রত্যাহার করেননি সেগুলোতেও কাজ করার সুযোগ আছে।’

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হচ্ছে ৯৭টি উপজেলায়। একটি উপজেলা নির্বাচন হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। বাকি চারটি উপজেলার নির্বাচন আইনি জটিলতায় আটকে আছে।

প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে দ্য রিপোর্টের জেলাভিত্তিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি কেউ কেউ আনুগত্য দেখালেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন অনেকে।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় দলসমর্থিত একমাত্র প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কনক কান্তি দাস। কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির সিদ্দিক যাচাই-বাছাইকালে বাদ পড়ে যান। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। কোটচাঁদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলটির একমাত্র প্রার্থী শরিফুন্নেসা মিকি এবং শৈলকূপার একমাত্র প্রার্থী শিকদার মোশাররফ হোসেন ।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির সদর, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, পানছড়ি, রামগড় এবং মানিকছড়ি উপজেলার সব কয়টিতে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে।

কুড়িগ্রাম : উলিপুর উপজেলায় দলীয় প্রার্থী আব্দুল মজিদ হারী। বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রকিবুল হক।

ফুলবাড়ীতে দলের মনোনীত প্রার্থী এন্তাজ আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন এজাহার আলী ও আহমদ আলী রতন। ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী চৌধুরী। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার।

মাগুরা : শ্রীপুর উপজেলায় একক প্রার্থী হুমায়নুর রশিদ মুহিত। সদর উপজেলায় পঙ্কজ কুণ্ডু দলের প্রার্থী, আব্দুল কুদ্দুস বিদ্রোহী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নাচোল উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী আব্দুল কাদের।

নীলফামারী : তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ডিমলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তবিবুল ইসলাম। জলঢাকা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ হোসেন রুবেল ও সৈয়দপুর উপজেলায় রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাওয়াদুল হক।

নাটোর : নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিককে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুশান্ত কুমার ঘোষ ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ভোলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

খুলনা : কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম মহসীন রেজা।

দীঘলিয়ার চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খান নজরুল ইসলাম দলীয় সমর্থন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী সেলিম আকতার।

পাবনা : সাঁথিয়া উপজেলায় দল সমর্থিত প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন।

সুজানগরে একমাত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ও আটঘরিয়া উপজেলায় দলসমর্থিত একমাত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম রতন।

পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আনোয়ার সাদাত সম্রাট, বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম পল্লব।

বোদা উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন ফারুক আলম টবি, বিদ্রোহী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

দেবীগঞ্জ উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন হাসনাৎ জামান চৌধুরী জজ, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতি।

আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল হক প্রধান সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলামকে। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সুজন এমপি সমর্থন দিয়েছেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানকে।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী সদরে একক প্রার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলার তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক।

বালিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। বিদ্রোহী প্রার্থী শওকত সিরাজ ও বহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান ।

পাংশা : এখানে দলীয় মনোনয়োন চূড়ান্ত না হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান আলী বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আব্দুল হাই, সরিষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক ফরিদ হাসান মণ্ডল ও আকমল মণ্ডল।

নড়াইল : কালিয়া উপজেলায় দল সমর্থিত খান শামীম রহমান ওসি। বিদ্রোহী প্রার্থী মোল্লা এমদাদুল হক ও মাহমুদুল হাসান কয়েস।

মাদারীপুর : কালকিনি উপজেলায় দল সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক তাহমিনা সিদ্দিকী। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান শাহিন ব্যাপারী।

হবিগঞ্জ : বাহুবল উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই। বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন আবদুল কাদের চৌধুরী।

মাধবপুর উপজেলায় দলের একক প্রার্থী জাকির হোসেন অসীম।

মৌলভীবাজার : কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম।

ভোলা : লালমোহন উপজেলায় দলের সমর্থন পেয়েছেন বদরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বিদ্রোহী হিসেবে আছেন কালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম রিপন।

যশোর : অভয়নগর উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন পৌর কাউন্সিলর ও শ্রমিক নেতা রবিন অধিকারী ব্যাচা। বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানা আব্দুল মান্নান।

মেহেরপুর : মেহেরপুর উপজেলার একমাত্র প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম রসুল।

গাজীপুর : কাপাসিয়ায় দল সমর্থিত প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা। বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান ও রুহুল আমিন।

রাজশাহী : মোহনপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।

সিরাজগঞ্জ : কাজিপুর উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন মোজাম্মেল হক বকুল। বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম। অন্য তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিতে সমর্থ হয়েছে। রায়গঞ্জে জিন্নাহ আল হাদী। সদর উপজেলায় রিয়াজউদ্দিন। উল্লাপাড়ায় মারুফ বিন হাবিব।

নরসিংদী : পলাশ উপজেলায় দলীয় প্রার্থী জাবেদ আহমেদ। বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক ও আবু বকর।

বেলাবো উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রিটন। বিদ্রোহী আছেন ৫ জন।

বরিশাল : বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন শাহ আলম খান।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন শামসুল আলম চুন্নু ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম আতিকুর রহমান।

বগুড়া : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহী সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মঞ্জিল আলী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহম্মেদ টুকু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে দলীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহী সুমনকে। কিন্তু এখানে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

সোনাতলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউল করিম শ্যাম্পু, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল আলম বুলু, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানে দলীয় সভাপতি জিয়াউল করিম শ্যাম্পুকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান) আব্দুস সামাদকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান টিআইএম নূরুন্নবী তারিককে দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তারিকের বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তার ভাগ্নে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কুদরত-ই খুদা জুয়েল, রেজাউল করিম রেজা, শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন নির্বাচন করছেন।

নন্দীগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম পিংকু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় সমর্থনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

শেরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মুজিবুর রহমান মজনু।

মানিকগঞ্জ: শিবালয় উপজেলায় রেজাউর রহমান খান জানুকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

দৌলতপুরে চেয়ারম্যান পদে নুরুল ইসলাম রাজাকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

সিঙ্গাইরে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান হান্নানকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

সাটুরিয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটোকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

নেত্রকোনা : দুর্গাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. এমদাদুল হক খানকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল শাহাদাৎ বাবুল।

কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আসাদুল হক ভূঁইয়াকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আতাউর রহমান। কিন্তু এখান থেকে কাউকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়নি।

হাটহাজারী উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইসমাঈলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোস্তাকিমকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সরদার হাফিজুর রহমান।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার জন্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা আলতাফ হাসেন ছৈয়ালকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান সিকদার।

গোসাইরহাট উপজেলার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিনকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ঢালি। আওয়ামী লীগের নেয়ামুল হক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ডামুড্যা উপজেলার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝিকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক পিন্টু।

জাজিরায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তনাই মোল্লাকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সুনামগঞ্জ : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা সভাপতি হাজী আবুল কালাম।

ছাতক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দল সমর্থিত প্রার্থী অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল। বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবরু মিয়া তালুকদার।

দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দল সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতিক। বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী খান ও ফরিদ আহমদ ইমন।

সিলেট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী নেতা ফিরুজ খান পংকি। দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ইকবাল আহমদ চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লুৎফুর রহমান লেবুকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জৈন্তাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবদুল্লাহকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জকিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লোকমান উদ্দিন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এখনও প্রার্থী ঠিক করেনি আওয়ামী লীগ। দু-একদিনের মধ্যে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা আসতে পারে বলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ দাবি করেছেন।

দিনাজপুর : দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

খানসামা উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী নেতা আবু হাতেমকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

রংপুর : রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন সরকারকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতাহার হোসেন মওলা।

পীরগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম শাহদাৎ হোসেন বকুলকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তিনি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা হন। বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী নেতা মিশকরা হাবিব মুক্তি।

তারাগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী নেতা সামছুল সরকারকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী দলটির স্থানীয় নেতা মোজাহিদুল ইসলাম।

মাগুরা : মাগুরা জেলা সদরে উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে ভোটের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পঙ্কজ কুণ্ডুকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর আব্দুল কুদ্দুস।

জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন রশিদ মুহিতকে শ্রীপুর উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা সদরে উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম আমিনুল হককে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিককে দলীয়ভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ : নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন হেলালকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী আল ফারুক জেমস।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সাত্তার নান্নু।

জামালপুর : জামালপুর জেলা সদরে উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পাঠানকে দলীয়ভাবে সর্মথন দেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ : এই জেলার বাজিতপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিতে পারলেও একজন করে বিদ্রোহী রয়েছেন নিকলী ও করিমগঞ্জে।

গোপালগঞ্জ : কাশিয়ানী উপজেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি। তবে দলের ৪ নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মুকসুদপুর উপজেলায় সমর্থন পেয়েছেন শ্যমল কান্তি বোস, বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন মোহাম্মদ কাবির মিয়া।

[এই প্রতিবেদনে ঢাকা গাইবান্ধা জেলার দুটি করে চারটি উপজেলার তথ্য সংযুক্তকরা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে দ্য রিপোর্টের জেলা প্রতিনিধি সংবাদদাতারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।]

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এইচএসএম/এনআই/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর