thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ শেয়ার কেলেঙ্কারি

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ দাখিলে সময়ের আবেদন মঞ্জুর

২০১৬ অক্টোবর ১৭ ২১:২৩:৫৩
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ দাখিলে সময়ের আবেদন মঞ্জুর

রেজোয়ান আহমেদ, দ্য রিপোর্ট : ১৯৯৬ সালে শেয়ার কারসাজিতে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ’র কপি দাখিলে সময় আবেদন মঞ্জুর করেছেন পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ সময় মঞ্জুর ও দিন ধার্য করেন।

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারীর মামলাটির আগের স্থগিতাদেশের সময় ১৬ অক্টোবর শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইবুন্যালের বিচার কার্য তালিকায় ছিল। তবে এদিন আবারও স্থগিতাদেশের জন্য উচ্চ-আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে ট্রাইবুন্যালকে জানিয়েছেন এ মামলার আসামি মশিউর রহমান ও আনু জাগীরদার এর আইনজীবী এম এ কাদের মোল্লা। আর স্থগিতাদেশের কপি ট্রাইবুন্যালে উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেন তিনি। এর আলোকে বিচারক সময় মঞ্জুর করে আগামি ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ১৭ এপ্রিল মামলাটির বিচার কাজে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন উচ্চ আদালত।

বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিচার কাজের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। এদিন আসামিরা মামলাটির উপর স্থগিতাদেশের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে। আর স্থগিতাদেশ’র কপি আদালতে উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেছেন। যা আদালত মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও জানান, চলতি অক্টোবর মাসে উচ্চ আদালতে ছুটি চলছে। এ কারণে ট্রাইবন্যুাল স্থগিতাদেশ দাখিলে দীর্ঘ সময় দিয়েছেন।

এদিন ট্রাইবুন্যালে মামলার আসামি এম এ রউফ চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী শেখ বাহারুল ও সাঈদ এইচ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি মশিউর রহমান ও আনু জাগীরদার অনুপস্থিত ছিলেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- এম এ রউফ চৌধুরী, সাঈদ এইচ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক অনু জাগীরদার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। এ সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেন। প্রতিষ্ঠানটি ওই সময়ে মোট ১২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন করে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি শুধু ফরেন ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্টের (ডিভিপি) মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা লেনদেন করে।

এ সময় ১ নম্বর আসামি প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ ওই সময়ে ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩টি শেয়ার বিক্রি করে, যার মূল্য ছিল ৬৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

স্টক এক্সচেঞ্জের রেকর্ড মোতাবেক আসামিরা এসিআই লিমিটেডের ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮১৯টি শেয়ার বিক্রি করেন। অথচ ব্যাংক রেকর্ড অনুযায়ী শেয়ার বিক্রির পরিমাণ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮টি, যার মধ্যে ফরেন ডিভিপির মাধ্যমে লেনদেন অনিষ্পত্তি হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

একইভাবে আসামিরা ডিভিপির মাধ্যম ছাড়াও স্থানীয়ভাবে শেয়ারের অন্যতম ক্রেতা-বিক্রেতা ছিলেন। আসামিরা ওই সময়ের মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার বিক্রি করেন। এর মধ্যে ডিভিপির মাধ্যমে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ার বিক্রি করেন। আর এখানেও অনিষ্পত্তি হওয়া শেয়ার ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫০০টি। এ সব ফরেন ডিভিপির মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিষ্ঠানটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও ইন্দোসুয়েজ ব্যাংক ব্যবহার করত। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ট করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর ২১ ধারা বলে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে আসামিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। আর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে আসামিদের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

এই মামলার সাক্ষীরা হলেন―বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক ও প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এমকে/অক্টোবর ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর