thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

ভারতের এন্টি ডাম্পিং শুল্কে ডিসিসিআই’র উদ্বেগ

২০১৬ অক্টোবর ২০ ১৯:০৯:২২
ভারতের এন্টি ডাম্পিং শুল্কে ডিসিসিআই’র উদ্বেগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব এন্টি ডাম্পিং অ্যান্ড এলাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) কর্তৃপক্ষের সুপারিশে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পাটচাষী এবং পাটপণ্য উৎপাদনকারী ও রফতানিকারকরা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ অবস্থায় ঢাকা চেম্বার ভারতের এ অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঢাকা চেম্বার মনে করে, ভারত বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বৃহৎ পাট ও পাটজাত আমদানিকারক দেশ। এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপিত হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাট রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে যা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাসে প্রভাব ফেলবে, বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিসিসিআই জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত ভারতের জুট মিলস্ এসোসিয়েশন, স্থানীয় উদ্যোক্তা তাঁদের বাজার সুরক্ষায় বাংলাদেশের পাটপণ্য রফতানির ওপর এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে আসছে।

ভারতের এন্টি ডাম্পিং কর্তৃপক্ষ ভারতের স্থানীয় বাজার ও ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে পাট ও পাটপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ২৫-৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে (দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) সাফটা’র আওতায় ভারতে শূন্য শুল্কে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে আসছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশ ২০১৬ অর্থবছরে প্রায় ৯১ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করেছে। যার ২০ শতাংশ শুধুমাত্র ভারতের বাজারেই রফতানি হয়েছে।

ভারতীয় অভ্যন্তরীণ বাজারে যার পরিমাণ প্রায় ৮ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশ শুধু ভারতের বাজারে প্রতি বছর ১.১০ লাখ টন পাটের সুতা রফতানি করে থাকে।

বাংলাদেশ যখন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নে কাজ করছে, সে সময় এ ধরনের সিদ্ধান্ত দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের ধারাকে ব্যাহত করবে বলে, ডিসিসিআই মনে করে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দফতরকে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ প্রক্রিয়ার কৌশলগত দিকসমূহ পর্যালোচনার জন্য এবং এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার্থে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য ডিসিসিআই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সুসম্পর্কের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে যাতে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি করা পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত না নেয় তার জন্য ডিসিসিআই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএস/এপি/অক্টোবর ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর