thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলা

সাক্ষ্য দিলেন সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

২০১৬ অক্টোবর ২৫ ১৭:৪০:৫২
সাক্ষ্য দিলেন সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সিনিয়ার জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমীন ঢাকার সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ৬ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আসামি মালেক ও হামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।

তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ইতোমধ্যে এ মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৪৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ছয় কলেজ ছাত্রকে। এই নিহত ৬ ছাত্র হলেন- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম (১৮), মিরপুর বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)।

ঘটনার পর নিহত কলেজ ছাত্রদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেক নামের এক বালু ব্যবসায়ী।

অন্যদিকে ছয় কলেজ ছাত্র হত্যাকাণ্ডে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। গত বছরের ৮ জুলাই এ মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলালউদ্দিন।

চার্জশিটের ৬০ আসামি হলেন- ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হায়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল, আলম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম ও মনির।

এ মামলার ৬০ জন আসামির মধ্যে ৪৬ জন জামিনে, ৯ জন পলাতক ও ৪ জন কারাগারে। এক আসামি রাশেদ মিয়া মারা গেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এপি/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর