‘মালাউন’ শব্দের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ
আমাদের কথার মধ্যে আমরা বহু শব্দ ব্যবহার করি। এর সবই যে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে উচ্চারণ করি তা নয়। কোন শব্দ সচেতনভাবে, কোন শব্দ অসচেতনভাবে, আবার কোন শব্দ অবচেতন বা অর্ধচেতনভাবে আমরা প্রয়োগ করি আমাদের সংলাপে। শব্দ ব্যবহারে কখনো যে কেউ অপমানিত বা ব্যথিত হচ্ছে- এটা হয়তো তখন আমরা অনুধাবন করতে পারি না। আমাদের সমগ্র চিন্তা-চেতনা, কর্মপ্রবাহ এবং জীবনধারার পরিপন্থী কোনো শব্দ ব্যবহারের পরপরই বা পরবর্তী কোন সময়ে আমরা অনুতপ্ত হই, লজ্জা পাই, বিবেকের দংশনে জর্জরিত হই। এমনি একটা শব্দ ‘মালাউন’। এই শব্দটির প্রয়োগ, প্রয়োগকারীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এর শাব্দিক অর্থ বদলে গিয়ে অন্য অর্থ এবং মনোভঙ্গিই এখন প্রকট হয়ে উঠেছে।
‘মালাউন’ শব্দটি সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে প্রাসঙ্গিক কিছু কথা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। বাংলা ভাষার গোটা বিশেক অভিধান ঘেটে ‘মালাউন’ শব্দটি পাওয়া গেছে মাত্র ৩টি অভিধানে। বলাবাহুল্য, এর সবগুলো অভিধানই বাংলাদেশ থেকে, আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত। আমার জানা মতে, বাংলা ভাষার প্রথম দিকের কোনো অভিধান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলা থেকে প্রকাশিত কোনো বাংলা ভাষার অভিধানেই ‘মালাউন’ শব্দটি নেই। তাদের ব্যবহারিক জীবনে শব্দটির তেমন প্রয়োগ নেই বলেই হয়তো তাদের অভিধানেও শব্দটি স্থান পায়নি। কিন্তু আমাদের দেশে ‘মালাউন’ শব্দটির বহুল প্রয়োগ এবং অপপ্রয়োগ শব্দটিকে করেছে তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্থান দিয়েছে অভিধানের পাতায়।
‘মালাউন’ শব্দটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে। এদেশে ‘মালাউন’ শব্দটির ব্যবহার অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ১৯৪৭-এ ভারত বিভাগের পর থেকে আমাদের দেশের কিছু মানুষের মুখে ‘মালাউন’ শব্দটির ব্যবহার দ্রুতহারে বাড়তে থাকে। এর আগেও শব্দটির ব্যবহার ছিল, তবে তা ছিল অনুল্লেখযোগ্য কিন্তু যথাযথ। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের কবিতায় এবং আধুনিক যুগের কারো কারো সাহিত্যকর্মে ‘মালাউন’ শব্দটি লক্ষ করা যায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর বেশিরভাগ উর্দুভাষী পাকিস্তানী হিন্দু শব্দের পরিবর্তে ‘মালাউন’ শব্দটি ব্যবহার করতে থাকে। এই অপব্যবহারের ব্যাপকতা চোখে পড়ে ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়। সে সময় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীরা ব্যাপকভাবে ‘মালাউন’ শব্দটি ব্যবহার করতে থাকে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর কোন সদস্য হিন্দুদেরকে কখনো ‘হিন্দু’ সম্বোধন করেছে এমন উদাহরণ বিরল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা মুক্তিবাহিনীর সদস্য এবং তাদের ভাষায় ‘মালাউন’দের খোঁজ করতো, হিন্দুদেরকে নয়। ‘মালাউন’ শব্দটি এরা বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানদের প্রতি নয়; শুধু হিন্দুদের প্রতি ব্যাঙ্গার্থে বা তুচ্ছার্থে বা চরম ঘৃণা প্রকাশার্থে ব্যবহার করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে মননে পাকিস্তানী কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ হিন্দুদেরকে শুধু ‘মালাউন’ই নয়; আরো ঘৃণার্থে ‘মালাউন’ শব্দটিকে তাদের মানসিকতার মতো বিকৃত করে ‘মালোয়ান’ এবং কোথাও তীব্রতম ঘৃণা ও ঈর্ষার প্রকাশ ঘটিয়ে ‘মালোয়ান’ শব্দকে সংক্ষিপ্ত করে ‘মালু’ শব্দটি চালু করেছে, যা একজন সামান্যতম হৃদয়বান ও ব্যক্তিত্ববান মানুষকে ব্যথিত না করে পারে না।
‘মালাউন’ শব্দটির অর্থ নিরূপণে অভিধানের শরণাপন্ন হওয়া যাক। প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, পণ্ডিত ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘বাংলা একাডেমী বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’-এ ‘মালাউন’ শব্দটির প্রথম অর্থ দেওয়া হয়েছে ‘বিধর্মী’ এবং দ্বিতীয় অর্থ ‘অভিশপ্ত’। কাজী রফিকুল হক সম্পাদিত বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলা ভাষায় আরবী ফারসী তুর্কী হিন্দী উর্দু শব্দের অভিধান’ গ্রন্থে ‘মালাউন’ শব্দটিকে প্রথমত ‘মালউন’ বানানে দেওয়া হয়েছে, যার আরবি উচ্চারণ নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মল্’ঊন’ এবং শব্দটির প্রথম অর্থ দেওয়া হয়েছে ‘অভিশপ্ত’; ‘বিতাড়িত’ এবং দ্বিতীয় অর্থ দেওয়া হয়েছে ‘শয়তান’। আর ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক এবং শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী সম্পাদিত ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ গ্রন্থে ‘মালাউন’ শব্দটির প্রথম অর্থ দেওয়া হয়েছে লানতপ্রাপ্ত; অভিশপ্ত; বিতাড়িত; কাফের (উদ্ধৃতি: অনাচারে কার সরদার মুসলিম অভিমানে ছাড়িয়ে গেল চিরতরে মালাউনকে- শাহাদাত হোসেন), দ্বিতীয় অর্থ দেওয়া হয়েছে ‘শয়তান’, আর তৃতীয় অর্থ দেওয়া হয়েছে মুসলমান কর্তৃক ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোককে দেওয়া গালিবিশেষ। এই অভিধানের অন্যত্র ‘মালাউন’ শব্দের ‘লানতপ্রাপ্ত’ অর্থে ‘লানত’ বা ‘লানৎ’ আরবি শব্দটির দুটি অর্থ দেওয়া আছে। প্রথমটি ‘অভিশাপ’ (উদ্ধৃতি: হাজার লানত যে এমন কাজ করে- সৈয়দ হামজা)। দ্বিতীয় অর্থ ‘অপমান’; ‘লাঞ্ছনা’; ‘ভর্ৎসনা’। তৃতীয় অর্থ ‘শাস্তি’ (উদ্ধৃতি: সে সবেরে লাহানতি দিবেক আল্লায়- সৈয়দ সুলতান)। অর্থাৎ অভিধানের আলোকে ‘মালাউন’ শব্দটির অর্থ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহকৃত অর্থ ‘বিধর্মী’র মধ্যেই আজ আর সীমাবদ্ধ নেই। আজ অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীকে না বুঝিয়ে ‘মালাউন’ শব্দটির অর্থ সংকুচিত করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিবিশিষ্ট কিছু মানুষ শুধু হিন্দুদেরকেই ‘মালাউন’ নামে অভিহিত করছে। শব্দটির অর্থ যদি ‘বিধর্মী’ অর্থাৎ অন্য ধর্মাবলম্বীকে বুঝাতো তাহলেও কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মাশ্রয়ীকে নয়; সুনির্দিষ্টভাবে তারা ‘মালাউন’ শব্দ দিয়ে শুধু হিন্দুদেরকেই বুঝাচ্ছে। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘মালাউন’ শব্দটির প্রথম অর্থ ‘বিধর্মী’ জানালেও দ্বিতীয় অর্থ দিয়েছেন ‘অভিশপ্ত’। উল্লেখ্য, শহীদুল্লাহ ব্যতীত আর কোনো অভিধানকার শব্দটির অর্থ ‘বিধর্মী’ বলেননি। অন্যদের অভিধানে যে অর্থটি গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হচ্ছে ‘অভিশপ্ত’ এবং ‘বিতাড়িত’। তাহলে কি ওইসব সাম্প্রদায়িকমনস্ক ব্যক্তির কথায় ধরে নেবো এদেশের হিন্দুরা অভিশপ্ত এবং বিতাড়িত? অভিশপ্ত হলে কখন, কোথায়, কীভাবে, কার দ্বারা অভিশপ্ত হলো; আর বিতাড়িত হলে কোন জায়গা থেকে, কখন তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। এদেশের হিন্দুরা কি নিচ মনোভাবাপন্ন ওইসব ব্যক্তি কর্তৃক অভিশাপগ্রস্ত হলো এবং এই হিন্দুরা কি নিজ বাসভূম থেকে বিতাড়িত হলো? না। বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশের মাটির আদিসন্তান। এদেশে ইসলাম প্রচারের কয়েক সহস্র বছর আগে থেকে তারা এখানে আছে এবং ইসলাম প্রচারের পর থেকে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের অনুসারী সাধারণ মানুষ একে অন্যের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাত ধরাধরি করে ভাই-ভাইয়ের মতো অংশগ্রহণ করে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। ধর্মপালনটা যার যার ব্যক্তিগত হলেও তখন থেকেই ধর্মীয় উৎসবটা হয়ে উঠেছে সবার। সুতরাং ‘অভিশপ্ত’ বা ‘বিতাড়িত’-র মতো নিকৃষ্ট অর্থে হিন্দুদেরকে নয়; বরং ওই সাম্প্রদায়িক মনোভাবদুষ্ট সংকীর্ণ মানুষদেরকেই উল্টো ‘মালাউন’ অভিধায় চিহ্নিত করা যেতে পারে। কাজী রফিকুল হকের অভিধানে ‘মালাউন’ শব্দের অর্থ দেওয়া হয়েছে আরবি শব্দ ‘শয়তান’, যার অর্থ আল্লাহদ্রোহী ফেরেশতা, পাপাত্মা, অতিশয় দুর্বৃত্ত, বদমায়েশ ইত্যাদি। তবে কি এদেশের হিন্দুরা আজ ওই মানুষদের কাছে এসব নেতিবাচক বিশেষণের উপযুক্ত? নিশ্চয়ই নয়। আর ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের অভিধানে ‘মালাউন’ শব্দের আর একটি উল্লেখযোগ্য অর্থ দেওয়া হয়েছে: ‘কাফের’ (আরবি শব্দ কাফির), যার অর্থ সত্য প্রত্যাখ্যানকারী, ইসলামধর্ম অস্বীকারকারী, ইসলাম-বিরোধী ইত্যাদি। এদেশের হিন্দুরা ইসলাম-বিরোধী বা অস্বীকারকারী তো নয়ই; সত্য প্রত্যাখ্যানকারীও নয়। কারণ হিন্দুর ধর্মই বহুমতে বিশ্বাসী ধর্ম, যেখানে প্রতিমা (মূর্তি) পূজার মধ্য দিয়ে যেমন প্রার্থনার পদ্ধতি আছে, তেমনি প্রতিমা ছাড়াই নিরাকারভাবে প্রার্থনার রীতিও আছে, যা বৈদিকযুগে ছিল এবং রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক নবভাবে প্রবর্তিত ব্রাহ্মসমাজে এখনো প্রচলিত। আবার হিন্দুদের এক একজন এক এক দেবতাকে উপাস্য ভেবে প্রার্থনা করছে। কেউ এক দেবতাকে পুজো করলেও অন্য দেবতার প্রতি তার কোনোরূপ অবজ্ঞা বা অশ্রদ্ধা নেই। বরং ওই লোকদের সংখ্যাই হিন্দুদের মধ্যে বেশি, যারা বিভিন্ন দেবতাকেই সমান শ্রদ্ধায় পুজো করছে। অর্থাৎ হিন্দুধর্মের লোকদের রয়েছে অন্য ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা। হিন্দুধর্মের আধুনিক ব্যাখ্যাকারী, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণদেবের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথাটি আরো চমৎকারভাবে বলেছেন এভাবে: ‘যত মত, তত পথ। ... হিন্দু শুধু অন্যের ধর্মকে শুধু স্বীকারই করে না, বিশ্বাসও করে।’ তাই হিন্দুদেরকে কোনোভাবেই ‘মালাউন’ বলা যায় না।
এতক্ষণের আলোচনা থেকে যুক্তি ও উদাহরণসহকারে একথাটি স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মালম্বীদের কোনো ক্রমেই ‘মালাউন’ বলা উচিত নয়। যাঁরা মননে কোনোরূপ সাম্প্রদায়িক বা হিন্দুবিরোধী না হয়েও শুধু অর্থ না জানার কারণে, না বুঝে, না ভেবে, অন্ধ অনুকরণকারীর মতো এতদিন ‘মালাউন’ শব্দটির অপপ্রয়োগ করে আসছিলেন, তাঁরা আশা করি পরবর্তী সময়ে অনুতপ্ত হয়ে শব্দটির ব্যবহারে সংযত হবেন। আর যারা সাম্প্রদায়িক চেতনাদুষ্ট, কুরুচি, অসংস্কৃত চেতনা, অবিকশিত বুদ্ধি এবং অপরিপক্ব মেধার অধিকারী কিংবা জ্ঞানপাপী, তাদের কাছে যতোভাবেই অর্থ, যুক্তি ও উদাহরণ উপস্থাপন করে ‘মালাউন’ শব্দটির অপব্যবহার থেকে তাদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন, তা শুধু অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হবে। শুধু ‘মালাউন’ শব্দই নয়; অন্য ধর্মাবলম্বীর বা যেকোন মানুষের হৃদয়ে ব্যথার উদ্রেক করে এমন কোন শব্দ ব্যবহার করা আমাদের কারোরই উচিত নয়।
যুগে যুগে শব্দের অর্থ বদলায়; বদলায় শব্দের ইমেজ, চিত্রকল্প। তাই যে শব্দটির অর্থ এক যুগে নন্দিত ছিল, পরবর্তী যুগে তা নিন্দিত বা পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক। ‘প্রবীণ’ শব্দের অর্থ আগে ছিল: প্রকৃষ্টরূপে অর্থাৎ চমৎকারভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু আজ শব্দটির অর্থ পরিবর্তিত হয়েছে ‘জ্ঞানী’ অর্থে। এমনিভাবে ‘পঙ্কজ’ শব্দের অর্থ ছিল পঙ্কে (কাদায়) জন্মে যা। ঝিনুক, শালুক, পদ্ম ইত্যাদি কাদায় জন্ম নিলেও আজ শুধু ‘পদ্ম’ অর্থেই পঙ্কজ শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘রাজাকার’, আরবি ভাষার এই শব্দটির অর্থ স্বেচ্ছাসেবক। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহায়তা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা ও ক্ষতিসাধন করে রাজাকার বাহিনী ‘রাজাকার’ শব্দটিকে কলঙ্কিত করেছে। যে-কারণে সেই সময় থেকে ‘রাজাকার’ শব্দটির চমৎকার অর্থের বদলে আমাদের দেশে গালি অর্থেই শব্দটির প্রয়োগ হচ্ছে। ‘আলবদর’ এবং ‘আলশামস’ শব্দ দুটির ক্ষেত্রেও অনুরূপ মন্তব্য করা যায়। তেমনিভাবে ‘মালাউন’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ যা-ই হোক না কেন, সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের কিংবা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের মুখে ১৯৭১ সালে যে বীভৎসরূপে, তীব্রতম ঘৃণায়, রক্তলোলুপ জিঘাংসায় হিন্দুদের প্রতি ‘মালাউন’ শব্দটি উচ্চারিত হতো; সেই ‘মালাউন’ শব্দ শ্রবণে আমাদের সামনে এখনো এমন এক ঘৃণার্হ চিত্রকল্প ভেসে ওঠে, যা অনুভূতিসম্পন্ন, বিবেকবান যেকোনো মানুষের পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই কোনো সংস্কৃতিবান, সুশিক্ষিত, অসাম্প্রদায়িক, মুক্ত চেতনার ধারক, আধুনিক মানুষের পক্ষে কোনোভাবেই ‘মালাউন’ শব্দের অপপ্রয়োগ শুধু অসম্ভবই নয়; অভাবনীয়ও বটে।
পাঠকের মতামত:
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের