thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

টিভি-কম্পিউটার না রংপেন্সিল দেবেন আপনার সন্তানকে?

২০১৬ ডিসেম্বর ০১ ০৯:২৯:২৯
টিভি-কম্পিউটার না রংপেন্সিল দেবেন আপনার সন্তানকে?

ফারজানা শারমিন, দ্য রিপোর্ট : দুই বছরের আয়েশা। কম্পিউটারে ডরিমন কার্টুন না দেখলে তাকে খাওয়ানোটা প্রায় যুদ্ধ। একটু বড়দের আবার অন্য রকম সমস্যা।

দশ বছরের রিয়া, তাকে কম্পিউটারে গেমস খেলতে না দিলে হোমটাস্ক শেষ হবে না। বারণ করতে গেলেই চেচামেচি-রাগ-চিৎকার। এক কথায় নিত্য অশান্তির কারণ। মানে কোনো একটি বিশেষ মাধ্যম না হলে তার হয়তো রাতে ঘুমই আসে না।

বর্তমান আধুনিক যুগে সবার ঘরে ঘরেই আছে টিভি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল। এসব ছাড়া একটা দিনও ভাবা যায় না। কিন্তু এর কারণটা কি শুধুই প্রয়োজনভিত্তিক? নাকি আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস?

হয়তো উত্তর দেবেন এই দুটির মধ্য থেকে যেকোনো একটা বা কখনো দুটোই দেবেন। এই দুটি উত্তরের পরের পর্যায়টাই হলো আসক্তি। কিন্তু জানেন কি এখন শুধু ছোটরাই এতে আসক্ত নয়, বড়রা আসক্ত।

কোনো বিশেষ জিনিসের প্রতি অত্যধিক আকর্ষণ শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই ক্ষতিকর। ছোট থেকে হাঁ করে টিভি বা কম্পিউটার দেখার ফলে ভাবনাচিন্তা করে কাজ করার ক্ষমতাও অনেকটাই কমে যায়। আর সারাক্ষণ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের সঙ্গে ওঠাবসা করার ফলে, বাচ্চা মানসিকভাবে চঞ্চল ও অস্থির হয়ে ওঠে। সহজে কোনো কিছুতেই মন বসে না।

তাই ভাবতে হবে মোবাইল বা কম্পিউটার ছাড়া খেলার কি আর কোনো অপশন নেই? ঠিকই তো। কুমিরডাঙা, কিতকিত, লুকোচুরি কিংবা রুমাল চোরের মতো খেলাগুলো এখন আদৌ কি কোনো বাচ্চা খেলে? বাড়িতে যেটুকু সময় থাকে, সেটুকু সময় তো এই কল্পনার রাজ্যেই ওরা থাকে।

তাই ওদের বন্ধু কখনো ডরিমন, কখনো ছোটা ভীম বা কখনো টেম্পল রান। স্কুলে গিয়েও এদের নিয়েই সারাক্ষণ খেলা। একটু তলিয়ে ভাবলে দেখবেন সময়ের অভাব, অণু পরিবার অনেক কারণেই ওই সবের ওপর নির্ভরতা তৈরি হয়েছে।

এতে বাচ্চারা কনফিউজড হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে যেমন গেমস খেলার সময় বেঁধে দিতে হবে, তেমনই নিজের কিছু অভ্যাসও বদলাতে হবে। বাচ্চার সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য মোবাইল বা পিসিতে ব্যস্ত থাকবেন না। কিংবা বাচ্চাকে একটু আউটডোর অ্যাক্টিভিটিতে ইনভলভ করুন। পার্কে যান, বল খেলুন, একটু দৌড়োদৌড়ি করুন। বাচ্চার সঙ্গে লুকোচুরি খেলুন। বাইরে যাওয়ার সুযোগ না হলে বাড়িতেই ওকে নিয়ে গল্পের বই পড়ুন, একসঙ্গে পাজল সলভ করুন বা ড্রয়িং করুন।

নতুন নতুন রংপেন্সিল কিনে দিন। বাচ্চার সঙ্গে আপনিও রং করুন। সুন্দর হলে বাহবা দিন বা উপহার কিনে দিন। এতে বাচ্চার মনে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। নিজে থেকে নতুন নতুন কিছু শেখার আগ্রহ গড়ে উঠবে।

পেপার কাটিং, সিন্থেটিক ক্লে দিয়ে জিনিস তৈরি করতে পারেন। আর বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছলে কম্পিউটারে চাইল্ড লক ব্যবহার করতে পারেন। এতে নেট ব্যবহার সীমিত থাকবে। এভাবেই ওর অভ্যেস বদলাতে শুরু করবে, ধীরে ধীরে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এআরই/এনআই/ডিসেম্বর ১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর