thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

আজ যেসব জেলা হানাদার মুক্ত হয়

২০১৬ ডিসেম্বর ১১ ০৯:১৩:৫০
আজ যেসব জেলা হানাদার মুক্ত হয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আজ ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত হয়। দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন :

টাঙ্গাইল

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও পলায়নের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হয়। ওই দিন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে স্বজনহারাদের বিয়োগ ব্যথা ভুলে হাজারো মুক্তিকামী উৎফুল্ল জনতা রাস্তায় নেমে আসে স্বাধীনতার আনন্দে।

দিনটিকে ঘিরে ৬ দিনবাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলে অবস্থানরত হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করে। টাঙ্গাইল কালিহাতী উপজেলার পুংলি নামক স্থানে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পাকিস্তানি সেনাদের। টাঙ্গাইল শহরকে হানাদার মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ করে এবং তাদের ৭টি জাহাজভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করে দেয়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণ এবং গোলাবারুদ হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তান সৈন্যরা। অবস্থার বেগতিক দেখে প্রাণ ভয়ে পাকিস্তানিরা সারা রাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা অনুযায়ী চার দিক থেকে তাদের গিরে ফেলে। পরে তারা আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধের শুরু থেকে ডিসেম্বর ১০ তারিখ ভোর রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইলকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত থাকে কাদেরিয়া বাহিনী। ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে অবস্থানরত খান সেনাদের কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল মুক্ত হয়।

মুন্সীগঞ্জ

আজ ১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। তবে এই জেলাকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি হাজারো সাধারণ মানুষদের জীবন খোয়া যায় পাক হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর ও অমানুষিক নির্যাতনে। সেই সময় সরকারি হরগঙ্গা কলেজকে টর্চার সেল বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের ধরে নিয়ে এসে বর্বরোচিত অত্যাচার চালায় হানাদার বাহিনী। ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের প্রথম থেকে ২য় সপ্তাহজুড়ে গজারিয়ায় ৩৬০ জন, কেওয়ারে ১৭ জন এবং আব্দুল্লাহপুর পালের বাড়িতে ১৪ জনসহ বিভিন্ন জায়গায় হত্যাযজ্ঞ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের ঘরবাড়িতে অগ্নি সংযোগসহ অত্যাচারের নেশায় মেতে ওঠে হানাদাররা। ফলে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর এই দুই দিন মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রু হটাতে। ঐক্যবদ্ধ সেই আক্রমণের কাছে পরাজিত হয়ে ১০ ডিসেম্বর রাতে ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে হটে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী, হানাদার মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ। এ উপলক্ষে জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এইচ/ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর