thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে

২০১৬ ডিসেম্বর ১১ ১১:৪৮:৪৬
মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নিষ্পত্তির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে মওদুদ আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর মওদুদের করা এক ফৌজদারী রিভিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক গত ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল করে। সেদিনই চেম্বার বিচারপতি ১১ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করে দুদকের আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এর আগে মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনে উল্লেখ করেন, নাইকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নাইকো-বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার মধ্যে ওয়াশিংটনের সালিশী আদালতে দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। সালিশী আদালত চলতি বছর ১৯ জুলাই এক আদেশ দেন। যেই আদেশে বলা হয়, ওই আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

ওয়াশিংটনের সালিশী আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে এই মামলা চলমান থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন মামলাটি স্থগিত চান মওদুদ। নিম্ন আদালত গত ১৬ আগস্ট মওদুদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন। সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারী রিভিশন আবেদন করেন তিনি। আবেদনে ওয়াশিংটনের সালিশী আদালতের আদেশের কপি হাইকোর্টে তলবের আবেদনও করা হয়।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মওদুদের মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে তার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তবে এই স্থগিতাদেশ শুধু মওদুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারিক আদালতে এই মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর