thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব

আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ

২০১৭ জানুয়ারি ১৫ ১৩:১৪:৩৪
আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ

গাজীপুর প্রতিনিধি : লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণের আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

রবিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ। তিনি আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করেন।

প্রায় আধাঘণ্টার এ আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি এবং দেশের কল্যাণ কামনা করা হয়। আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার বিপদআপদ থেকে হেফাজত চেয়ে দুহাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। এ সময় লাখো মুসল্লির কণ্ঠে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর।

ভোর থেকে বয়ানের পর লাখো মুসল্লির প্রতীক্ষার অবসান হয় বেলা ১১টা ১ মিনিটে। জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন মহান আল্লাহর দরবারে। প্রায় ৩৫ মিনিটের মোনাজাতে মাওলানা সাদ প্রথম ১০ মিনিট পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ২৫ মিনিট দোয়া করেন উর্দু ভাষায়।

মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখো মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। এদিন রাজধানী ঢাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।

চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।

এর আগে রবিবার সকালে চার দিক থেকে লাখো মুসল্লি হেঁটে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা স্থলে পৌঁছান। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় ভরে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ইজতেমায় পৌঁছতে না পেরে কয়েক লাখো মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। অবশ্য ভোর থেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে আগতরা ফজরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের জন্য পুরোনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন।

এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকানের ছাঁদে, যানবাহনের ছাঁদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায়, সে দিকেই দেখা যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পড়া মানুষ। ইজতেমার চারপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ এমনকি মহিলারাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার সকালেই টঙ্গী এলাকায় অবস্থান নেন।

মন্ত্রী-এমপিদের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ
বিশ্ব ইজতেমায় আসা লাখো মুসল্লির সঙ্গে ইজতেমা ময়দানের পূর্বপাশে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন-অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমানা কিরণ প্রমুখ।

আখেরি মোনাজাত শেষে যানজট
মোনাজাত শেষ হওয়ার পরই বিভিন্ন স্থান থেকে আশা মানুষ আগে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতে শুরু করে।
এর ফলে টঙ্গীর কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের সড়ক-মহাসড়ক এবং সংযোগ সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জন ও যানজট। এতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়ি দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন।

(দ্য রিপোর্ট/এম/জানুয়ারি ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর