thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

নির্বাচনী উৎসবে অভিনয় শিল্পীরা

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০:৫৯:২০
নির্বাচনী উৎসবে অভিনয় শিল্পীরা

পাভেল রহমান, দ্য রিপোর্ট : অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকার নাট্যাঙ্গনে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে যাবে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা। ভোটের উৎসবে মাতবে টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীরা।

এ নির্বাচনে ১১টি পদের জন্য ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৬৬৫ জন। ইতিমধ্যে অর্থসম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তানিয়া আহমেদ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান। এ সময় প্রার্থীরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শুনিয়েছেন তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া নানা মাধ্যম থেকে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির বক্তব্য সংগ্রহ করেছে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম। তাই নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন-

সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিশ্রুতি-

ডি এ তায়েব

আমি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করবো? এমন প্রশ্ন করে কেউ কেউ ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। আমি সরকারি কর্মকর্তা তো ১৮ বছর ধরেই। এরপরও তো এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছি। শিল্পীদের জন্য কিছু করবো বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পীরা অসুস্থ হলে অসহায় হয়ে পড়ে। শিল্পীদের জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবো। শিল্পীদের জন্য একটি ‘শিল্পী পল্লী গড়ে তুলবো। অলরেডি একটি ডেভলপার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। ঢাকার আশেপাশে শিল্পীরা যেন একসঙ্গে থাকতে পারে একটি জায়গা তৈরি করবো। সেখানে ৪ হাজার ফ্ল্যাট থাকবে। শিল্পীরা সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে।’

শহিদুল আলম সাচ্চু

কতিপয় শিল্পীদের কু-কর্মের জন্য পুরো শিল্পীদের উপর কালিমা পড়েছে। শিল্পীদের ঐক্য খুব জরুরি। এমন কিছু করতে চাই যেন আমাদের কেউ দুস্থ না বলতে পারে। খারাপ লাগে যখন দিলারা জামানের মতো সিনিয়ার শিল্পী শুটিংয়ে গেলে তার জন্য একটি ছাতার ব্যবস্থা করা হয় না। আমি পূবাইলে একটি শুটিং সেটে গিয়ে দেখি দিলারা জামান শুটিং করছেন। রোদের মধ্যে বসে আছেন সেখানে কোন ছাতা নেই। আমি ডিরেক্টরকে বললাম, এখানে ছাতা নাই কেন? ডিরেক্টর বললো বাজেট কম। তাই প্রোডাকশন বয় রাখতে পারি নি। নাটকের বাজেট কমতে কমতে কোথায় নেমেছে? এমন অনেক সংকট রয়েছে টিভি মাধ্যমে। সমস্ত সংকট মোকাবিলা করে শিল্পীদের যোগ্য সম্মানের জায়গাটি তৈরি করবো।

শহীদুজ্জামান সেলিম

১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করছি। টিভি নাটক এবং সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছি। অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পীদের সুরক্ষায় কাজ করছি। অভিনয়শিল্পীরা যেন সংগঠিত থাকতে পারে এই স্বপ্ন নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করছি। এখন শিল্পীরা ঐকবদ্ধ হয়েছে। এটা খুব দরকার ছিল। শিল্পীদের অধিকার আদায়ে সামনের দিনগুলোতে আরো কাজ করতে চাই।

সহসভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিশ্রুতি-

আজাদ আবুল কালাম

আমরা যারা পেশাদার অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করছি তারা স্বপ্ন দেখি অভিনয় করে যেন সামাজিকভাবে সম্মানজনক মর্যাদা পায়। অভিনয়শিল্পীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব আসুক। শিল্পীরা যেন সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে সমাজে থাকতে পারে। শিল্পীদের সামাজিক মর্যাদা তৈরি হয়।

আদিত্য আলম

১৯৭৮ সাল থেকে মঞ্চে অভিনয় করি। নীলফামারীতে থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয় শুরু। পরবর্তীতে ঢাকায় আরণ্যকে কাজ করি। এরপর টিভি মাধ্যমে নিয়মিত অভিনয় করছি। শিল্পীদের অধিকার রক্ষার জন্যই এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।

ইকবাল বাবু

মঞ্চ এবং টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছি। এখন পর‌্যন্ত মঞ্চে প্রায় ২২টি নাটকের ৬০০টি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছি। এখন টেলিভিশন চ্যানেল বেড়েছে। কিন্তু শিল্পীদের সম্মান কি বেড়েছে? শিল্পীরা যেন সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে চাই।

তারিন জাহান

ছোটবেলা থেকে নাটক করছি। নাটক ভালোবাসি বলেই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত আছি, নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমাদের সংগঠনটি এখনো নিবন্ধিত হয় নি। প্রথমে সংগঠনটিকে নিবন্ধিত করতে চাই। প্রত্যোক শিল্পীর আইডেন্টি কার্ড তৈরি করতে চাই। যেন এই কার্ডের মাধ্যমে শিল্পীরা বিভিন্ন কাজে সহায়তা পায়। শিল্পীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাই।

জাহিদ হোসেন শোভন

১৯৭৮ সাল থেকে লিটল থিয়েটারের মাধ্যমে নাটকে যুক্ত হই। এরপর কাজ করেছি, থিয়েটারে এবং পর্দার অভিনয়ে। এখন অভিনয়শিল্পীরা সংঘবদ্ধ। সবাই মিলে শিল্পীদের সংগঠনকে গতিশীল করতে চাই। হারি কিংবা জিতি, একসঙ্গে থাকতে চাই।

তানভীন সুইটি

আমি ত্রিশ বছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গে আছি। এটি আমার পরিবার। এই পরিবারকে এগিয়ে নিতে চাই। এখন একধরণের নৈরাজ্য চলছে। নবীনপ্রবীণরা কেউ কাউকে চিনতে পারছি না। এখন নাটকে বাজেট কম। থিয়েটার থেকে টিভি মিডিয়ার শিল্পী তিরি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে অভিনয় না শিখেই কেউ কেউ তারকা হয়ে গেছে। তারা সাময়িকভাবে দর্শকের মনোরঞ্জন করতে পারছে। কিন্তু টিকে থাকতে পারছে না। অভিনয়ে টিকে থাকতে হলে, অভিনয় শিখে থাকতে আসতে হবে। সত্যিকারের শিল্পীদের দিয়ে অভিনয় করাতে হবে।

রফিকুল্লাহ সেলিম

১৯৮৫ সাল থেকে মঞ্চের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করি। পরবর্তীতে টিভি নাটকেও অভিনয় করছি। এখনো নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে অভিনয়শিল্পীদের সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিশ্রুতি-

আহসান হাবিব নাসিম

১৯৯২ সাল থেকে সুবচন নাট্য সংসদের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছি। ১৯৯৭ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করি। টিভি নাটকে আমি চর্চাটা বেশি। আমি থেকে সবাই মিলে আমরা হয়ে উঠতে পারি নাই। আমি থেকে আমরা হয়ে উঠার জন্য কাজ করবো। কল্যাণ ফান্ড, শিল্পীদের আইডি কার্ড এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তৈরির জন্য কাজ করবো। শিল্পীরা যদি আমি থেকে আমরা হয়ে উঠতে পারি, তবে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মীর সাব্বির

বরগুনায় ৫ বছর বয়স থেকে অভিনয়ে যুক্ত হয়। অভিনয় মাধ্যমে দেখেছি এখন অশিল্পীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কোনো অশিল্পীর দায়িত্ব আমরা কেন নেব? আমাদের প্রাণের বাংলা নাটককে অশিল্পীমুক্ত করতে চাই। বিভিন্ন চ্যানেলে এই শিল্পীদের তালিকাটা পাঠিয়ে বলবো, এদের ছাড়া যেন কাউকে দিয়ে কাজ করানো না হয়। এখন শিল্পী যখন বাজে কথা বলে তার দায় আমরা কেন নেব? আমরা শিল্পী যারা তাদের দায় নেব। থিয়েটারে কাজ করে যারা অভিনয় শিখছে তারা যেন অভিনয় করে সে পরিবেশ তৈরি করবো।

সিদ্দিকুর রহমান

শিল্পী সংঘ আমার সন্তান এবং আমার পরিবার। শিল্পীরা যেন সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারে তার জন্য কাজ করবো। শিল্পীদের জন্য নিজস্ব ভবন তৈরি করবো। স্মার্টকার্ড তৈরি করবো। এই কার্ডে শিল্পীদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে। অনলাইনে এই কার্ড শো করলেই শিল্পীর বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে। এখন শুটিংয়ের নামে বিদেশে আদম পাচার হচ্ছে। অশিল্পীদের দিয়ে অভিনয় করানো হচ্ছে।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

শহীদ আলমগীর

১৮ তম বিসিএস হয়েছিল। সরকারী চাকরী বাদ দিয়ে অভিনয় শুরু করেছি। আমি নেতা হতে আসে নি। আমি আপনাদের সেবক হতে চাই, আপনাদের খাদেম হতে চাই। সুযোগ পেলে শিল্পীদের সেবক হয়েই কাজ করবো।

লুৎফর রহমান জর্জ

সবাইকে ভালোবাসা। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শিখেছি, টিভিতে অভিনয় করছি। এই মাধ্যমটিতে যারা কাজ করছেন, সবাই মিলে একটা পরিবার। আমি সবাইকে পরিবারের মধ্যে এক করে রাখতে চাই। নির্বাচনে যদি আমি হেরেও যাই সেখানে তো আমারই বন্ধু জয়ী হবে। আমার বন্ধু জয়ী হলে আমি তাকে অভিনন্দন জানাবো।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

আনিসুর রহমান মিলন

১৩ বছর থেকে অভিনয়ে যুক্ত আছি। অভিনয়ের জন্য অনেক চাকরী ছেড়েছি। আরো ভালো কোন চাকরীতে ব্যস্ত হতে পারতাম। অভিনয়কে ভালোবাসি বলেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছি। এখন শিল্পীদের একটা প্লাটফর্ম হয়েছে। এটাকে গতিশীল করতে চাই।

আশরাফ কবির

অভিনয়শিল্পীরা আজ এক হয়েছে। এটাই বড় প্রাপ্তি। নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি অভিনয়শিল্পীদের জন্য ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে। শিল্পীরা যখন মধ্যরাতে শুটিং করে বাসায় ফেরে তাদের কথা কেউ ভাবে না। শিল্পীরা যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন তাদের কথা কেউ ভাবে না। শিল্পীদের পাশে থাকবো সব সময়।

কামাল হোসেন বাবর

অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনকে ঘিরে সবার মধ্যে সম্পর্ক ভাল হয়েছে। এটা অনেক ভালো দিক। দেশের শিল্পীদের নিয়ে বিদেশে বড় বড় অনুষ্ঠান করতে চাই। দেশীয় মেধাবী শিল্পীদের আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে চাই।

নূর মোহাম্মদ রাজ্য

আমি চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে অভিনয়শিল্পীদের গ্রেডিং চালু হোক। যারা দিনের পর দিন অভিনয় শিখছে তাদের পেশাগত কাজের ক্ষেত্র হোক অভিনয় মাধ্যম। শিল্পীদের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই।

রওনক হাসান

সবাই মিলে আগামি প্রজন্মের জন্য ভালো একটা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবো। এটাই আমার চাওয়া। শিল্পীরা এখন একটা প্লাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে। শিল্পীদের কল্যানে আমি সবার সঙ্গে আছি।

সুমনা সোমা

অভিনয় ভালোবাসি। মিডিয়ার জন্য শুভ কিছু করতে চাই। যা কিছু শুভ তার সঙ্গে আমি আছি, থাকবো। মিডিয়াকে ভালোবাসি, মিডিয়ার মানুষদের ভালোবাসি।

অনুষ্ঠান সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিশ্রুতি-

বন্যা মির্জা

বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে তারা নানাভাবে দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পান। আমরা অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাস করি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের জায়গাটিকে আরো উন্নত করতে চাই। যে কোন ধরণের সেমিনার জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেসব জায়গায় সংযুক্ত করা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যুক্ত হওয়া। অন্যান্য দেশের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় করতে চাই যা আমাদের সমৃদ্ধ করবে।

এস এম আরমান পারভেজ

স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই যদি মিলেমিশে থাকি তবে সব সমস্যার সমাধান হবে। যোগ্য একটা কমিটি আমাদের হবে।সবাই মিলে একসঙ্গে থাকবো। ভালো কাজ করবো।

শফিউল আলম বাবু

১৯৮৪ সাল থেকে মঞ্চে অভিনয় করি। মৌলিক চাহিদা নিয়ে বাঁচতে চাই। শিল্পীরা যেন দুস্থ না হোন। শিল্পীরা যেন সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারেন তার ব্যবস্থা করবো। বাংলা নাটকের জয় হোক।

হাসান জাহাঙ্গীর

আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই। যোগ্য মনে করলে ভোট দেবেন।

আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

শিরিন বকুল

মঞ্চনাটকের শো থাকায় দিল্লীতে রয়েছেন অভিনেত্রী শিরিন বকুল। তিনি সেখান থেকে জানান, ‘রাজপথের আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। থিয়েটার করে অভিনয় শিখেছি। ১৯৮৭ সালে টিভি অভিনয় শুরু করি। এখনো নিয়মিত অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা দিয়ে এবার শিল্পীদের কল্যানে কাজ করতে চাই।

শামীমা ইসলাম তুষ্টি

পিপলস থিয়েটার দিয়ে ছোটবেলায় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হই। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে অভিনয় করেছি। টিভিতে এখন নিয়মিত অভিনয় করি। সবাই আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমার বিশ্বাস সবাই আমাকে এই পদে নির্বাচিত করবেন।

তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিশ্রুতি-

ওমর আয়াজ অনি

আমি তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে পড়েছি। কাজও করেছি। আমি মনে করছি এই পদে জয়ী হলে শিল্পীদের ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করবো, ওয়েবসাইট তৈরি করবো। অলরেডি শিল্পীদের ওয়েবসাইট তৈরি জন্য কাজ করছি। শিল্পীদের জন্য ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করতে চাই।

আদনান ফারুক হিল্লোল

আমি আইসিটি নিয়ে কাজ করতে চাই। ইনফরমেশন টেকনোলজির বিষয়ে আগ্রহ থেকেই এই পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পীদের ওয়েবসাইট তৈরি করবো। যেখানে ঢুকলে শিল্পীদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। শিল্পীদের কাজের খবর বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে কাজ করবো।

দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

শামস সুমন

আমার প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি, তিনি তো আমারই বন্ধু। নির্বাচনে যেই জিতবে, কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করবো।অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতিগুলো শুনেছি এবং লিখে রেখেছি। যদি নির্বাচনে জয়ী হয়, তবে সবাইকে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে খোঁচাবো। যদি হেরে যায় তবে এই প্রতিশ্রুতির তালিকাটা আমার বন্ধুকে দিয়ে বলবো এবার খোঁচাও।

মাসুদ আলম তানভীর

থিয়েটার আরামবাগের মাধ্যমে মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু। এরপর অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত হয়েছি। আর কিছু হতে চাই নি। শিল্পীদের ভালোবাসি। আমার দিনের ২৪ ঘন্টা শিল্পীদের জন্য। আমার অফুরন্ত সময়। আমি সময় দিতে পারবো।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর

আমি আইন বিষয়ে পড়ালেখা করেছি। এডভোকেট না হয়ে অভিনয় করছি। এখন অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত সবাই আমার পরিবার। নির্বাচিত হলে শিল্পী জন্য একটা ম্যাগাজিন করতে চাই। একটা তথ্যগ্রন্থ করতে চাই। যেখানে শিল্পীদের সমস্ত তথ্য থাকবে।নির্বাচনে কে জিতবে জানি না। যেই জিতবে তাকে নিয়েই কাজ করবো। সবাই একসঙ্গে থাকবো।

শাহরিয়ার নাজিম জয়

আমি ৯৪ সাল থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। সবার ভালোবাসা চাই। আমাদের অনেক সমস্যা। সবাই একসঙ্গে থাকলে সমাধান ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। শিল্পীরা ফুলের মতো আবেগী। সবাইকে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা।

কার্যনিবাহী সদস্য প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি-

সেলিম মাহবুব

বস্ত্রখাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিকেএমইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। থিয়েটারের সঙ্গে তো যুক্ত আছি প্রায় তিন দশকেরও বেশী সময়। টিভি অভিনয় করেছি বিটিভির প্যাকেজ নাটকের শুরুর সময় থেকে। মাঝে ব্যবসায়িক ব্যস্ততার জন্য টিভিতে সময় দেয়া হয় নি। তবে থিয়েটারে নিয়মিত অভিনয় করেছি। দীর্ঘ দিনের থিয়েটারের অভিজ্ঞতা এবং ব্যবসায়িক সংগঠনে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা দিয়ে অভিনয়শিল্পীদের কল্যানে কাজ করতে চাই। বাংলা টিভি নাটকের হারানো জৌলস ফিরিয়ে আনতে চাই। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এবার নিশ্চয় ভালো কিছু হবে।

জাকিয়া বারী মম

ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সংগঠনচর্চায় যুক্ত হয়েছি। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে পড়ালেখা করেছি। আজাকে আমি যে শিল্পী, এই পরিচয় ইন্ডাস্ট্রি আমাকে দিয়েছে। তাই ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে কিছু করতে চাই। এজন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি সবাই আমাকে ভোট দিয়ে সেই সুযোগ করে দেবেন।

আহসানুল হক মিনু

আনন্দ লাগছে সবার সামনে কথা বলতে পেরে। এই সংগঠনের শুরু থেকেই আছি। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংগঠনে আরো বেশী সক্রিয় হতে চাই।

ইস্তেখাব দিনার

টিভি নাটকের বাজেট কমে গেছে। ধিরে ধিরে শিল্পী মরে যাচ্ছে। শিল্পী বাঁচুক, শিল্পটা বেঁচে থাকুক। এজন্য কাজ করবো।

ওয়াসিম যুবরাজ

১৯৯৮ সাল থেকে বরিশাল শব্দাবলীর হয়ে থিয়েটার করছি। সিনিয়াররা আসবেন তাদের চেয়ার টেনে দেব। কমিটিতে চেয়ার টানার জন্যও তো একজন জুনিয়ারকে লাগবে। আশা করি সবাই আমাকে ভোট দেবেন।

মৌ

উপস্থাপক থেকে অভিনয় শুরু করেছিলাম।অভিনয় আমাকে সম্মান দিয়েছে। অভিনয় আমার পরিবার। এবার পরিবারটিকে সংগঠিত করে রাখার জন্য কাজ করবো। যোগ্য মনে করলে ভোট দেবেন।

নিকুল কুমার মন্ডল

আপনাদের ভালোবাসায় আমার পথ চলা। সংগঠনের উন্নয়নে কাজ করব। কোন চ্যানেলের সংগঠন নয় স্বাধীন সংগঠন করবো। এই সংগঠন যেন শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে তার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেব।

মাহমুদ মুস্তাফা

৯৩ সাল থেকে থিয়েটার করছি। ৯৪ সাল থেকে টিভি অভিনয় শুরু করি। এই মাধ্যম থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমাকে সম্মান দিয়েছে। এবার শিল্পীদের জন্য কাজ করতে চাই।

আফতাব উদ্দিন খান

আমারে অনেকেই পূবাইলের আফতাব ভাই বলে চেনেন। আমি সব সময় শিল্পীদের জন্য কাজ করেছি। পূবাইলে গিয়ে শিল্পীদের যে কোন বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমাকে নির্বাচিত করলে সবসময় আপনাদের কাছেই পাবেন।

নির্জন আজাদ

লেখাপড়া বাদ দিয়ে নাটকের পেছনে দোড়াতাম বলে আমার মা আমাকে পাগল বলে ডাকতেন। আমি পাগলের স্বীকৃতি নিতে চাই।

মুকুল সিরাজ

আমি ভাল কোরাস করতে পারি। সবাই ভাল কিছু করলে আমি সাথে তাল দিতে পারবো।

শেখ মিরাজুল ইসলাম

২০০০ সালে বহুবচনের মাধ্যমে থিয়েটার শুরু। বিভিন্ন সময় সংগঠন করেছি। আমি কাজের ছেলে, কাজটাই করতে চাই।

সনি রহমান

সবার সামনে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ভাল যা কিছু হবে তার সাথে থাকবো।

সুজাত শিমুল

আরণ্যকের মাধ্যমে থিয়েটার শিখেছি। আমার গুরু মামুনুর রশীদ। টিভি অভিনয় করে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। এবার শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই।

হুমায়ুন কাবেরি

সবাই একসঙ্গে হয়েছি। এবার টিভি শিল্পীরা নতুন কিছু করবে।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর