thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

চলতি বছর ১৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ওয়ালটনের

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ২১:১২:৪৫
চলতি বছর ১৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ওয়ালটনের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : স্থানীয় বাজারে রেকর্ড পরিমাণ (১৭ লাখ) ফ্রিজ বিক্রি করে আরেকটি মাইলফলক অর্জনের টার্গেট নিয়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। যা গত বছরের (২০১৬) চেয়ে যা ২৫ শতাংশ বেশি।

ওয়ালটন কর্মকর্তাদের মতে, গত বছর ১৩ লাখ ৬০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করে বাংলাদেশের বাজারে রেকর্ড তৈরি করে ওয়ালটন। যা ছিল ২০১৫ সালের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ১৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।

তারা বলছেন, স্থানীয় বাজারে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ। দেশীয় বাজারে নিরঙ্কুশ প্রধান্য ওয়ালটনের। নিজেদের অবস্থান আরো সুসংহত করতে ওয়ালটন ফ্রিজে যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। আসছে যুগোপযোগী রুচিশীল মডেল ও কালারের ফ্রিজ। পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসারযুক্ত ফ্রিজ। এসেছে বেশকিছু মডেলের গ্লাস ডোর, সাইড বাই সাইড, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ব্যাচেলর মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। গত বছর স্থানীয় বাজারে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পায়।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম যুক্তি বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা, মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং জিডিপির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিতে চলতি বছর দেশে প্রায় ২২ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হতে পারে। এর মধ্যে ওয়ালটনের লক্ষ্য ১৭ লাখ। বছর শেষে ওয়ালটনের বিক্রি আরো বেশিও হতে পারে।’

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের আছে শতাধিক মডেল ও কালারের ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও বিশ্বের লেটেস্ট ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ২৭ থেকে ৩৩ সিএফটি পর্যন্ত নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এগুলো ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুত সাশ্রয়ী। শব্দহীন এবং ভিতরে বরফ জমে না। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব গ্রিন আর ৬০০ এ গ্যাস।

সম্প্রতি ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে ৩৮০ লিটার ও ৩৪৮ লিটারের টেম্পারড গ্লাস ডোর; ৫২৫ লিটারের সাইড বাই সাইড; ৩২৩ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে; ৫০ লিটার, ১০১ লিটার ও ১১৫ লিটারের ব্যাচেলর ফ্রিজসহ বেশ কিছু নতুন মডেল। এসব ফ্রিজ চলতি বছরের বাণিজ্য মেলায় গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

ওয়ালটন ফ্রিজ আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার বলেছেন, ‘নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি। রয়েছে ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির ব্যবহার। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নুসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত হয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।’

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ।

ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) এমদাদুল হক সরকার বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ফ্রিজ বিক্রিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি, আরো একটি মাইলফলক অর্জন। এজন্য সম্ভাবনাময় পয়েন্টগুলোতে চালু করা হচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। নতুন পরিবেশক নিয়োগের মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে সেলস পয়েন্ট। প্রায় প্রতিমাসেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও মডেলের ফ্রিজ। বছরের শুরু থেকে এবার বিক্রিও খুব ভালো।’

ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের এডিশনাল ডিরেক্টর শাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেছেন, ‘আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত ও সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে ৬৫ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আরো ৫টি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর