thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

১৬শ’ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ২৩:৩৯:৩৩
১৬শ’ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দশম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা ২০১৭। প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩শ’টি স্কুল থেকে ১৬শ’ ৩৩ জন শিক্ষার্থী এবং ভারতের ত্রিপুরা আলোহার ৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আলোহা বাংলাদেশ।

শিশুরা কতো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে এটি পরীক্ষার উদ্দেশ্যেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে।

এদিন বিকেলে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় যেখানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সামনে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রেসিডেন্ট এবং মালয়েশিয়া অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি (এমএএমএএ) লোহ মুন সাঙ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী। এছাড়াও, সেশন চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের পরিচালক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।

এ নিয়ে আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক মালয়েশিয়া থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে আলোহা বাংলাদেশ। এ কর্মসূচি শিশুদের একাগ্রতা, আত্মবিশ্বাস, নিখুঁত পর্যবেক্ষণ, শোনার দক্ষতা, স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বাড়ানো এবং সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তির দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও, কর্মসূচিটি শিশুদের খেলার ছলে গণিত শিখতে ও সৃষ্টিশীল লেখনী শক্তি বৃদ্ধিতে এবং সামাজিক বিজ্ঞান, ইংরেজি, বাংলাসহ অন্যান্য বিষয় শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।’

সার্বিকভাবে এ কর্মসূচি মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে অ্যারিথমেটিক শেখার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পাঠক্রম হিসেবে দু’বছরব্যাপী এ কর্মসূচি আটটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি পর্যায়ের সময়কাল তিন মাস। এ কর্মসূচিতে শিশুদের আঙুল ব্যবহার করে ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত যোগ-বিয়োগের কার্যক্রম শেখানো হয়। আঙুলের কৌশল রপ্ত করার পর তাদের অ্যাবাকাস শেখানো হয়। অ্যাবাকাস ব্যবহার করে শিশুরা যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, রুট, স্কয়ার রুট, দশমিক ও শতাংশের মতো জটিল গাণিতিক হিসাব দ্রুতগতিতে ও নির্ভুলভাবে সমাধান করতে শিখে। পরবর্তীতে, শিশুদের আঙুল অথবা অ্যাবাকাস ব্যবহার না করে মস্তিষ্কের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে জটিল গাণিতিক হিসাব করতে শেখানো হয়। তারা কল্পিত অ্যাবাকাস ব্যবহার করে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে শেখে।

এ সময় সর্বমোট ১৯৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সর্বোচ্চ ৭০ নম্বরে ৭০ পেয়েছে— মোহম্মদ রহিম হাসান, উত্তরা-১ সেন্টার; আফিয়ান শাফি দৃঢ়, ধানমন্ডি-১ সেন্টার; সারাফ ইসলাম নুহিল, ধানমন্ডি-১ সেন্টার।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর