বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নেওয়া ধর্মগুলোর অন্যতম বৌদ্ধধর্ম। এর মৌলিক প্রস্তাবনা হলো জীবনের সঙ্গে দুঃখের সম্পৃক্ত, এর কারণ ও নিদান খোঁজা। এটি একই সঙ্গে দার্শনিক ধারণা। এর ব্যবহারিক গুণে পাশ্চাত্যের আনুধানিক দর্শনের গুরুতর সমালোচনাও বটে। এই ধর্মের প্রবর্তক গৌতমবুদ্ধ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে।
বুদ্ধের মতে জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারো নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। মানুষের কামনা-বাসনা সবই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখ মিশ্রিত এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই। নির্বাণ লাভে এই দুঃখের অবসান ঘটে। কামনা-বাসনার নিস্তারের মাঝে অজ্ঞানতার অবসান ঘটে। এতেই পূর্ণ শান্তি অর্জিত হয়। অজ্ঞানতা বা অবিদ্যার অবসান বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বৌদ্ধধর্মে কর্মের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
প্রধান দুই মতবাদ: বৌদ্ধধর্মের প্রধান দুটি মতবাদ হলো- হীনযান বা থেরবাদ ও মহাযান। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ।
হীনযান মতে, বুদ্ধ একজন সাধারণ মানুষ। তারা তাঁকে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তিনি নির্বাণে প্রবেশ করায় তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাব সম্পূর্ণ রহিত হয়েছে এবং তিনি আর এই দুঃখময় সংসারের ধার ধারেন না। তিনি এখন নির্বাণের পরিপূর্ণ শান্তি উপভোগ করেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও তপস্যার দ্বারা মুক্তি বা নির্বাণ লাভের অধিকারী হওয়া যায়।
মহাযান মতে, বুদ্ধ ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত। সাধারণ মানুষ ঈশ্বরের পূজার মতো বুদ্ধেরও পূজা অর্চনা করতে পারে এবং তাঁর করুণা ও সাহায্যপ্রার্থী হতে পারে। তিনি শারিরীকভাবে নির্বাণ গমন করলেও আমাদের মধ্যে আছেন। প্রয়োজন হলে মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে অবতীর্ণ হতে পারেন। তাই তারা নির্বাণের প্রত্যাশী নন, তারা গৌতম বুদ্ধের মতো বুদ্ধত্ব লাভের প্রত্যাশী।
বুদ্ধ ও বোধি: ‘বুদ্ধ’ বলতে সাধারণত জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী ও জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয়। সিদ্ধার্থ গৌতম এমনই একজন ‘বুদ্ধ’। বোধিজ্ঞান লাভ করে বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। বৌদ্ধধর্মের নীতিকথামূলক গ্রন্থ জাতকে বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ (মতান্তরে ৫৪৯) বার বিভিন্ন বংশে জন্ম নেওয়ার উল্লেখ আছে। বুদ্ধত্ব লাভের ফলে তিনি এই দুঃখময় পৃথিবীতে আর জন্ম নেবেন না, এটাই ছিলো তাঁর শেষ জন্ম।
গৌতমবুদ্ধ: সিদ্ধার্থ বা গৌতমবুদ্ধ উত্তর-পূর্বভারতের কপিলা বাস্তু নগরীর রাজা শুদ্ধোধনের পুত্র। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনি কাননে (নেপাল) জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্মের সাতদিন পর মা রাণী মহামায়া মারা যান। সৎমা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন পালন করেন, তাই তাঁর অপর নাম গৌতম। তিনি সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন। তাঁকে সংসার অনুরাগী করার জন্য ১৬বছর বয়সে যশোধরা নামে সুন্দরী রাজকন্যার সাথে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। রাহুল নামে তাদের একটি ছেলে হয়। উদাসীন সিদ্ধার্থকে খুশি রাখতে শুদ্ধোধন চার ঋতুর জন্য চারটি প্রাসাদ তৈরি করে দেন।
একদিন তিনি বাবার কাছে রথে চড়ে নগর পরিভ্রমণের অনুমতি পান। শুদ্ধোধন সারা নগরীতে উৎসব করার নির্দেশ দেন। প্রথমদিন নগরী ঘুরতে গিয়ে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, দ্বিতীয়দিন একজন অসুস্থ মানুষ, তৃতীয়দিন একজন মৃত ব্যক্তি এবং চতুর্থদিন একজন সন্ন্যাসী দেখে তিনি সারথিকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন‘ জগত দুঃখময়’। তিনি বুঝতে পারেন সংসারের মায়া, রাজ্য, ধন-সম্পদ কিছুই স্থায়ী নয়।
দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে এক পূর্ণিমা রাতে তিনি গৃহত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৬ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি বুদ্ধ গয়া নামক স্থানে ৫৮৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৩৫ বছর বয়সে একটি বোধি বৃক্ষের নিচে বোধিজ্ঞান লাভ করেন। এরপর ৪৫ বছর ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধধর্মের বাণী প্রচার করেন। ৪৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিনি কুশী নগরে ৮০বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন।
বৌদ্ধধর্মে পরকাল: ভালো ও মন্দ কাজের ভিত্তিতে পরকালের স্থান নির্ধারিত হয়। যা পরিভ্রমণ বিশেষ। বৌদ্ধধর্ম মতে, মৃত্যুর পর মানুষ ৩১ লোকভূমির যে কোনো একটিতে গমন করে। ৪ প্রকার অপায়: তীর্যক (পশু-পাখিকুল), প্রেতলোক (প্রেত-পেত্নী), অসুর (অনাচারীদেবকুল), নরক (নিরয়)। ৭ প্রকার স্বর্গ: মনুষ্যলোক, চতুর্মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংশ স্বর্গ, যাম স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, নির্মাণ রতি স্বর্গ, পরনির্মিত বসবতি স্বর্গ। আরো রয়েছে ১৬ প্রকার রুপব্রহ্মভূমি ও ৪ প্রকার অরুপ ব্রম্মভূমি। এই ৩১ প্রকার লোকভূমির উপরে সর্বশেষ স্তর হচ্ছে নির্বাণ বা পরম মুক্তি।
নির্বাণ: সকল প্রকার কামনা, বাসনা ও বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ হচ্ছে নির্বাণ।নির্বাণ হলো বৌদ্ধধর্ম মতানুসারে সাধনার চরম পরিণতি বা পরম প্রাপ্তি বা মোক্ষ লাভের শর্ত। দীর্ঘসময় সাধনার পরে এমন স্তরে পৌঁছানো যায়। নির্বাণ দুই প্রকার- সোপাদি শেষ নির্বাণ ও অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ।
পঞ্চস্কন্ধের বিদ্যমানতায় যদি সর্ববিধ তৃষ্ণার অবসান হয়ে কেউ স্থিতভাবে অবস্থান করে তবে সে অবস্থাকে সোপাদি শেষ নির্বাণ বলে।সোপাদি শেষ নির্বাণের পরবর্তীতে যখন পঞ্চস্কন্দের অবসান হয় তখন অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ বলে।
গৌতমবুদ্ধের মতে, পঞ্চ উপাদান যখন ব্যক্তির তৃষ্ণার বিষয় হয়ে তার কাছে প্রকট হয়, তখন তাকে উপাদান স্কন্ধ বলে। এই পঞ্চ উপাদান স্কন্ধকে তিনি দুঃখ বলেন। এই পঞ্চ উপাদান হল রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার ও বিজ্ঞান।
চতুরার্যসত্য: বৌদ্ধধর্মের স্বীকার্য চার সত্যকে চতুরার্য সত্য বলে-
প্রথম সত্য: জগতে দুঃখ আছে। দুঃখ অলীক বা কাল্পনিক নয়, এর অস্তিত্ব মৌলিক সত্য।
দ্বিতীয় সত্য: দুঃখের কারণ আছে। এর কারণ হলো কামনা বা তৃষ্ণা, যার ফলে জীব বার বার জন্মগ্রহণ করে এবং দুঃখ ভোগ করে।
তৃতীয় সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। কামনার নিবৃত্তি হলে নির্বাণ লাভ হয় এবং সকল দুঃখের অবসান ঘটে।
চতুর্থ সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। দুঃখ নিবৃত্তির সমাধান হলো নির্বাণ।
অষ্টাঙ্গিক মার্গ: দুঃখ অবসানের মার্গ বা উপায়কে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে। এই আটটি মার্গ একত্রে দুঃখের অবসান ঘটায়। এই মার্গগুলি আটটি বিভিন্ন স্তর নয়, বরং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ পথের সৃষ্টি করে।
আটটি মার্গ হলো–
১.সম্যক দৃষ্টি- সঠিক উপলব্ধি, যার ফলে চতুরার্য সত্যগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারা।
২. সম্যক সংকল্প- সত্যলাভ করার জন্য দৃঢ় বাসনা রাখা।
৩. সম্যক বাক্য- মিথ্যাকথা, কঠোরবাক্য, পরনিন্দা, বৃথা আলাপ ও মূর্খের মতো বাক্যালাপ থেকে নিবৃত্ত থাকা।
৪. সম্যক আচরণ- প্রাণীহত্যা, চুরি, অন্যায় বিচার ও অসংযম হতে সম্পূর্ণ রূপে নিজেকে বিরত রাখা।
৫. সম্যক আজীব- সুস্থ ও সবলতার জন্য সৎ উপায়ে জীবন ধারন করা। জীবন নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ রূপে পাপ ও কলূষমুক্ত হওয়া।
৬. সম্যক প্রচেষ্টা- মনকে শুদ্ধ ও পবিত্র রাখার জন্য সব সময় অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার ও ভালো কাজের চেষ্টা করা।
৭. সম্যক স্মৃতি- দেহে ও মনে সম্পূর্ণ সজাগ ও সচেতন থাকা।
৮. সম্যক সমাধি- ধ্যান অর্থাৎ পরিপূর্ণ একাগ্রতার নাম ধ্যান বা সমাধি। বা সমাধির চারটি স্তর। শেষ স্তরে নির্বাণ লাভ হয়। এ অবস্থায় মানুষের মোহ ও অবিদ্যা চির তরে দূর হয়ে জন্ম এবং দুঃখের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ত্রিশরণ মন্ত্র: আর্য সত্য এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গের আগে ত্রিশরণ মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়-
১. বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি- আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম।
২. ধম্মং শরণং গচ্ছামি- আমি ধর্মের শরণ নিলাম।
৩. সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি- আমি সঙ্ঘের শরণ নিলাম।
বুদ্ধের সঙ্ঘে জাতি-শ্রেণীভেদ ছিল না, সকলেই সমান। ভিক্ষা বৃত্তিই ছিল তাঁদের একমাত্র উপার্জনের পথ। ধনী পৃষ্ঠপোষকেরাও সাহায্যসহযোগিতা করতেন। বৌদ্ধ মতে, একজন ভিক্ষুর থাকবে পরনের তিনখণ্ড কাপড়, মাটির ভিক্ষাপাত্র, একটি সুচ, পানি পানের একটি পাত্র, একটি চিরুনি আর একটি কোমর বন্ধনী।
মধ্যপথ: বৌদ্ধধর্মে চরমপন্থা ও অজ্ঞানতার স্থান নেই। মধ্যপথ অবলম্বন করলে গৌতম বুদ্ধের আলোয় আলোকিত হওয়া যায়। এর বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা রয়েছে। মধ্যপথ বলতে বুঝায়- চরমপন্থী না হওয়া, অস্তিত্ব-অনস্তিত্বের মাঝামাঝি থাকা, নির্বাণ- যেখানে জগতের দ্বৈততা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি থাকেনা এবং বাস্তবতার চূড়ান্ত ফলাফল শূন্যতা।
ধর্মগ্রন্থ: গৌতমবুদ্ধ কোন গ্রন্থ রচনা করেননি। তাঁর মৌখিকভাবে উপদেশ সঙ্কলিত হয়েছে পালি ভাষায় ‘ত্রিপিটক’-এ। ‘পিটক’ শব্দের অর্থ বাক্স। ত্রিপিটক মানে তিন টিপিটকের সমাহার। এই তিনটি পিটক হচ্ছে- সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ও বিনয় পিটক। সুত্ত পিটকে ধর্মবিষয়ক বার্তা, অভিধর্ম পিটকে দার্শনিক বিষয় এবং বিনয় পিটকে সংঘের আচার বিষয়ে গৌতম বুদ্ধের উপদেশ। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সঙ্কলনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতমবুদ্ধের পরিনির্বাণের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে এবং শেষ হয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্দে।
প্রার্থনা: বৌদ্ধরা সাধারণত তাদের ধর্মালয়ে গিয়ে বুদ্ধের সামনে নতজানু হয়ে পালি ভাষায় প্রার্থনা করে। যদিও এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। গৃহীদের জন্য পাঁচটি নিয়ম রয়েছে- প্রাণী হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, মিথ্যা বা কটু বাক্য, নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
তীর্থস্থান: বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবস্তুর লুম্বিনিগ্রাম, বুদ্ধের বোধিজ্ঞান লাভের স্থান বৌদ্ধগয়া, ধর্মচক্র প্রবর্তন স্থান সারনাথ ও পরিনির্বাণ প্রাপ্তির স্থান কুশিনারা।
অবদান: বৌদ্ধধর্ম এই অঞ্চলের জ্ঞানচর্চাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। অহিংসা বৌদ্ধধর্মের অন্যতম ধারণা। ধারণা ও ব্যবহারিক জীবনে এর প্রয়োগ চূড়ান্তভাবে স্বীকৃত। এর সঙ্গে অজ্ঞান বা অবিদ্যা জড়িত। যার বিলয় ঘটলে মানুষের কাছে জগত সত্য উদ্ভাসিত হয়।
বৌদ্ধধর্ম প্রচারের সঙ্গে শিক্ষা ও জ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীন ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা হয় ভিক্ষুদের হাত ধরে। এই জ্ঞানের আলোয় বৌদ্ধধর্ম জাত-পাত বিরোধী নতুন ধরনের আন্দোলনের সূচনা করে। যা জাত-পাতে বিভাজিত ও নির্যাতিত উপমহাদেশের মানুষকে দেয় মুক্তির স্বাদ।
বৌদ্ধধর্মের অবিদ্যা বা অজ্ঞানতার ধারণা অধিবিদ্যিক নয়। এর রূপ প্রায়োগিক। তাই দুঃখকে কার্য-কারণবাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করে। একে বলাহয় প্রতীত্যসমুৎপাদ। যুক্তিবাদিতা এর বৈশিষ্ট্য। তাই এটি বাস্তববাদী। দুঃখ ও নির্বাণের ধারণাকে বৌদ্ধধর্ম নতুনরূপে ব্যাখ্যা করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/এফএস/মার্চ ০৭, ২০১৭)
পাঠকের মতামত:
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর
- রোহিত- কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- তীব্র তাপদাহে এশিয়ার কোন দেশের কী অবস্থা!
- তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- "শেরে বাংলার মমত্ববোধ, ভালোবাসা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে"
- বৃষ্টি নিয়ে যে সুখবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সংশোধিত ফল প্রকাশ
- একের পর এক দেশ বিরোধী কাজ করছে সরকার: রিজভী
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়লো
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- মাধবদীতে হিট স্ট্রোকে এক যুবকের মৃত্যু
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- নয় মাসে ইবনে সিনার মুনাফা বেড়েছে