thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

দানের ফজিলত

২০১৭ মার্চ ১১ ১৬:৩০:৩৮
দানের ফজিলত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : গোপনে বা প্রকাশ্যে যে কোন ভাবেই দান করা যায়। সকল দানেই কমবেশি সওয়াব রয়েছে।

আল্লাহ বলেন- ‘যদি তোমরা দান-খয়রাত কর, তবে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে দান করে দাও, তবে আরও বেশি উত্তম। দানের জন্য তিনি তোমাদেরকে পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সূরা বাকারা- ২৭১)

গোপনে দান করার ব্যাপারে হাদিসে অধিক ফযিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। গোপনে দানকারী কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নিচে ছায়ায় থাকবেন বলে হাদিসে বলা হয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কিয়ামত দিবসে সাত শ্রেণির মানুষ আরশের নিচে ছায়া লাভ করবে। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে- এমন ব্যক্তি যারা এত গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কি দান করে বাম হাত জানতেই পারে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দান-ছাদকায় গুনাহ মাফ হয় ও মানুষ জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকে। নবী (সা.) বলেন- ‘হে কা‘ব বিন উজরা! নামাজ (আল্লাহর) নৈকট্য দানকারী, রোজা ঢাল স্বরূপ এবং দান-ছাদকা গুনাহ মিটিয়ে ফেলে, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে ফেলে।’ (আবু ইয়ালা, সনদ সহীহ) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খেজুরের একটি অংশ দান করে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা কর।’ (বুখারি ও মুসলিম)

বর্তমান যুগে অনেক মানুষ এমন আছে, যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দান করে এবং তা মানুষকে দেখানোর জন্য। মানুষের ভালবাসা নেওয়ার জন্য। মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য। মানুষের মাঝে গর্ব অহংকার প্রকাশ করার জন্য। অনেকে দুনিয়ার স্বার্থ সিদ্ধির জন্যও দান করে থাকে।

কিন্তু দান যদি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য না হয় তা দ্বারা হয়ত দুনিয়ার কিছু স্বার্থ হাসিল হতে পারে কিন্তু আখেরাতে এর কোন প্রতিদান পাওয়া যাবে না। হাদিসে কুদসীতে নবী (সা.) বলেন, ‘আমি শিরককারীদের শিরক থেকে মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন আমল করে তাতে আমার সাথে অন্যকে শিরিক করবে, তাকে এবং তার শিরকির আমলকে আমি পরিত্যাগ করব।’ (মুসলিম)

যারা মানুষের প্রশংসা নেওয়ার উদ্দেশ্যে দান করবে, তাদের মাধ্যমেই প্রথমে জাহান্নামের আগুন জ্বালানো হবে। রাসূল (সা.) বলেন, ‘সর্বপ্রথম তিন ব্যক্তিকে দিয়ে জাহান্নামের আগুনকে প্রজ্বলিত করা হবে। তাদের মধ্যে (সর্ব প্রথম বিচার করা হবে) সেই ব্যক্তির, আল্লাহ যাকে প্রশস্ততা দান করেছিলেন, দান করেছিলেন বিভিন্ন ধরনের অর্থ-সম্পদ। তাকে সম্মুখে নিয়ে আসা হবে। অতঃপর (আল্লাহ) তাকে দেওয়া নেয়ামত দেখাবেন। সে তা চিনতে পারবে। তখন তিনি প্রশ্ন করবেন, কি কাজ করেছ এই নেয়ামতসমূহ দ্বারা? সে জবাব দিবে, যে পথে অর্থ ব্যয় করলে আপনি খুশি হবেন এ ধরনের সকল পথে আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেছি। তিনি বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এরূপ করেছ এই উদ্দেশ্যে যে, তোমাকে বলা হবে, সে দানবীর। অতঃপর তার ব্যাপারে বিচারের নির্দেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে মাটিতে উপুড় করে টেনে-হিঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম)

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/মার্চ ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর