thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

দিনাজপুরে কথিত পীরের ভায়রাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

২০১৭ মার্চ ১৮ ১৮:৩১:৫৩
দিনাজপুরে কথিত পীরের ভায়রাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে একটি দরবার শরীফে কথিত পীরসহ দু’জনকে হত্যার ঘটনায় বীরগঞ্জ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে পীরের ভায়রা ইকবাল হোসেন টিপুকে (৫৫) তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার। তিনদিনেও তার হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইকবাল হোসেন টিপু নিহত কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর ভায়রা ভাই। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ধুলাউড়ি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আজগর আলীর ছেলে। টিপুও ফরহাদ হত্যার ঘটনায় জড়িত কুড়িগ্রামের পীর ইসহাক আলীর মুরিদ।

ইকবাল হোসেনের স্ত্রী ইয়ামিন আরা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন লোক। তার স্বামীকে কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- জিজ্ঞাসা করা হলে ফরহাদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানায় র‌্যাব ও পুলিশ পরিচয়দানকারী সদস্যরা। তবে এরপর পুলিশ ও র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের শঙ্কা ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর মতো তাকেও যাতে এরকম হত্যার শিকার না হতে হয়।

নিখোঁজ টিপুর পুত্র ইব্রাহিম খলিল হিমু জানান, র‌্যাব ও পুলিশ পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে গেলেও কোন হদিস না পাওয়ায় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তার সন্ধান ও তাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এদিকে র‌্যাব দিনাজপুর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাকিব জানান, বীরগঞ্জ থেকে তারা এই নামে কাউকে আটক করেননি।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলমও জানান একই কথা।

উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ রাতে বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা গ্রামে ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হয় ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এবং তার গৃহপরিচারিকা ও মুরিদ রূপালী বেগম। এ ঘটনার দু’দিন পর ১৫ মার্চ বোচাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর মেয়ে ফাতিয়া ফারহানা।

পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে কুড়িগ্রামের উলিপুরের কথিত পীর ইসহাক, ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর দরবার শরীফের খাদেম সায়েদুল ইসলাম। ইতোমধ্যে এই দুজন আদালতে পীর হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এই মামলায় ৭ জন আসামিকে চিহ্নিত করলেও ইকবাল হোসেন টিপুর নাম এর মধ্যে নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/মার্চ ১৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর