thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

ঝুলে গেল এরশাদের মামলার রায়

২০১৭ মার্চ ২৩ ১৬:১৩:১৯
ঝুলে গেল এরশাদের মামলার রায়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের করা আপিলের রায় ঘোষণা হয়নি। এ মামলায় সাজা বৃদ্ধিতে দুই যুগ আগে রাষ্ট্রপক্ষের দুইটি আপিল আদালতের নজরে এসেছে। যেহেতু তিনটি আপিলই এ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই এগুলো একসঙ্গে শুনানি হওয়া উচিত। এ অবস্থায় এরশাদের করা একটি আপিলের রায় আলাদাভাবে দেওয়া হলে ‘দ্বান্দ্বিক অবস্থা’ তৈরি হতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির নিকট পাঠিয়ে দেন।

প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের ওপর মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিল গত বছর ৩০ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়, যা শেষ হয় গত ৯ মার্চ। শুনানি শেষে ওইদিনই ২৩ মার্চ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদালতের আদেশের পর দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এই মামলার আপিল শুনানিতে দুদক পক্ষভুক্ত হয়েছে ২০১২ সালে। তাই রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিষয়ে দুদকের জানা থাকার কথা নয়।’

এরশাদের মামলাগুলো শুনানিতে যে একধরনের দীর্ঘসূত্রিতা দেখা যাচ্ছে, এই মামলার ক্ষেত্রেও কি তেমনটি হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তেমনটি মনে করি না। কারণ আদালত বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় দুটি আপিল করেছে। এখন এরশাদের আপিলের রায় আলাদা করে দেওয়া হলে একটা দ্বান্দ্বিক অবস্থা তৈরি হতে পারে। আর এসব আপিল শুনানিতে যাতে বিলম্ব না হয়, এজন্য উভয়পক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত। একটু দেরিতে হলেও তিনটি আপিল একসঙ্গে শুনানি করে রায় ঘোষণা হলে আইনগত আর কোনো প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ থাকবে না।’

অপরদিকে এরশাদের বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলাটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এরশাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হচ্ছে সেটা আসলে ঠিক না। এই টাকাগুলো জাতীয় পার্টির অফিস কেনার জন্য রাখা হয়েছিল। এই মামলায় আপিল শুনানি শেষ হলে তিনি অবশ্যই খালাস পাবেন।’

রাষ্ট্রপতি থাকাকালে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রাখার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা দায়ের করে। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিলো।

এই মামলায় ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিন্ম আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ। একই বছর রাষ্ট্রপক্ষ সাজা বৃদ্ধির জন্য দুটি আপিল করে।

এরশাদের করা আপিলটি দুই যুগ ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানালে গত ৩০ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এনআই/মার্চ ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর