thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির দাবি হাবের

হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, ফের বাড়ছে নিবন্ধনের সময়

২০১৭ এপ্রিল ০৯ ২০:৫১:৩২
হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, ফের বাড়ছে নিবন্ধনের সময়

কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : চলতি বছরের পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে সোমবার। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এ বছর হজ করবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন। কিন্তু এখন পর্যন্ত (৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা) নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ২২২ জন। যার মধ্যে সরকারি কোটা থেকে নিবন্ধিত হয়েছেন দুই হাজার ৮৮৯ জন এবং বেসরকারি কোটা থেকে হয়েছেন মাত্র ৩৩৩ জন।

হজের প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগে সমবণ্টনের মাধ্যমে হজযাত্রীদের সুযোগ সৃষ্টি এবং আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবিতে হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নিবন্ধন বর্জনের ডাক দেয়। এ কারণে এখনও নিবন্ধন করেনি অধিকাংশ হজ এজেন্সি। ফলে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। গত ২৮-৩০ মার্চ ৩ দিন হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে সময় বেঁধে দেয়। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ে এজেন্সিগুলো নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ না নেওয়া ১০ এপ্রিল (সোমবার) পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু বর্ধিত এ সময়েও হজ এজেন্সিগুলো তাদের হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনে অংশ নেয়নি। ফলে হজ নিবন্ধনের জটিলতা কাটেনি। এ অবস্থায় হাব নেতারা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় ফের হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির আভাস দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, এ বছর সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। এ কোটার বাইরে অতিরিক্ত প্রায় পৌনে এক লাখ হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করায় এক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েই আছে। এর উপর হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হাবের চূড়ান্তভাবে হজযাত্রী নিবন্ধন বর্জনের ঘোষণা জটিলতা সৃষ্টি করেছে।

সূত্র মতে, সোমবার পর্যন্ত হজ্জ নিবন্ধনের শেষ তারিখ ধার্য রয়েছে। কিন্তু প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগে নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করেছে হাব। আর এ জন্য এজেন্সিগুলো নিবন্ধনে অংশ নেয়নি। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থায় মাত্র ৩৩৩ জন হজ্জযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থায় ২ হাজার ৮৮৯ জন নিবন্ধন করেছে। আর ডাটাএন্ট্রি করেছে ৪৮৭টি এজেন্সির ৫১ হাজার ৩৩৭ হজ্জযাত্রী এবং সরকারি ব্যবস্থায় ৩ হাজার ৩১৬ জন হজযাত্রীর ডাটাএন্ট্রি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ে আইটি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রবিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ফোরামের প্যানেল প্রধান ও হাব মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ ও হাব সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ মজুমদার।

শেখ আবদুল্লাহ বলেন, অধিকাংশ এজেন্সির কাছে যাত্রীরা পাসপোর্ট ও টাকা জমা দেয়নি। তাই আমরা নিবন্ধনের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। সময় বাড়ানো না হলে নিবন্ধন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে দু’একদিনের মধ্যে হাব নেতারা বৈঠকে বসবেন।

আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের বিরুদ্ধে হজ বাণিজ্য ও সার্ভার ক্রাইমসহ নানা অভিযোগ করে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বরং গত ১৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কোনো নিয়মনীতি না মেনে তাদের মাধ্যমেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করছে মন্ত্রণালয়। সময় বাড়ানো না হলে কাফনের কাপড় পরে হজযাত্রীরা আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন হাব মহাসচিব।

এ ব্যাপারে ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হজ নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। হজযাত্রীদের নানা সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে নিবন্ধনের সময় ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কাঙ্খিত নিবন্ধন হয়নি। সোমবার এ বিষয়ে মন্ত্রী, ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং হাব-এর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, ইতোমধ্যে হাবের দাবি অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হয়েছে। সেখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। হজযাত্রীদের জিম্মি করে কোনো আন্দোলন না করারও আহ্বান জানান ধর্মসচিব।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এপ্রিল ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর