thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

কুলাউড়ায় জঙ্গি নেতার বাড়িতে পুলিশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি

২০১৭ এপ্রিল ০৯ ২১:০২:০১
কুলাউড়ায় জঙ্গি নেতার বাড়িতে পুলিশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি

মৌলভীবাজারপ্রতিনিধি : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের কুলাউড়ার বাড়িতে পুলিশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিকট করা তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর এ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রবিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এরপর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পুলিশের একটি দল কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে রিপনের বাড়িতে অবস্থান নেয় পুলিশ।

এর আগে রবিবার দুপুরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শিশু, নারী ও পুরুষসহ প্রায় ১২ জন রিপনের সঙ্গে দেখা করে ২৫ মিনিট কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, রাষ্ট্রপতি জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বলে আমরাও শুনেছি। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। কাগজপত্র পেলে কারা বিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, রিপনকে সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আদেশ পাওয়ার পর পরই যাতে তা কার্যকর করা যায়, সেজন্য ফাঁসির মঞ্চ ও কারাগারের ৮-১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রিপনের পাশাপাশি একই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগি শরীফ শাহেদুল বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ওই দুজন বন্দি আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকচ করে দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এপ্রিল ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর