thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

না.গঞ্জে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

২০১৭ এপ্রিল ২৩ ১৯:০৫:৪৪
না.গঞ্জে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : সড়ক পরিবহন আইনকে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কালো আইন আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। রবিবার(২৩ এপ্রিল) এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। আইনটি বাতিল করা না হলে আগামী ১ মে থেকে লাগাতার কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। এমনকি আইনটি থাকলে চালকরা আর গাড়ি চালাবেনা বলেও হুশিয়ারী দেন।

‘যার যার দল তার তার সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকরা দাবী আদায়ে এক কাতার’ এই স্লোগানে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ এর মালিক শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা বাতিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মতিউল্লাহ মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন টিয়া, শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মজিবর রহমান, রবিউল আলম, আলীগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আব্বাসউদ্দিন, জালকুড়ি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী খোরশেদ আলম, আমির হোসেন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় মতিউল্লাহ মিন্টু তার বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এভাবে কোন পরিবহন চলতে পারেনা।’ সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘ আগে দেশের রাস্তাগুলো ঠিক করেন, তাহলে দেখবেন একসিডেন্ট এমনিতেই কমে আসবে। এই আইন প্রত্যাহার না হলে আমরা ১ মে থেকে লাগাতার আন্দোলনে নামবে। তখন দেখবেন সারা বাংলাদেশ অচল হয়ে যাবে। কোন গাড়ি চলবেনা।’

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদুর রহমান মানিক বলেন, ‘এই আইনের একটি ধারা সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও সেটি মেহনতি শ্রমিকদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এই আইনে কোন শ্রমিক গাড়ি চালাতে পারবেনা। শ্রমিকদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধরা হয়েছে যা কোন শ্রমিক সারা জীবন গাড়ি চালিয়েও উপার্জন করতে পারবেনা। একজন হেলপারকে ৫ম শ্রেনী ও চালককে ৮ম শ্রেনী পাশ হতে হলে তাকে আবারো স্কুলে ভর্তি হতে যা কখনোই সম্ভব নয়। একই রোডে সব ধরনের গাড়ি চলে। নসিমন করিমন ভটভটিও চলে। গরু ছাগলও চলে। একজন চালক কখনোই ইচ্ছেকৃত দুর্ঘটনা ঘটায় না। আমরা গাড়ি চালানো ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনে রিকশা চালাবো নয়তো বাদাম বিক্রি করবো। আমরা আজকে থেকে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তি শৃঙ্খলার সঙ্গে আইন মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাব। ১ মে থেকে আমাদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে। যতক্ষন পর্যন্ত এই কালো আইন বাতিল না হবে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। যদি আমাদের কেউ বাধা দেয় তাহলে আমরা সেই বাধা প্রতিরোধ করেই এগিয়ে যাব। আমরা গাড়ি না চালালে সারা বাংলাদেশ অচল হয়ে যাবে। তাই আমরা সরকারের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করছি অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিল করুন।’

মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, এসপি, মেয়র, পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটদের গাড়িতে বাম্পার লাগানো থাকলেও সেগুলো খোলা হচ্ছেনা। শুধুমাত্র আমাদের উপরে স্টীমরোলার চালানো হচ্ছে। বাম্পার কেটে নেয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। লাইসেন্স নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ বিআরটিএ’র যারা দুর্নীতি করছে তাদেরকে ধরা হচ্ছেনা। সড়কপথে চাঁদাবাজি বন্ধেও কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে আসতে একজন চালককে ৫ হাজার টাকা চাঁদা গুনতে হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এপ্রিল ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর