thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

চবি শিক্ষার্থীদের ৮ জুনের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

২০১৭ জুন ০১ ২২:৪৪:০৬
চবি শিক্ষার্থীদের ৮ জুনের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে ৮ জুনের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী প্রত্যেকটি আবাসিক হলে লিখিত এই নির্দেশনা দেন।

জানা যায়, হলে অবস্থানকারী সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ৮জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা জন্য আবাসিক হলসমূহ আগামী ৯ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শাটল ও ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময়সীমা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হলগুলো তল্লাশি চালিয়ে কক্ষসমূহ সীলগালা করে দিবে।

উল্লেখ্য, সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের সময় তাদের কক্ষের মালামালের বিবরণসহ কক্ষের চাবি হল অফিসে জমা দিতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে হল ত্যাগ করেছেন তাদের কক্ষসমূহ হল প্রশাসন উক্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সীলগালা করে দিবে। আর যেসব শিক্ষার্থী হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে। অন্যাথায় এসব মালামাল বাজেয়াপ্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আগামী ৫ জুলাই সকাল ৮টায় হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। হলের বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীরাই হলের পাওনা পরিশোধের রশিদ দেখিয়ে হল প্রশাসনের অনুমতিতে কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। সীলগালাকৃত কোন কক্ষে হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোন ছাত্র-ছাত্রী প্রবেশ করলে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই উক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আজাদুর রহমান বলেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে হলের অনেক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তাদের টিউশন, কোচিং ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ প্রশাসনের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে।

মেয়েদের তিনটি আবাসিক হলের একাধিক শিক্ষার্থী প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ মেয়েদের অধিকাংশের হলে আসন বরাদ্দ নেই, এই সময়ের মধ্যে তারা মালামাল নিয়ে কোথায় যাবে? তাছাড়া হল তল্লাশী করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে করে। কিন্তু এখন হল অফিসে চাবি জমা দিলে আমাদের অনুপস্থিতিতে তল্লাশী চালানোটা তাদের প্রাইভেসি ক্ষুণ্ন করা হবে বলে মনে করছেন।

কি ধরনের ভৌত অবকাঠামো সংস্কার কার্যক্রম করা হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রত্যেক হলের অবকাঠামো সংস্কার এবং বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের আসন নিশ্চিতভাবে বুঝে নিতে পারে তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, অনেক পুরাতন হলের ভৌত কাঠামো অবস্থা স্বল্প সময়ে সংস্কার করা হবে। যাদের কক্ষে অবৈধ মালামাল আছে তল্লাশী করে বের করা হবে এবং অন্যসব মালামাল ঠিক জায়গায় থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/ এনআই/জুন ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর