হত্যা মামলায় মুশফিকের বাবার আগাম জামিন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বগুড়ায় মাটিডালী এসওএস হ্যারম্যান মেইনার কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মাসুক ফেরদৌস হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ তারাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আট সপ্তাহ শেষে বিচারিক আদালতে মাহবুব হামিদকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৫ জুন জামিন মঞ্জুর করা হলেও বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান মামলার আইনজীবী।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাহিদুল বারি, সঙ্গে ছিলেন নাজমুন নাহার বিউটি ও এমদাদুল হক শামীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।

পরে আইনজীবী জাহিদুল বারি বলেন, চলতি মাসের ৫ জুন হাইকোর্ট মাহবুব হামিদ তারাকে আট সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন। আট সপ্তাহ শেষে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার তিনদিন পরে এফআইআর করা হয়েছে। এছাড়া নাঈম নামের একজন আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, ক্রিকেট খেলা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং নাঈম নিজেই ওই স্কুল ছাত্রকে মেরেছে।

১৩ মে রাতে বিরোধের জের ধরেমাটিডালি হাজিপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা মাথায় ইটের আঘাত করে নবম শ্রেণির ছাত্র মাসুককে (১৪) হত্যা করে।

১৬ মে সন্ধ্যায় নিহত স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌসের বাবা জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক ইমদাদ বাদী হয়ে সদর থানায় মুশফিকের বাবা চাচাসহ ১৬জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক ইমদাদ মুশফিকুরের বাবা মাহবুব হামিদ তারা ও তার ছোট ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবার সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতা এবং মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়। একই কারণে আসামিরা বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে আসছিলেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের দুইদিন আগে ১১মে রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবার অফিসে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে এজাহারভুক্ত ৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/এনআই/জুন ১৫, ২০১৭)