thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

‘জনসচেতনতার মাধ্যমে চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব’

২০১৭ জুন ১৭ ১৬:৫১:৫০
‘জনসচেতনতার মাধ্যমে চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জনসচেতনতার মাধ্যমেই চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেছেন, ‘যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশ-পাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এই চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকনগুনিয়া নয়, সব রোগ প্রতিরোধেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

রাজধানী ঢাকায় চিকনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা শনিবার (১৭ জুন)সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন। সকালে ধানমন্ডিতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এই মশার উৎপত্তিস্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতীকিভাবে শুরু করেছি। আমাদের এই অভিজানের মূল উদ্দেশ্য জনগনকে সচেতন করা।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে একজন নাগরিককে নিজবাড়ি ও আশ-পাশের এলাকায় লক্ষ্য রাখতে হবে কোথাও যাতে কোনো পানি জমে না থাকে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আমরা এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’

এ সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সচেতনামূলক অভিযানে অংশ নেয় ঢাকা শহরের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। ঢাকার ৯২ টি পয়েন্টে তারা সচেতনতামূলক কাজ চালিয়েছে।

চিকনগুনিয়া জ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে এবং এ রোগ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে মাঠে পর্যায়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেছেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ৯২টি স্পটে এই সচেতনতনতামূলক কার্যক্রমটি চালাব। কিন্তু সেটি এখন আরও অনেক বেশি হয়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই শনিবারের এই কার্যক্রম। কেবল ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নেয় এডিস মশা। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সাদা অ্যাপ্রোন পরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে।

এ ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ধানমন্ডি ২ নং সড়ক এবং আজিমপুর সরকারি কলোনীর ভিতরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/জুন ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর