thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

তিন জেলায় তামাক চাষিদের সমাবেশ

বিড়িশিল্পে কর প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি

২০১৭ জুন ২১ ১১:৩৫:৩৫
বিড়িশিল্পে কর প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিড়িশিল্পের ওপর ‘অযৌক্তিক’ কর প্রত্যাহার এবং অবিক্রীত তামাক না কেনা হলে অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি সিগারেটের পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।

মঙ্গলবার বৃহত্তর রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে পৃথক পৃথক সমাবেশে তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীরা সমাবেশে এই ঘোষণা দেন। রংপুর বঙ্গবন্ধু মোড়ে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তামাক চাষি সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সমিতির সদস্য গোলাম মির্জা, ফারুক মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ও মহিলা তামাক চাষি নুরুন্নাহার।

একই দাবিতে নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা তামাক চাষি সমিতির সভাপতি হামিদুল হক, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির, সদস্য বিকাশ রায়, নিতাই সরকার, আমজাদ হোসেন, মোশারফ হোসেন।

অন্যদিকে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা তামাক চাষি সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন এরশাদুল হক, তবিবুর রহমান, আবুল কাশেম, মনোয়ার হোসেন, খাদেমুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, প্রতি বছর বাজেটে বিড়িশিল্পের ওপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স নির্ধারণের কারণে বিড়িশিল্প আজ ধবংসের পথে। বৈষম্যমূলক শুল্ক নির্ধারণের কারণে গত কয়েক বছরে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিড়িশিল্প মালিকরা তামাক ক্রয় করা বন্ধ কয়ে দিয়েছেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকার তামাক অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে দুই লাখ বিড়ির তামাক চাষি আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের একমাত্র কর্মসংস্থানের উপায় বিড়িশিল্পকে ধ্বংস করে বিড়ির বাজার সিগারেটের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্তের কারণে আতঙ্কে রয়েছে হাজার হাজার তামাক চাষি। কারণ বিড়ির একমাত্র কাঁচামাল তামাক এই অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে।

তারা বলেন, তামাক বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের একমাত্র অর্থকরী ফসল। তামাক চাষ করে মঙ্গাপীড়িত হতদরিদ্র এই অঞ্চলের কৃষক দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থান করে থাকে। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। এই অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ কৃষক বিড়ির তামাক চাষের ওপর নির্ভরশীল। এখানে প্রতিবছর প্রায় ১৪৮ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ হয়ে থাকে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এই অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে এই তামাক। এ ছাড়াও তামাক প্রক্রিয়া, বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য কাজে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।

তামাক চাষিদের দাবি, প্রতিবছর বাজেটে বিড়িশিল্পের ওপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স নির্ধারণের কারণে বিড়িশিল্প আজ ধবংসের পথে। বৈষম্যমূলক শুল্ক নির্ধারণের কারণে গত কয়েক বছরে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিড়িশিল্প মালিকরা তামাক ক্রয় করা বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকার তামাক অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে দুই লাখ বিড়ির তামাক চাষি আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এম/এনআই/জুন ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর