যশোরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

যশোর অফিস : যশোরে আজিজুল ইসলাম সবুজ নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি লিখে না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে শহরতলির রঘুরামপুর নিজ বাড়ি থেকে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম পারুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে নিহতের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতলের মর্গে রয়েছে।

নিহত পারুলের মামা মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘পারুলকে সবুজ হত্যা করে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।’

অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম সবুজ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার শুরুলিয়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার সিআইডি অফিসে এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। আর পারুল যশোর সদর উপজেলার চৌঘাটা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে।

পারুলের ১৩ বছয় বয়সী ছেলে রাহারুল হক বলেন, ‘স্কুল থেকে ফিরে জানালা দিয়ে মায়ের ঝুঁলান্ত লাশ দেখতে পাই। এসময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ঘরের মধ্যে থাকা আমার বাবা জানালা ভেঙে বেরিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আমার মাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

নিহত পারুলের মামা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পারুলের স্বামী সবুজ ছিল মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত ইয়াবা ও ফেনসিডিল সেবন করে। পারুলের বাবা আজিজুল ইসলাম বেশ কিছু দিন আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে পারুলের নামে একটি জমি কিনে দেন। এই জমিটি সবুজ নিজের নামে লিখে দিতে পারুলকে চাপ দিতো। পারুল রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। এছাড়া সবুজ প্রতিনিয়ত অন্য মেয়েদের সাথে মোবাইলের কথা বলতো। এনিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। আজ সবুজ পারুলকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে সে ঘরের জালানা ভেঙে পালিয়ে যায়। আমরা সবুজের বিচার দাবি করছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন কিনা তা ময়না তদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়।’

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আজমল হুদা বলেন, ‘আমি শুনেছি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/জুলাই ২০, ২০১৭)